পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెవె8 প্রবাসী . আশ্বিন, ১৩৩৩ ২৬শ ভাগ, ১ম - = পার্টি অপেক্ষ অধিক পরিমাণে সাধারণের সহানুভূতি পাইতে সক্ষম হইবেন । নেত: কে ? দেশের কাউন্সিল খেলা-ঘরে ছলে বলে কৌশলে অধিক ভোট আদায় করিয়া যিনি প্রবেশ লাভ করিবেন তিনিই কি তৎক্ষণাৎ দেশনেত বলিয়া প্রমাণিত হইবেন ? নিশ্চয়ঙ্গ না । নেতার যে সকল গুণের আধার হওয়া প্রয়োজন সে সকল গুণ যতক্ষণ কোন নেতৃপদাকাজক্ষী ব্যক্তি দেখাইতে না পরিবেন ততক্ষণ তিনি দেশবাসীর ভোট পাইলেও শ্রদ্ধা পাইবেন না । ভোট পার্টির চেষ্টায় নানা কৌশলে আদায় হয় এবং তাহা পার্টির নিকট দাসখত লিখিয়া যাহারা যাহারা আত্মাবিক্রয় করেন, তাহাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হইয়া থাকে। কাজেই ভোট পাওয়ার ফলে কোন ব্যক্তির চরিত্রবল, কৰ্ম্মক্ষমতা, যথার্থ জনহিতেচ্ছা; বিদ্যা, বুদ্ধি, কিছুই প্রমাণ হয় না । ভোট আদায় কালে ব্যক্তি বিশেষ যে সকল বক্তৃতা ও প্রতিজ্ঞা করেন তাহার একটিও যে কার্য্যে পরিণত হইবে এরূপ আশা করার কোন কারণ সেই ব্যক্তির আজীবনের কার্য্যকলাপ না বিচার করিয়া করা যায় না। এই কারণে ভোট দেওয়াতে যাহার। বিশ্বাস করেন তাহদের উচিত ব্যক্তিকে পার্টি হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া বিচার করিয়া তবে ভোট দেওয়া । মেদিনীপুরে বন্যা মেদিনীপুরের তমলুক ও কাথি সাব-ডিভিশন প্রবল বন্যায় জলমগ্ন হইয়া গিয়াছে। তমলুকে প্রায় ১• • বর্গ মাইল ও কঁথিতে প্রায় ২০০ বর্গ মাইল বন্যা-প্লাবিত হইয়াছে। এইসকল জল-প্লাবিত স্থানে প্রায় ৩০০ ০০০ লোকের বাস এবং প্লাবনের ফলে তাহাদিগের অবস্থা আতিশয় শোচনীয় হইয়াছে । বদ্যার কারণ এখন পর্য্যস্ত যাহা জানা যায় তাহাতে মনে হয় প্রবল বৃষ্টি এবং উপযুক্ত জল নিষ্কাশণের পথের অভাব। তমলুক অঞ্চলে কসাই ও কালিঘাই নদী ও এতদুভয়ের সঙ্গম হল্দী নদীর মুখ চড়া ও পলি পড়িয়া প্রায় বন্ধ হই যাওয়ায় জল বাহির হইবার উপযুক্ত পথ নাই এবং কাথি অঞ্চলে রম্বলপুর নদীর অবস্থাও ঐ এক প্রকার। ফলে প্রবল বৃষ্টির জল বাহির হইবার পথ না পাইয়া বাধ ভাঙ্গিয় দেশ প্লাবিত করিয়াছে । আমগাছিয়ার নিকটে একস্থানে কালিঘাই নদীর প্রায় ১ মাইল পরিমাণ বাধ ভাঙ্গিয়াছে এবং সে-স্থান দিয়া এখনও বস্তার জল প্রবেশ করিতেছে । শুধু চড়া ও পলি পড়া জল