পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిఫి প্রবাসী—জাখিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড নয়, বুদ্ধিমান শিক্ষিত টাইপিষ্ট । বাল্য-বিবাহ যদি দেশের সাধারণের অনুমোদিত ন হইত তাহা হইলে ঐ যুবক ঐ বালিকাকে বিবাহ বা স্পর্শ করিতে পারিত না । সাধারণত ১৮ বৎসরের নিম্নবয়স্ক বালিকার বিবাহ দেওয়া উচিত নয়।” দেশের শিক্ষিত সাধারণ মহাত্মা গান্ধীর কথাগুলি ভাৰিয়া দেখুন। নারীর স্বাস্থ্যোন্নতি শুধু অল্পবয়স্ক মেয়েদের বিবাহ নিবারণ করিতে পারিলেই যে, মেয়েদের স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটিবে, তাহা নহে । শারীরিক উন্নতি লাভের জন্য ছেলেরা যেমন ব্যায়াম করে, আমাদের মেয়েদেরও সেইরূপ নানা-প্রকার ব্যয়ামে অভ্যস্ত করিতে হইবে। দেশে নারী-নিৰ্য্যাতন ও নারী-ধর্ষণ ভীষণ মাত্রার বাড়িয়া চলিয়াছে । ইহার প্রতিকার— গ্রামে গ্রামে নারী-রক্ষণ সমিতি গঠন ত বটেই ; সেই সঙ্গে-সঙ্গে মেয়েদের শরীর-চর্চায় শিক্ষিত করা দরকার । মেয়ের যদি শারীরিক বলে বলী হন তাহা হইলে দুৰ্ব্ব ত্ত লোকে উীহাদিগকে স্পর্শ করিতে সাহস করিবে না । নারী চিরকাল অসহায় অবলা থাকিবেন, আর প্রতি পদক্ষেপে পুরুষের সাহায্য প্রার্থনা করিবেন—নারীয় এই অবস্থা নারীর পক্ষেই অপমানকর ; আর তাহা পুরুষদের পক্ষে অধিকতর অপমানকর এই হেতু, যে, আমাদের দেশে নারীকে শতেক বন্ধনে বদ্ধ করিয়া রাখার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী পুরুষ । নারীকে এই দুৰ্ব্বলতার অপমান হইতে পুরুষকেই রক্ষা করিতে হইবে । মেয়েদের বাল্য হইতে নিয়মিত ব্যায়াম শিক্ষা দিবার জন্য আমাদিগকে শীঘ্রই বিশেষ চেষ্টা করিতে হইবে । এইরূপ প্রচেষ্ট। যে দেশে আরম্ভ হইয়াছে, তাহার দৃষ্টান্ত—কয়েক দিন পূৰ্ব্বে কলিকাতায় ইউনিভারসিটি ইন্সটিটিউটে শ্ৰীমতী সরল দেবীর নেতৃত্বে কলিকাতার অনেক বালিকা-বিদ্যালয়ের বালিকায়া ব্যায়াম প্রতিযোগিতা করে। ইহা খুবই আনন্দের কারণ । এই অনুষ্ঠানের পরিচয় এই মাসের “দেশবিদেশের কথায়” সবিশেষ দেওয়া হইল। আমরা এইরূপ প্রচেষ্টার আন্তরিক সমর্থন করি। স্তার পি, সি, রায় ও মেদিনীপুর বন্য উত্তর বাংলায় যখন ১৯২২ খ্ৰীঃ অক্সের শেষের দিকে ভীষণ বস্ত হয়, সে-সময় তার পি, লি, রায়ের উদ্যমে প্লাবিত স্থানের অধিবাসীদিগকে সাহায্য-গান-কার্ধ্য অভূতপূৰ্ব্ব রূপে সম্পন্ন হয় । সে-সময় দেশবাসী যেরূপ উৎসাহের সহিত আৰ্ত্তসেবার কার্ষ্যে