సి8e প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড সম্ভব মনে হয় না । আর যদি লক্ষ্য ক’রেই থাকে তা হ’লে তার একটা নামকরণ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। স্বতরাং মাউন্ট এভারেষ্টের পুরোনো ও ভারতীয় নাম গৌরীশঙ্কর থাকা মোটেই বিচিত্র নয়। বিশেষত এই দুটি নামের বিভ্ৰাট চূড়াটিকে যে আজও আঁকড়ে রয়েছে তাই থেকেই কি মনে স্বতই সন্দেহ জাগে না যে, চূড়াটির প্রাচীন নাম গৌরীশঙ্কর ? এখন কথা উঠতে পারে, উপরি-উক্ত ২৩৪৪৭ ফুট চূড়াটির তবে কি নাম ছিল। এচুড়ীটি হিমালয়ের পক্ষে এমন কিছু উচু নয় যে, এর একটা না একটা নাম নিশ্চয়ই ছিল । বদি থেকেই থাকে এরও নাম গৌরীশঙ্কর থাকা খুব আশ্চর্য্যের বিষয় নয়। মনে হয় যেন কিছুকাল পূর্বে ‘বিবিধ-প্রসঙ্গে পূজনীয় রামানন্দবাবু লিথেছিলেন যে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই শৃঙ্গটির ভারতীয় নাম ছেটে ফেলে দিয়ে মাউণ্ট এতারেক্ট নাম চালাবীর চেষ্টা চলেছে । এই কারণেও একটি ছোট চুড়াকে গৌরীশঙ্কর এই নতুন নাম দেওয়৷ অসম্ভব নয় ; তা হ’লে লোকে শীঘ্রই মাউণ্ট এভারেষ্টের নাম যে গৌরীশঙ্কর ছিল একথাটা ভুলে যাবে। এ-বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন । অবগু একথাটাও স্বীকাৰ্য্য যে, প্রাচীন ভারতে সবকটি চূড়ার সম্ভবত নাম করা হয়নি। তা না হোলে কারাকোরামের ২৮২৪ ফুট উচু K2 চূড়ার কোনো দেশী নাম নেই কেন ? শ্ৰী জ্যোৎস্না ঘোষ ( २७ ) মাণিক গাঙ্গুলীর ধৰ্ম্মমঙ্গল চারুবাবুর জিজ্ঞাপ্ত হইতে বুঝিতেছি তিনি ধৰ্ম্মমঙ্গলখানি মন দিয়া পড়িতেছেন। আশা হইতেছে ইহার টকা-সমেত সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশ করিবেন । ৰঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদ গ্রন্থখানি প্রকাশ করিয়াছেন, “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে"র প্রসিদ্ধ কত শ্ৰী দীনেশচন্দ্র সেন ভূমিকা লিখিয়াছেন ; কিন্তু, কে প্রকাশ-সম্পাদক ছিলেন, তাহার উল্লেখ নাই। তিনি যিনিই হউন তিনি পুথী পড়িতে ও ছাপাইতে এত ভুল করিয়াছেন যে, বঙ্গীয় সাহিতা-পরিষদের কলঙ্ক হইয়াছে। ইহার চমৎকার দৃষ্টান্ত, গ্রন্থসমাপ্তি কালসূচক পদে আছে। ছাপা হইয়াছে, সাফেরি ও সঙ্গে বেদ সমুদ্র দক্ষিণে । সিদ্ধ সহ যুগ দক্ষে যোগতার সনে । হইবে, সাকে রিতু সঙ্গে বেদ সমুদ্র দক্ষিণে । সিদ্ধ সহ যুগ পক্ষে যোগ তার সনে ॥ ইহার অর্থ, ১৭৩০ শকে, অর্থাৎ এখন হইতে ১১৮ বৎসর পূৰ্ব্বে । দীনেশ-বাবু ১৪৬৯ শকে মনে করিয়া পৌণে চারিশত বৎসরের পুরাণ স্থির করিয়াছিলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় তিনি গ্রন্থের ভাষ লক্ষ্য করেন নাই। ইহা আধুনিক দেখিয়াই উহার নিরূপিতকালে আমার সন্দেহ জন্মে। ইহার বিস্তৃত আলোচনী সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকার পঞ্চদশ ভাগে করা গিয়াছে। তিনি ইহার প্রতিবাদ করেন নাই। জানি না, উাহার বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে উপহার প্রথম অনুমান পরিবর্তন করিয়াছেন कि नां । কবি আধুনিক অথচ তাহার গ্রন্থে এমন শব্দ আছে বাহা বুঝিতে गोब्री थांब्र न । कडक *का शूर्पेौब्र लिभिकब्र किया थकां★रकब्र कौठिं, অপর কতকগুলি ৰে কবির তাহাতে সন্দেহ হয় না। কবির বর্তমান বংশধর বলেন, কবি তেমন পণ্ডিত ছিলেন না। কিন্তু, অমরক্কোৰ উহার বে পড়া ছিল, তাহার পরিচয় গ্রন্থের মান স্থানে আছে। সেকালে পাঠশালার অমরকোষ মুখস্থ করানো হইত। পঞ্চাশ বাট বৎসর
