পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] উঠল, টুপিট মাথা থেকে পড়ে গেল। আমরাও বঁচি লাম। এবার থেকে আমরা সাবধান হ’য়ে গেলাম । পাহারার বন্দোবস্ত না ক'রে জিনিসপত্র ফেলে আর কোথাও যেতাম না | আমাদের দেশের তুলনায় এখানকার গরু ছাগল খুব বড় । রাস্তার পাশে মন্দির ও মসজিদের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে । ঘণ্টা বাজিয়ে দুলকি চালে সারি সারি উটের দল চলেছে। তাদের পায়ের ধূলোয় পিছনের রাস্ত অন্ধকার । খোজ নিয়ে জানলাম দিনাজপুরের মেলায় বিক্রীর জন্যে এদের নিয়ে যাচ্ছে । ফেলা পাচটার পর ফতেপুরে । ছোট খাট সহর । “প্রবালী”-সম্পাদকের ইউরোপ-যাত্রা ఫిలి& বাজনা বাজিয়ে রংবেরঙের নিশান উড়িয়ে একটা শোভাযাত্রা চলেছে। ঘুরতে ঘুরতে ডাকবাংলায় গিয়ে উঠলাম । বাংলায় ইঞ্জিনিয়ার শ্ৰীযুত শৈলেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মহাশয় আমাদের সাদর অভ্যর্থনা করলেন। রাত্রে এথানকার ওভারসিয়ার শ্ৰীযুত দেবেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ীতে খাওয়াদাওয়া করা গেল । ফতেপুরে ইনিই একমাত্র বাঙালী । এখান থেকে ডান দিকে রায়বেরিলি ও বাদিক দিয়ে গাজীপুরে যাওয়ার রাস্তা দেখা গেল । এলাহাবাদ থেকে আজ ৮০ মাইল আসা হয়েছে, রাস্ত মোট ৫৯৩ মাইল উঠেছে । ( ক্রমশ: ) “প্রবাসী”-সম্পাদকের ইউরোপ-যাত্র বিগত ১১ই শ্রাবণ ১৩৩৩ ( ২৭ জুলাই ১৯২৬ ) তারিখে ‘প্রবাসী-সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ইউরোপ যাত্রা করিয়াছেন। লিগ অব নেশনস বা জাতি-সঙ্ঘ নামক যে পাশ্চাত্য প্রতিষ্ঠান, আমেরিকার মনীযী উড়ে। উইলসন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়া জগতে যুদ্ধ-নিবারক ও জাতিতে জাতিতে প্রীতি-উদ্দীপক নানা স্থব্যবস্থা সম্পাদনে নিযুক্ত আছেন, সেই প্রতিষ্ঠান ভারতবর্ষর সংবাদপত্রসমূহের প্রতিনিধিস্থানীয় ব্যক্তি বলিয়া শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে, তাহাদের কৰ্ম্মপ্রণালী পৰ্য্যবেক্ষণ ও অনুধাবন করিবার জন্য স্থইটুসারল্যাণ্ডের জেনেভায় আমন্ত্রণ করেন । এই পৰ্য্যবেক্ষণ ও অনুধাবনের পর ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিয়া ক্রযুক্ত রামানন্দ বাবু জাতি-সঙ্ঘের যথাযথ পরিচয় দেশবাসীকে জানাইতে সক্ষম হইবেন । র্তাহার এই ইউরোপ যাত্রার দুই দিন পূৰ্ব্বে (৯ই শ্রাবণ ১৩৩৩ ) ‘প্রবাসী’-কাৰ্য্যালয়ের কৰ্ম্মীগণ র্তাহাকে বিদায় সস্বৰ্দ্ধনা করেন । এই অনুষ্ঠানে কলিকাতার বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদকগণ ও বিশিষ্ট সাহিত্যিকগণ, বিশেষ করিয়া “প্রবাসী"র সংশ্লিষ্ট সাহিত্যিকগণ, নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন। সঙ্গীতনায়ক শ্লযুক্ত গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ও তাঙ্গর পুত্র শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণকে গান শুনাইয়া আপ্যায়িত করেন । প্রবাসী-কাৰ্য্যালয়ের পক্ষ হইতে শ্ৰীযুক্ত সজনীকান্ত দাস ও শ্ৰীযুক্ত প্রভাতচন্দ্র সান্যাল অভ্যাগত ব্যক্তিগণকে যথোচিত অভ্যর্থনা করেন। উপস্থিত ব্যক্তিগণের মধ্যে —শ্ৰীযুক্ত গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রায় বাহাদুর রমাপ্রসাদ চন্দ, শ্ৰীযুক্ত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ, ব্রহ্মচারী গণেন্দ্রনাথ, শ্ৰীযুক্ত বিনয়কুমার সরকার, শ্ৰীযুক্ত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, কবি শ্ৰীযুক্ত মোহিতলাল মজুমদাব, কবি শ্ৰীযুক্ত হেমেন্দ্রলাল রায়, শীঘূক্ত মুণালঙ্কান্তি বস্থ, শ্ৰীযুক্ত কালিদাস নাগ, প্রভৃতি ছিলেন । গান হইবার পর "প্রবাসী-কাৰ্য্যালয়ের কৰ্ম্মীগণ লেখার সকল রকম সরঞ্জাম পূর্ণ একটি বড় "রাইটিং-কেশ” রামানন্দ বাবুকে প্রদান করেন। তাহার পর “প্রবাসী”কাৰ্য্যালয়ের পক্ষ হইতে কবি শ্ৰীযুক্ত প্যারীমোহন সেনগুপ্ত তাহার রচিত নিম্নলিখিত কবিতাটি পাঠ করিয়া রামানন্দবাবুকে অভিনন্দিত করেন –