পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇ88 প্রভৃতির ছাত্রীবৃন্দ এই প্রতিযোগিতায় যোগদান করিয়াছিল। লীযুক্ত সরল দেবী সভানেত্রীর আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন। প্রথমে বাঙালী ও ও মাড়োয়ারী বালিকার লাঠি ও অসি খেলার কৌশল প্রদর্শন করে। মাড়োয়ারী বালিক-বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষয়িত্রী অসি-ক্রীড়ায় পারদর্শিত দেখাইয়াছিলেন। " একটি বাঙ্গালী বালিক ও একটি মাড়োয়ারী ৰালিকা দুই হাতে অসি চালাইয়া সকলকে চমৎকৃত করিয়াছিলেন। সবচেয়ে সুন্দর হইয়াছিল ছোর চালন । দুইজনে পরম্পরকে ছোর লইয়া আক্রমণ ও আত্মরক্ষার কৌশল প্রদর্শিত হইয়াছিল। বাঙ্গালী ও মাড়োয়ারী মেয়ের সকলেই এই খেলায় কৃতিত্ব দেখাইয়াছিলেন। দুইটি বাঙ্গালী বালিক মুষ্টিযুদ্ধের কৌশল দর্শন করিয়াছেন। বাঙ্গালী মেয়ের নানাপ্রকারের স্কিপিং বা দড়ি-খেলাতেও দক্ষত৷ দেখাইয়াছিলেন। আমাদের মেয়ের দিন দিন দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন হইয় পড়িতেছেন । ইহার ফলে একদিকে যেমন শিশু ও প্রস্থতি মৃত্যুর সংখ্যা বুদ্ধি পাইতেছে—অদ্যদিকে আত্মরক্ষার অপটু মেয়ের পথে-ঘাটে দুৰ্ব্বত্তগণ কর্তৃক নিগৃহীত হইতেছেন। সুতরাং এরূপ অনুষ্ঠান দেশে যত বেশী इन्न ठउद्दे यत्रल । বিবাহে অপূৰ্ব্ব যৌতুক— গত ২৬শে শ্রবণ বগুড় লেীন অফিসের সেক্রেটারী শ্ৰীযুত ক্ষীরোদনাগ পর দ্বিতীয় পুত্রের বিবাহে কস্তাপক্ষ হইতে অস্তান্ত যৌতুক সামগ্রীর মধ্যে একথান ছোরা প্রদত্ত হইয়াছে। বিবাহের বৈদিকক্রিয় সম্পন্ন হইলে পর, দাত কস্তার হস্তে ছোরখানা সমর্পণ করিয়া তাহাকে ঐ-ছোর আজীবন ধারণ করিতে এবং আবিষ্ঠক হইলে নিজের সন্মান রক্ষার জন্ত ব্যবহার করিতে অনুরোধ করেন। —শক্তি (বৰ্দ্ধমান ) 研t习一 শ্ৰীমতী হরিমতী দত্ত র্তাহার স্বর্গগত স্বামী পরাণচন্দ্র দত্ত মহাশয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর বাণীভবন নিৰ্ম্মীণ ফণ্ডে পচিশ হাজার টাকা প্রদান করিয়াছেন। পূৰ্ব্বে ইনি এই-কার্য্যে আরও দশ হাজার টাকা দিয়াছিলেন। শ্ৰীমতী হরিমষ্ঠার স্বামী-স্মৃতিতে নারী-শিক্ষায় এই দীন দেশের নারী-শিক্ষার ইতিহাসে উজ্জ্বল হইয়া রহিবে। ভাওয়ালের রাণী আনন্দময়ী দেবী ঢাকা স্বারস্বত্ত-সমাজে চল্লিশ হাজার টীকা দান করিয়াছেন । প্রেসিডেন্সী-বিভাগ সমবায় সম্মিলনী গত মাসে রাণাঘাটে প্রেসিডেন্সি বিভাগ সমবায়-সন্মিলনীর প্রথম অধিবেশন হইয়াছিল । সভাপতি শ্ৰীযুক্ত যামিনীমোহন মিত্র উহার অভিভাষণে বঙ্গীয় কৃষি সমবায় আন্দোলনের উদ্দেষ্ঠ ও আদর্শ সম্বন্ধে সারবান কথা বলিয়াছিলেন। গো রক্ষিণী সভা গতমাসে কলিকাতার মহাবোধি সোসাইটি হলে প্রধান বিচারপতি শ্ৰীযুক্ত নলিনীরঞ্জন চট্টোপাধ্যারের সভাপতিত্বে গোরক্ষিণী সভার অধিবেশনে হয় । সভায় গো-জাতির অবস্থার উন্নতি, গোঁহত্যা নিবারণ, গোচরণ-ভূমির ব্যবস্থা, গো-চিকিৎসালয়ে ফুকা দেওয়া প্রথা রহিত कब्रिषांद्र वावश 4द९ cशांबांउिन ब्रष्कांद्र खछ मवृकब्र ७ वादशं★क नडी ইত্যাদির নিকট অনুরোধ-স্বচক প্রস্তাৰসমূহ গৃহীত হয়। *. প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আনন্দমোহন বস্ব স্মৃতি বার্ষিকী ১৯৯৬ সালের ২৭শে আগষ্ট আনন্দমোহন বস্ব পরলোক গমন করিয়াছেন। র্তাহার মৃত্যুস্কৃতি উপলক্ষে গত সালে কলিকাতা এলবার্ট ইনষ্টিটিউট গৃহে এক সভার অধিবেশন হয় ৷ vআনন্দমোহন ভারতবাসীর মধ্যে প্রথম র্যাংলার। স্বরেন্দ্রনাথের