- রাজাকে সম্বোধন করিতে sire, অর্থাৎ পিতা বলা হয়।
পূর্বেও এই রীতি ছিল, তথাপি কবি কতকগুলি শব্দের কেমন করির অপপ্রয়োগ করিলেন তাহার কারণ বুঝিতে পারি না । হঠাৎ মনে হইতে পারে, তাহার সময়ে সেই সকল শব্দ প্রচলিত ছিল, এখন নাই। কিন্তু এরপ মনে করিবার পূর্বে উহার দেশে অনুসন্ধান কৰ্ত্তব্য। কারণ শব্দের প্রাণ সহজে বহির্গত হয় না। কিছুদিন পূর্বে ভারতবর্ষে লিগিয়াছিলাম, এক লেখক কতকগুলি নিৰ্ব্বংশ শব্দে’র তালিকা করিয়াছেন । কিন্তু বাঁকুড়ায় দেখিতেছি তালিকার অধিকাংশ শব্দ সশরীরে সতেজে বর্তমান, বংশরক্ষার চিন্তা অস্থাপি উঠে নাই । চারুবাবু যে কয়েকটি শব্দ তুলিয়াছেন, তন্মধ্যে লোটন শব্দটি কবরী অর্থে বহুপ্রচলিত আছে। বালিকাদের চুল ছোট, তাহারা খোপা বঁধে । এছাড়া খোপ। আর দেখিতে পাওয়া যায় না । লোটনে মাথার চুল ঘাড়ের দিকে ঝুলিয়, যেন লুটির পড়ে । আমার মনে হয় এই হেতু নাম, লোটন। কমন্তরে'-কেমন-তরে। কেমন—কিপ্রকার, এই অর্থ বুঝাইলেও কেহ কেহ তর’ যোগ করিয়া বলে, “কেমনতর কথা’। ‘কে স্থানে ‘ক’ কবির না লিপিকরের কে জানে। চারবাবুর শব্দগুলির পৃষ্ঠা পাইলে ভাবিয়া দেখিতাম। পৌরাণিক আখ্যায়িকার নিমিত্ত প্রথমে মহাভারত দেখা কত ব্য। সাহিত্যপরিষদ হইতে রামায়ণের সূচী প্রকাশিত হইয়াছে। দুঃখের বিষয়, মহাভারতের সেরূপ স্বচী প্রকাশিত হয় নাই। সংস্কৃত মহাভারত ও পুরাণ ব্যতীত কলিকাতার বটতলা হইতে প্রচারিত পুরান বই দেখিতে বলি। সেকালে শতস্কন্ধ রাবণ বধ প্রভৃতি বইগুলির অাদর ছিল । মাণিক গাঙ্গুলী এইরকম বই হইতে আখ্যায়িক জানিয়া থাকিবেন। তা ছাড়া পূর্বকালে প্রচলিঙ“লাউসেনী দাড়া”নিশ্চয় পাইয়াছিলেন। তিনি ময়ূরভট্টর নাম করিয়াছেন। সকল আখ্যায়িক যে সংস্কৃতে লেখা হইয়া পুরাণে নিবিষ্ট হইয়াছিল, এমন মনে হয় না। এক এক ধম - সম্প্রদায়ে অনেক উপাখ্যান চলিয়া গিয়াছে। এমনই করিয়া পুরাণের উৎপত্তি। প্রভেদের মধ্যে কোন কথা সংস্কৃতে, কোন কথা বা বাঙ্গালীয় লেখ । রঞ্জাবতীর শালে ভর কিম্ব স্বর্ষ্যের পশ্চিমে উদয়, সংস্কৃত পুরাণে নাই, বাঙ্গালায় আছে । হরিচন্দ্র রাজা ও র্তাহার রাণী মদনাবতী যে নিজপুত্রকে কাটিয়৷ এক ব্ৰাহ্মণ অতিথির সেযার্থে বলি দিয়াছিলেন, ইহা বাঙ্গাল পুরাণে আছে, সংস্কৃতে নহে। বেলডিহা গ্রামে কবির বাসস্থান ছিল । সংস্কৃতে করিলে হইবে “বিল্বদ্বীপ।” এখন চলিত কথায় বলে “বেলটে ৷” হুগলি জেলার পশ্চিম প্রান্তে বদনগঞ্জ নামে এক পোষ্ট আফিস আছে, বেলুটে ইহার নিকটে। আর এক কথা । দেখিতেছি, চারুবাবু গাঙ্গুলী—ঈকারাস্ত না করিয়া, গাঙ্গুলি ইকারাস্ত করিয়াছেন। ঈকারান্ত ঠিক ইকারান্ত ভুল। সে বানান যেখানেই থাক । ঐ যোগেশচন্দ্র রায় ( ৩e ) বাবু ও সাহেব শব্দ “বাৰু” শব্দের অর্থ ও ব্যুৎপত্তি সম্বন্ধে অনেকের তুম আছে। অশিষ্ট অজ্ঞ ইংরেজের মুখে এই শব্দের অপমান দেখিয়া আমরা বাবু ছাড়ির শ্ৰীযুত ধরিতেছি। কিন্তু মনে রাখিতে হইবে, শ্ৰীযুত শব্দও হীনাবস্থা পাইতে পারে । বাপ, বাপা, বাবা শব্দের অর্থ, জনক, পিতা। বাপ শব্দে আদরে উযুক্ত হইয়া বাপু ; ইহা হইতে বাবু। ইংরেজী Sir শদের অর্থ ও প্রয়োগ অবিকল তাই। ইহার মূলরপ sire, অর্থ জনক। ভদ্রলোক মাত্রেই sir বলিয়া সম্বোধিত হন। ৰাঙ্গালাতেও সেইরূপ বাৰু। অতএব যখন বলি বাৰু কেশবচন্দ্র সেন, তখন বস্তুতঃ বলি Sir Keshab