পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ՊՓ অধিকাংশ স্বলেই দুৰ্ব্বত্ত অপরাধীগণ উপযুক্ত শাস্তি পাইতেছে ন— কাজেই তাহারা ভুঙ্কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত হইতেছে না। সম্প্রতি কেনিয়ার সংবাদে প্রকাশ যে, সেখানে নারী-নিৰ্য্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তির বিধান হইয়াছে। সহযোগী সঞ্জীবনী হইতে আমরা কেনিয়া ও বঙ্গদেশের দুইটি অপরাধের ও তাহান্ন দণ্ডের সংবাদ দিলাম। কেনিয়ায়— কেনিয়ার একজন দেশীয় লোক একটি বৃদ্ধ শ্বেতাঙ্গ মহিলার উপর অত্যাচার কবির অভিযোগে অভিযুক্ত হয় । দীর্ঘ শুনানীর পর এই মামলা শেষ হইaাছে । আসামী দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে তাহীর প্রতি ১৪ বৎসরের কারাদণ্ড এবং ২৪টি বেত্রাঘাতের আদেশ হইয়াছে। এই ঘটনার জন্তই কেনিয়া গবর্ণমেন্ট, নুতন আইন প্রণয়ন করিয়া প্রাণদণ্ডেয় ব্যবস্থা করিয়াছে। o বঙ্গদেশে--- (১) শ্ৰীহট্ট জেলায় তাহিরপুর থানীর অন্তর্গত লাউড়ের গড় গ্রামের লালজান বিবি নামী জনৈক ত্রয়োদশ বর্ষীয় মুসলমান বালিকা পিতার অরখ জানিয় তাহার সম্পর্কিত দশ বৎসর বয়স্ক এক ভ্রাতুপুত্রের সহিত পিত্ৰালয় ঘাগটয়া গ্রামে আসিতেছিল। পথে নাছিরউল্লা নামক এক দুৰ্ব্বত্ত লোক তাহার উপর অত্যাচার করে। শ্ৰীহট্টের জজ আদালতে জুরীর বিচারে আসামীর দুই বৎসর কারাদণ্ড হুইয়াছে। (২) কিছুদিন পূৰ্ব্বে চাদপুর ষ্টেশনে পাটকলের একজন সাহেব একটি ভদ্রমহিলার সঙ্গম-নাশের চেষ্টা করিয়াছিল। চাদপুরের হাকিমের বিচাবে উক্ত শ্বেতাঙ্গের মাত্র ৫০ টাকা জরিমান ও মাত্র ১ মাসের জেল হইয়াছে। আর জরিমান আদায় হইলে ভদ্র মহিলাকে ৩-২ টাঙ্গ দেওয়া হইবে । বিচারক এই জরিমানার টাকা মহিলাকে দিবীর আদেশ দিয়া নারীসন্ত্রমের অপমানকে দ্বিগুণিত করিয়া ফিরাইয়া দিয়াছেন। —বরিশাল এইরূপ লঘু-শাস্তির ধরন অপরাধীরা খুব প্রশ্রয় পাইতেছে। পুলিশও এইসব দুৰ্ব্বত্তদের ধরিবার যথোপযুক্ত চেষ্টা করিতেছে বলিয়৷ প্রমাণ পাওয়া যায় না। কারণ অাজ দুই মাসের উপর হুইল চট্টগ্রামের যশোদামুন্দরী নামে একটি নমখুদ্র নারীকে মুসলণনের জোর পূর্বক लईशा शिग्नांtछ्J १ म:सांग यांप्रब्र शृ* ग्रिाश् ि। क्रुि ७थन७ তাহার উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা হইল না । সহযোগী আনন্দবাজারের নিম্নলিখিত মন্তব্যের প্রতি আমরা দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাইতেছি। প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩e [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড “চট্টগ্রামে হতভাগিনী যশোদার আজও দুৰ্ব্বত্ত মুসলমানদের কবল হইতে উদ্ধার সাধন হইল না । ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ারেন্ট জারী করিয়া বসিয়া আছেন, আর পুলিশ মামুলী তদন্ত করিয়ান্ট থালাস। দুই তিন মাস কালের মধ্যে একজন অপহৃত নারীকে প্রবল-প্রতাপ ব্রিটিশ শাসকগণ মুষ্টিমের দুৰ্ব্বত্তের কবল হইতে উদ্ধার করিতে পারিলেন না, একথা কেহই বিশ্বাস করিবে না। স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটাকে মোটেই গুরুতর মনে করিতেছেন না। অপহৃত ইংরেজ রমণী ইলিসের উদ্ধারের জন্য ভারতের সমস্ত সৈন্যবল প্রয়োগ করিবার কলকোলাহল র্যাগর করিয়াছিলেন, দরিদ্রঘরের বধু যশোদার উদ্ধারের জন্ত উহার বাঙনিপত্তি পর্যাস্ত করিতে পরাভূখ। বাঙ্গলার শাসন-বিভাগের ছোট বড় সকল কৰ্ত্তাকেই আমরা স্পষ্ট ভাষায় জিজ্ঞাসা করিতেছি, হতভাগিনী যশোদার উদ্ধার সম্পর্কে তাহদের কোন কৰ্ত্তবা আছে কি ন ? পক্ষাস্তরে হিন্দু সমাজেরও এবিষয়ে কৰ্ত্তব্য পালনের ক্রেট ঘটিতেছে । কলিকাতায় টেলিফোন-খরচা— সম্প্রতি ইণ্ডিয়ান চেম্বার অব কমস বঙ্গীয় টেলিফোন কোম্পানীর কর্তৃপক্ষকে টেলিফোন-খরচা সম্পর্কিত একখানি পত্র দিয়াছেন। তাহার হিসাব করিয়া দেখাইয়াছেন, লণ্ডনের প্রত্যেক টেলিফোন গ্রাহক গড়ে প্রত্যেক কলিকাতার গ্রাহক অপেক্ষ বৎসরে প্রায় ৫০ টাকা কম চার্জ দেয়—যদিও সেখানকার টেলিফোন বিভাগ কলিকাতা অপেক্ষ অনেক কাৰ্য্য-তৎপর এবং সাধারণের সুবিধার প্রতি যত্নবান। ইণ্ডিয়ান চেম্বার অব কমাস বলেন যে, ৰুলিকাতার মেসেজ রেট (অর্থাৎ প্রতি ডাক অনুসারে চার্জ)অত্যন্ত ব্যয়-সাপেক্ষ : কাজেই ঐ নিয়ম বদলান দরকার । উহাদের মতে প্রতি গ্রাহক মাসে ত্রিশটি “কল” পাইবার অধিকার এবং টাকায় ১২টির পরিষৰ্বে ১৬টি “কল" হওয়৷ বাঞ্জনীয়। গ্রাহকদিগকে যে সামান্ত রিবেট (ব'ট) দেওয়া হয় তাহারা তাহাও বাড়াইবার পক্ষপাতী । হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গ— গত জন্মাষ্টমীর মিছিল লইয়৷ কলিকাতার খিদিরপুরে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গ হইয়া গিয়ছে। প্রকাশ, হিন্দুর পুলিশ লাইসেন্সের শির্দিষ্ট সময়ে শোভাযাত্র লইয়। যাইতেছিল। মুসলমানের তাহাদিগকে বাধা দেয় ও অনেককে আহত করে। বরিশালের পটুয়াখালি ও ঢাকা হইতেও হিন্দু-মুসলমান গোলযোগের খবর আসিয়াছে। মৃত্যু-দূত সেলমা লাগরলফ, পঞ্চম পরিচ্ছেদ ब्रुङ्का-जस्त्रावध ক্ষণকাল স্তন্ধ থাকিয়া সিস্টার ট্রডিথ, কাতরভাবে বলিয়া উঠিল, “দেখ, তার সঙ্গে একটিবার দেখা না হ’লে আমি মরুতে পারব না, তুমি নিশ্চয়ই আমাকে এ অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইবে না—তার স্ত্রীপুত্রের কথা ভেবেও আমায় একটু সময় দাও!” ডেভিড হল অবাকু হইয়া জর্জকে দেখিতে লাগিল |