সহিত দেশের কার্ধ্যে আনন্দমোহন একই ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন। দেশে শিক্ষার বিস্তার, নারী জাতির উন্নতি, রাজনীতিক জ্ঞানের উদ্বোধন প্রভৃতি কার্য্যে বঙ্গদেশে আনন্দমোহন অগ্রসর হইলেন। উহার প্রতিষ্ঠিত ভারত-সভা ও সিটি কলেজ এখনও অটল কীৰ্ত্তিমন্দিরের মত বিদ্যমান রহিয়াছে । বঙ্গব্যবচ্ছেদ আন্দোলনের সময়ে ৭ই আগষ্টের সেই চিরস্মরণীয় সভায় আনন্দমোহনের সেই বাণী বাঙ্গালীর প্রাণে চিরকাল মিলনের শক্তি সঞ্চার করিবে। সমাজসংস্কার আন্দোলনেও তিনি জীবনের অনেকাংশ বায় করিয়াছিলেন । তিনি ব্যক্তিগত জীবনে পবিত্র-চরিত্র ও ঈশ্বর-ভক্ত ছিলেন। সৰ্ব্বপ্রকার লোকহিতকর কার্ষ্যের জন্য তিনি কিরূপ পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করিতেন, তাহ। শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়ের আত্মজীবনী পাঠে জানা যুয়ি । নব্য-বাঙ্গলার অগ্রণীদলের এইসব মহৎ ব্যক্তির চরিত্র স্মরণ করিলে জাতির কল্যাণ হইবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯২৫-২৬ সালের রিপোটে প্রকাশ যে,ঢাকা বোর্ড ও কলিকাত ইউনিভাসিটি হইতে সাহারা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহীদের অধিকাংশই কাৰ্য্যক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষা ব্যবহার বিষয়ে কঁচি থাকেন। সঁtহার ইতিহাস, স্যায়শাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র ও অঙ্কশাস্ত্রে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার উত্তীর্ণ হন, তাহার প্রায়শঃই ঐসকল বিষয়ের মূলনীতিগুলি অবগত নহেন। ১৯২৫-২৬ সালে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রদিগের ভিতর একশতটি বুত্তি দেওয়া হইয়াছে। ইহাদের ৬৮ জন মুসলমান, ৩২ জন হিন্দু। মিস্ ফৈজলউন্নিসা নামী একটি মুসলমান বালিকাকে মাসিক ৩২ টাকা করিয়া পোষ্ট-গ্রাজুয়েট বৃত্তি দেওয়া হইয়াছে। মেদিনীপুরে বন্ত্যা— শ্রাবণের প্রবল বারিবর্ষণের ফলে উপযুপিরি যন্ত হইয়৷ মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল, সবং, ডেবরা, পিংলা, নারায়ণগড়, খড়গপুর, কঁথি ও তমলুক এলেকায় ভীষণ ক্ষতি হইয়াছে। ইহার ফলে প্রায় পাঁচ লক্ষ লোক জtশ্রয়হীন ও সম্বলহীন হইয়াছে। ধান্তক্ষেত্র-সমূহ জলে ডুবিয়া থাকায় এবৎসরের ফসল একবারে নষ্ট হইয়াছে। অনেক গৃহ পতিত ও ভগ্ন হইয়াছে। গবাদি পশু অনেক মরিয়াছে, আহারাভাবে অনেকে মরিতে বসিয়াছে। মনুষ্যের দুর্দশার সীমা-পরিসীমা নাই । এই দুর্দিনে মেদিনীপুরবাসী সকল সহৃদয় দেশবাসীর কক্ষণ ভিক্ষ করিতেছে। অর্থে, সামর্থ্যে সহানুভূতিতে যিনি যে-প্রকার সাহায্য প্রদান করিতে পারেন, তাঁহাই করা উচিত । জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মেদিনীপুর সহরে একটি বস্ত৷ সাহায্য সমিতি স্থাপিত হইয়াছে। মেদিনীপুর জেলা-কংগ্রেস কমিটির ও কলিকতা সাহাষ্য সমিতির পক্ষ হইতে সাহায্য ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা করিয়া দেশবাসীর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হইয়াছে। কলিকাতায় আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ৯২নং জাপার সাকুলার রোডে সাহায্য সমিতি গঠিত হইয়াছে। সেখানে টাদ দিলেই যথাস্থানে সাহায্য cऔौश्रिव। এই প্রসঙ্গে সহযোগী খাদেম কয়েকটি সারবান কথা লিখিয়াছেন। প্রত্যেক মুসলমান যুবকেরই তাহ পাঠকরা উচিত। খাদেম লিখিতেছেন ঃ