পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] কাব্য-কথা SBలి ཨཱ་ཨཱ་ কীটুসের Beauty-Truth-স্বত্রটির কথা ইতিপূৰ্ব্বে হেথ হোথা তুলিয়াছে রূপার ফলক, *. মাধবী 驚 বকুলের তলে বলিয়াছি। ঐ কবির আর-একটি অপূৰ্ব্ব উক্তি আছে, কে তরুণী মুঠি ভরি’ ধরে চন্দ্রালোক ! পার্থী লুকায়েছে আঁখি পালক-শিথানে— আজি কণর কথা বঁধু কহ কাণে কাণে । কবিতাটির নাম ‘কাণে কাণে’ | কিন্তু কবির প্রত্যক্ষ অমুভূতি-ঘটিত কল্পনা, এই কবিতাটির প্রত্যেকটি শব্দ-বৰ্ণনার—প্রতি বর্ণচ্ছেদটির ভিতর দিয়া, পৃথক ও সমগ্রভাবে সার্থক হইয়া উঠিয়াছে—ইহণদের একটিকেও বাদ দিলে কবিতার অঙ্গ হানি হষ্ট বে। একেবারে শেষ কথাটিতে পৌছিলে তবে এই বিশিষ্ট অনুভূতির—এই খণ্ড রসের—অখণ্ড রূপটি সম্পূর্ণ ও সমাপ্ত হইবে, তার পূৰ্ব্বে নয় । ‘শুভ্ৰ নীরবতা' বা ‘কাণে কাণে—যে নামই থাক না কেন, সম্পূর্ণ বাণীটি যতক্ষণ না পাইতেছি, ততক্ষণ (জ্যাৎস্নারান্ত্রির সে স্তব্ধরূপটি কবির ধ্যানকল্পনায় ধর দিয়াছে তাহা যে ঠিক কেমন, সে ধারণা অসম্ভব । তাই বলিতেছিলাম, কাব্যমাত্রেই এমনি আপনাতে-আপনি নির্দিষ্ট, যে আর কোন ও উপায়ে সাধারণ ভাবে তাহার পরিচয় দেওয়া যায় না । কাব্যহষ্টির প্রসঙ্গে অতুকরণের কথা আসে। স্বষ্টি আথে অনেক স্থলে মৌলিকতা বা অমুকরণ-বিমুখতার প্রশ্ন ওঠে । উৎকৃষ্ট কাব্যে, বহির্জগৎ বা পূৰ্ব্বস্বষ্টির সাদৃশ্ব না থাকাই যদি স্থষ্টিশক্তির লক্ষণ হয়, তবে কি কবি-কল্পনা অবস্তু-বিলাসের নামান্তর । এরূপ প্রশ্ন এককালে বিচারযোগ্য থাকিলেও, এ জিজ্ঞাস কাব্যস্থঃ সম্বন্ধে বড়ই স্কুল ধারণার পরিচায়ক । এ বিষয়ে ইতিপূৰ্ব্বে প্রসঙ্গাস্তরে যাহা বলিয়াছি, এখানেও তাহাই বলিব । কবি-কল্পনা বহির্জগৎ বা বাস্তবস্তুষ্টিকে উপেক্ষ করিতে পারে না। বরং বাস্তব অমুভূতির বিশিষ্ট emotion-ই কাব্যের মূল প্রেরণা। কবির স্বতন্ত্র হৃদগত অহুভু তই মৌলিকতার কারণ ; কাব্য এক অর্থে Imitation zētās, setzt Ideal lmitațion i কবির মনোমত অমুকুতি । তথাপি এই বাস্তব-অবাস্তবের কথাট। এই প্রসঙ্গে একটু আলোচনা করিয়া দেখিলে ভালো হয়। কবি —“What the Imagination scizes as Beauty must be Truth, whether it cristed before or not.”—অর্থাৎ “কল্পনায় যাহাকে সুন্দর বলিয়া চিনিয়া লই, তাহা সত্য হইতে বাধ্য —তাহ অভূতপূৰ্ব্বই হউক বা ভূতপূৰ্ব্বই ইউক ।” এখানে বাস্তব-অবাস্তবের দ্বন্দ্ব কবি স্পষ্টই অস্বীকার করিয়াছেন । যে ভাবৈকরস চেতনায় হষ্টির মৰ্ম্মস্থল উদযাটিত হয় তাহার সাহায্যে, আনন্দের অবশ্যম্ভাবী আবেগে যাহাকে উপলব্ধি করি – সেই "সুন্দর’ সারাচিত্তকে জয় করিয়া আত্মার পদ্মাসনে যখন বিরাজ করেন, তখন সেই যে আত্মসমর্পণ, তাহাই ত সত্যোপলব্ধি । বিচার-বুদ্ধি ও কবিদূষ্টির এই বিরোধ তর্কে ঘুচিবে না ; ইহা কবির মতই উপলব্ধি করিবার —র্যাহার সে শক্তি নাই তিনি প্রকৃত কাব্য-উপভোগে বঞ্চিত। কবিকল্পনার সত্য বাস্তব-অবাস্তবের . সীমারেখায় বিভক্ত নয়—একটি অপূৰ্ব্ব চেতনায় নিদ্বন্দ্ব হইয়া বিরাজ করে । অতএব, কবিকল্পনায় বাস্তব অবস্তিবের প্রশ্ন অবাস্তর হইয়া পড়ে । তথাপি কল্পন। বলিতে একটি যে সংস্কার আমাদের মনে আধিপত্য করে, তাছাতে লোকাতিক্রাস্ত Ideal স্বষ্টির প্রতি আমাদের একটি স্বাভাবিক আসক্তি আঙ্গে বলিয়া মনে হয় । সেক্স্পীয়ারের এত উংকৃষ্ট চরিত্রহষ্টির মধ্যেও Caliban-নামক অপুৰ্ব্ব কল্পনাটি যেন বেশী করিয়া আমাদের সঞ্জ ম আকর্ষণ করে । মনে হয়, Caliban যেন একটি সত্যকার নূতন স্বষ্টি, উহাতে যেন স্বষ্টির নবপর্য্যায়ের আভাস রহিয়াছে । উহা পরিচিত জগতের বহিভূত, অথচ মাঙ্গুষের মনে যে sentiment of reality বা বাস্তব-সংস্কার আছে—তাহার সম্পূর্ণ অনুমত, তাই তাহাকে জীবন্ত, প্রাণধৰ্ম্মী বলিয়া মনে হয় । অতি স্কুল কল্পনার বা রূপকথার দানব-দৈত্য-পিশাচের মত কোনে। অনাহুষ্টি, আর এই Caliban এর মত উৎকৃষ্ট সষ্টি তুলনা করিয়া দেখিলেই, বাস্তব-অবাস্তবের মধ্যে কবিকল্পনা কোথায় তাহার সত্য রক্ষা করিতেছে, কাব্যস্থষ্টির উৎকৃষ্ট লক্ষণ কি, তাহ বুঝিতে পারা যায়। কবিকল্পনার