অগ্রসর হুইয়াছিলেন তাহার তুলনা হয় না। যত অর্থ সে-সময় চাদা-স্বরূপ উঠিয়াছিল তাহার এক দশমাংশও আজ পাওয়া যাইলে মেদিনীপুরের দুঃস্থ লোকেরা কতকটা বাচিয়া যাইত। উত্তর বঙ্গ রিলিফ কমিটি অর্থাৎ স্যার পি, সি, রায় বহু লক্ষ টাকা চাদ স্বরূপ পাইয়াছিলেন, সে-অর্থের সমস্ত বন্যাদুঃস্থের সাহায্যাৰ্থ ব্যয় করা হয় নাই। তিনি উদৃত্ত অর্থ ( প্রায় তিন লক্ষ টাকা ) খাদর প্রচার কাৰ্য্যে ব্যয় কবিয়াছেন। মেদিনীপুরের বস্তার সময় মনে হইতেছে যে, যদি স্যার পি, সি, রায়ের আদায়ীকৃত এই অর্থ যে-কারণ দেখাইয়া জনসাধারণের নিকট আদায় করা হয় সেই কারণে বায়ার্থে, অর্থাৎ আৰ্ত্তসেবার জন্য, মজুত রাখা হইত তাহা হইলে আজ সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের প্রাণরক্ষা হইত। ন্যায়ত এ অর্থ এইসকল বন্ত-পীড়িতেরই প্রাপ্য ; কিন্তু স্যার পি, সি, রায় খন্দর প্রচাররূপ উচ্চ অাদশের দোহাই দিয়া অর্থটি ব্যয় করিয়া বসিয়া আছেন, কাজেই সে-কথা তুলিয়া কোন ফল নাই। খদ্দর প্রচারআৰ্ত্তসেবা বা Flood Relief কি না তাহা লইয়া তাহার সহিত কাগজে-কলমে তর্কের জাল বুনিয়াও লাভ নাই, কারণ তাহার ফলে মেদিনীপুরের বন্যাদুঃস্থদিগের কোন লাভ হইবে না । জনসেবা ও ভোট আদায় মেদিনীপুরে বন্যা হওয়ার ফলে অনেক কাউন্সীলপ্রবেশকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি বা ব্যক্তিসংঘ এই ঘটনা অবলম্বনে নিজেদের প্রতি ভোট আকর্ষণ করিবার চেষ্টা করিতেছেন । একবার মেদিনীপুর অঞ্চলে ঘুরিয়া আসিয়া অথবা কয়েক মণ চাউল বিতরণ করিয়া বা করাইয় অনেকে দেশবাসীর নিকটে বিরাটু জনসেবকরূপে উপস্থিত হইতে চেষ্টা করিতেছেন । এইপ্রকার মিথ্যা অভিনয় অত্যন্ত লজ্জাকর ও মনুষ্যত্বের অভাব-পরিচায়ক । দেশবাসীর উচিত এইসকল ব্যক্তি ও ব্যক্তিসংঘকে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব হইতে যথাসম্ভব দূরে রাখা । স্যার হিউ-ষ্টিফেনসনের অভিভাষণ বিতরণ ২রা আগষ্ট ঢাকা দরবার-হলে স্যার হিউ ষ্টিফেনসন যে-আভিভাবণ দিয়াছিলেন তাহার একটি বাংলা অনুবাদ কলিকাতার রাস্তায় “হ্যাও বিল” রূপে বিতরিত হইয়াছে। আপনাদের-সাফাই-গাওয়া এই বিজ্ঞাপনটি বিলি করিয়া সরকার বাহাদুর সম্ভবত দেশবাসী সকলকে বৃটিশের আমরণ পূজারীরূপে পাইবেন বলিয়াই আশা করিয়াছেন, কিন্তু আমাদের মনে হয় যে, অধুনা দেশবাসী ষেরূপ বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত হইয়া উঠিয়াছেন তাহাতে এপ্রকার