পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ8\ు “We find shape and identity perceived with a magical precision and delicacy, the mind fastening as it were with a peculiar intensity of vision upon any counterpart in the visible world of what it has imagined with tielight.” এই কপৃিষ্টিই কাব্যস্থষ্টির মূল প্রেরণা—এই দৃষ্টিই বাণীর জনয়ি । এবিষয়ে স্থার অধিক অগ্রসর হুইবার পূৰ্ব্বে আমি এইরূপ কাব্যস্থষ্টির দুএকটি উদাহরণ দিব। কল্পনা সৰ্ব্বত্র এক জাতীয় নয়, কিন্তু যেখানে যেমন সেখানে তদগুরুপ বাণী-বিগ্ৰহ নিৰ্ম্মাণে কবি-প্রতি ভ। যে স্থষ্টিশক্তির পরিচয় দিয়াছে, আশা করি, তাহ সহজেই হৃদয়ঙ্গম হইবে। (>) যে রূপথেীবন উমরি পক্ষে ব্যর্থ হইল, মদন যাহার সহায়তা করিতে গিয়া ভস্ম চহয় গেল, অবশেষে কুচ্ছতপস্যায় নিয়মক্ষমমূখী হইলে পর গেীরীর প্রাণেব আকাঙ্ক চরিতার্থ ইষ্টল সেই রূপীেবনকে মদনের সাহাধ্যে ছদ্মবেশ করিয়া, ঠিক উন্ট পথে, সেই প্রাণের আকাঙ্ক। পরিতৃপ্ত করিতে গিয়া আর-এক নায়িকাব মৰ্ম্মান্তিক ট্র্যাঙ্গেড়ি কবি-কল্পনায় কি অপরূপ স্থষ্টিসৌন্দর্য্য লাভ করিয়াছে ! চিত্রাঙ্গদ মদনকে বলিতেছে— মীনকেতু, কোন মহ। রাক্ষসীরে দিয়tছ বাধিয় অঙ্গসহচরী করি’ ছায়ার মতন— কি অভিসম্পাং ? ছিঃ স্তন তৃষ্ণাতুর লোলুপ ওঠের কাছে আপিল চুম্বন, সে করিল পান । * * * মনে পঢ়িহেঙ্গে একে একে রজনীর কথা, লিস্থাৎ-লেবনী সহ তঠেছে চেতনা, অন্তরে বাহিরে মোর হয়েছে সতীন, আর তাহ নারিল হুলিতে । সপত্নীয়ে স্বহস্তে সাজায়ে সযতনে প্রতিদিন পাঠাইতে হ’বে আমার আকাঙক্ষ তীর্থ বাসরশযায়, অবিশ্রাম সঙ্গে রহি প্রতিক্ষণ দেখিতে হইবে চক্ষু মেলি’ তাহার অদর । ওগো, দেহের সোহাগে অস্তব জ্বলিবে হিংসানলে, হেন শাপ নরলোকে কে পেয়েছে আর । হে অন্তৰ্ম্ম, বর তব ফিরে লও। যে চরিত্র-কল্পনায় ও নাটকীয় ঘটনা-সংস্থানে এই উক্তি নির্গত হইয়াছে তাহীর সম্পর্কে ইহা যে কত সহজ * অথচ বিশ্বযুকর, ভাবিলে আশ্চর্য্য হইতে হয় । এই কল্পনায় প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড মানবাত্মার একটি অভিনব মহত্ত্ব-শিখর আবিষ্কৃত হইয়াছে। কামন, বাসন ও nেহতৃষ্ণার মধ্য দিয়াই যে মুখের নরক ও দুঃখের স্বৰ্গ মানব-প্রাণের অনুভূতি-গোচর হয়, যাহার নৈরাপ্ত-বিভীষিকায় কিছুমাত্র বিচলিত না হইয়া আধুনিক «f Borg età cornii rząH–“The soul may be trusted to the cnd’, Araq-silocaä ch: fassà নিযুতি, পৃথিবীর ধূলামাটির সেই কাঞ্চন-দ্যুতি প্রাচীন কবিগণের কল্পনার অগোচর ছিল, কিন্তু আধুনিক কাব্যে তাহা এমন করিয়া স্ব প্রকাশ হইয়াছে । (২) কবি বলিতেছেন, মনে মনে ভ্ৰমিয়াছি দূর সিন্ধু পারে | (; ---C iC5 ( অনন্ত কুমারী-ব্রত, হিমবস্ত্র-পর, নিঃসঙ্গ, নিস্পৃহ, সৰ্ব্ব আভরণহীন ; মেথা দীর্ঘ রাত্রিশেষে ফিরে আসে দিন শব্দশূন্ত সঙ্গীতবিহীন ; রাত্রি আসে, ধূমাবার কেহ নাই, অনন্ত আকাশে অনিমেষ জেগে থাকে নিদ্রাতগ্রাহত শুষ্কশয্যা মূতপুত্র জননীর মত। —মনে মনে ভ্রমণ যদি এমন হয়, তবে সত্যকবি ভ্রমণে প্রয়োজন গাছে কি ? কোনে ভূপৰ্য্যটক কি এপর্য্যন্ত মহামেরু-দেশের এমন সংক্ষিপ্ত অথচ সত্যকার রূপ, আমাদের মানসচক্ষে, এমন করিয়। তাহার সমস্ত রহস্য পুঞ্জীভূত করিয়া, এমন চিন্ময় করিয়া তুলিতে পারিয়াছে ? (৩) কবির নিজের কথায়, “চিরদিবসের বিশ্ব । অাকি' সম্মুখেই দেগিল্প সহস্রবার দুয়ারে আমার ”—সে কেমন দেথা ?— শূন্ত প্রান্তরের গান বীজে ওই এক ছায়াবটে ; নদীর এপারে ঢালুতটে চাষী করিতেছে চাষ ; উড়ে চলিয়াছে ইস ও পারের জনশূন্ত তৃণশূন্ত বালুতারতলে । চলে কি না চলে ক্লাস্তস্ত্রেীত শীর্ণ নদী, নিমেষ-নিহত অধি-জাগা নয়নের মত । পথখানি বাক! বহুশত বরলের পদচিহ্ন-অীক। চলেচে মাঠের ধীরে—ফসল-ক্ষেতের যেন মিত{-- নদীসাথে কুটীরের বহে কুটুম্বিত ।