পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిలిశి এই পৰ্য্যন্ত দোষ থাকিলেও তার উপকারিতার দিকটা কি একেবারেই উপেক্ষার বিষয় ?."উৎপাদন বলিতে ফণী বাবু কী বুঝাইতে চাহিতেছেন ? পৃথিবী-শুদ্ধ লোকগুলা সকলে সমান খাইবে পরিবে, ডাঃার ব্যবস্থা যাহাতে হয় তাহ করাই কি ফণী বাবুর উৎপাদন কথার অর্থ ? তা হইলে বিজ্ঞান, সাহিতা, কল ইত্যাদি যেগুলি মানুষকে তাহার পশুত্বের বাহি'র দেবত্বের সন্নিহিত করিয়া যথার্থ সভ্যতার পথ দেখাইতে সক্ষম হইয়াছে সেগুলিকে বাদ দিতে হয়—যে বিজ্ঞান তাহার সেবককে অগ্নিহার। ভাবে নানাবিধ রোগের কারণ ও তাঁহার প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রতিকার নির্ণয়ে নিয়োজিত রাখিয়াছে, যে-বিজ্ঞান এমন-কি ফণী-ব: সমর্থিত উৎপাদন কার্যারও পথপ্রদর্শক হইতেছে। যে-লোকগুলাঞ্চে থাটাইয়া মই ধনিক সঞ্চিত অর্থকে দ্বিগুণিত কৰি ফুলিলে সেই লোকগুলকে পেটে মারিলে সঙ্গে সঙ্গে তাহার মাথাও যে মারা যায়। সুতরাং মধ্য পথ হইবে ধনিকের ধন শ্রমীর শ্রম, জ্ঞানীর জ্ঞান সকলের উপরেই সকলের সমান দাবী । ইহাই হইবে নবযুগের “অর্থসমস্তার সমাধান” । শ্ৰী বৈকুণ্ঠচন্দ্র সেন সাইকেলে আর্য্যাবর্ত ও কাশ্মার যুক্ত-প্রদেশ শ্ৰী অশোক মুখোপাধ্যায় ৩ শে সেপ্টেম্বর বুধবার-বেল ৭ টার সময় রওনা হ’লাম। মাঠে গরু মষ্টিমের দল বরাবর রাস্তার পাশে চরছে। কিন্তু দুধের জন্য আশেপাশের গ্রামে চেষ্টা করে সামান্য দুধ ও জোটাতে পারলাম না। কাজেকাজেই টিনের দুধ ও ছোলা খেয়ে প্রাতরাশ সেরে ফেললাম। বেলা ১১ টার সময় বিহারের সীমানা কৰ্ম্মনাশা নদীর পুল পার হলাম। যুক্ত-প্রদেশের রাস্তার বিশেষত্ব অল্পক্ষণ পরেই পাওয়া গেল। রাস্ত মাটির মত সাদা ও ধূলায় ভত্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের কাপড়-চোপড় ও সাইকেলের চেহারা ধূলায় সাদা হয়ে গেল। আজ বেজায় গরম, হাওয়া বিপরীত দিক্‌ থেকে বইছে। ক্লাস্ত হ’য়ে একট। গাছতলায় কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিলাম। গ্র্যাণ্ড ট্রাঙ্ক রোড-ছেড়ে বেল ৫টার সময় মোগলসরাইয়ে এসে চ খাওয়া গেল। এখান থেকে বেনারস ৮ মাইল মাত্র । গঙ্গার ওপর ডাফ্রিন ব্রিজের ওপর দিয়ে রেলের লাইন ও দু’পাশে গাড়ী যাওয়ার রাস্ত। এই ব্রিজ পার হয়ে কাশী ষ্টেশনকে বাদিকে রেখে আমরা বেনারস সহরে ঠিক সন্ধ্যার সময় উপস্থিত হ’লাম। - দশাশ্বমেধ-ঘাটের কাছে একটা রেস্তরায় ঢুকে পড়লাম। রেস্তরটি বাঙালী ভদ্রলোকে পরিপূর্ণ। এক স্থূলকায় প্রৌঢ় ভদ্রলোক এতক্ষণ পেয়ালার মধ্যে গোফ ডুবিয়ে নিবিষ্টমনে চা পান করছিলেন ; এইবার পেয়ালাটা নামিয়ে রেখে, ভরাগলায় জিজ্ঞাসা কবৃলেন— “কলকাতা থেকে ঐ সাইকেল ক’রে কাশ্মীর পর্যন্ত যাবে ?” “আঞ্জে হ্য, আবার সাইকেলেই ফিরব মনে করছি।" “ঘাড়ে এ ভূত চাপল কেন ?” আমরা বললাম, “দেখুন ইউরোপীয়েরা কি না করছে! তারা দেশ দেশান্তর থেকে আমাদের দেশে এসে এভারেষ্টে উঠছে—” “ওসব সাহেবস্তুবোদেরই পোষায়, বাঙ্গালীর ছেলে একি খেয়াল বাপু ! চেহারাও ত দেখছি সে রকম নয়— শেষে হার্টফেল না করে। কাশী অবধি এসেছ বেশ হয়েছে, এইবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাও।” আমরা র্তার দিকে আর মনঃসংযোগ না করে খে:ত আরম্ভ ক’রে দিলাম । সে রাত্রের মতো লাকৃপায় রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে উঠে পড়লাম। এখানের সেবা আশ্রমটি মিশনের অন্যান্য সকল জায়গার সেবাশ্রম অপেক্ষা বড় ও বন্দোবস্ত বেশ সুন্দর। এখানে যথেষ্ট জল পাওয়া গেল, সমস্ত দিনের 4