বাহির হওয়ার অন্তরায় হইলেও তবু হইত, কিন্তু এই অঞ্চলে দেশের এক দিক্ হইতে অপর দিক্‌ পৰ্য্যন্ত হিজলি টাইডাল কেন্যালের বঁধি অবস্থিত আছে । এই বঁধে থাকায় বন্যার জল সৰ্ব্বত্র জমিয়া রহিয়াছে, বাহির হুইবার পথ পাইতেছে না। তমলুক অঞ্চলে জল কিছু কমিয়াছে, কিন্তু কঁথিতে সৰ্ব্বত্র এখনও জল পূর্ণ মাত্রায় রহিয়াছে। বন্যার কথা প্রচার হইবামাত্র গভর্ণ মেণ্টের লোক ঐ অঞ্চলে গমন করে। এইবার গভর্ণমেণ্টের কার্য্যে যেরূপ তৎপরতা দেখা গিয়াছে,সৰ্ব্বক্ষেত্রে সেইরূপ গুইলে দেশের মঙ্গল হইবে মনে হয়। শ্ৰীযুক্ত রাইড, ডিষ্ট্রক্ট মাজিষ্ট্রেট ও শ্ৰীযুক্ত রহমান,সাব ডিভিসনাল অফিসার, উভয়েই অতি যোগ্য তার সহিত বদ্যা-প্ৰপীড়িতের সাহায্য করিয়াছেন । বন্যা প্লাবিত স্থানে গভর্ণমেণ্ট দুইটি চাউলের ডিপো খুলিয়াছেন ও তাহাতে ৫০০০ মণ চাউল মজুত করিয়াছেন । বন্য-প্লাবিত স্থান ১০টি সার্কলে ভাগ করা হইয়াছে ও তাহার প্রত্যেকটির উপর একটি করিয়া সার্কল-অফিসার নিয়োগ করা হইয়াছে। সৰ্ব্বোপরি ৩ জন সুপারভাইজার রাখ৷ হইয়াছে। অবশ্য সরকারী সাহায্য ফ্যামিন কোড, অনুসারে দেওয়া হইতেছে ও তাহাতে অনেক দুস্থ লোকে ও সাহায্য পাইতেছে না ; কিন্তু ইহার উপায় নাই এবং সরকারী কৰ্ম্মচারীগণ ইহার কোন প্রতিকার করিতে পারেন না । কোন স্থলে গভর্ণমেণ্ট অন্য কোন উপযুক্ত সুংঘের কার্য্যেচ্ছা দেখিলে তাহার হস্তে কার্য্য ছাড়িয়া দিতেছেন ও তাহাকে কাৰ্য্য স্থসাধিত করিতে যথাসাধ্য সাহায্য করিতেছেন । বৰ্ত্তমানে বন্যাপ্লাবিত স্থলে যে সকল ংঘ কার্য্য করিতেছেন তাহাদের মধ্যে উল্লেগযোগ্য— রামকৃষ্ণ মিশন, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ, কঁথি বার লাইব্রেরী, কঁথি কংগ্রেস পার্টি, তমলুক সেবা-সংঘ, এবং মহিশাদলের রাজার প্রেরিত দল। ভারত-সেবা-সংঘ ও অদ্যান্ত দুই একটি সংঘও কার্য্য করিতে প্রথমত গিয়াছিলেন, কিন্তু বৰ্ত্তমানে সে সকল সংঘ কার্য্য বন্ধ কবিয়াছেন। স্তর পি, সি, রায়ের তরফ হইতে কোন কাৰ্য্য বৰ্ত্তমানে হইতেছে না। একজন সংবাদদাতার খবর যে, তিনি শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্র রাউত মহাশয়কে ৮৫ ০< দিয়া বন্যা-প্লাবিত স্থানে পাঠাইয়াছিলেন ও রাউত মহাশয় ৩০ মণ চাউল বিতরণ করিয়া ফিরিয়া আসিয়াছেন । বৰ্ত্তমান বন্যার অবস্থ৷ যেরূপ তাহাতে মনে হয় না যে, সৰ্ব্বস্থলে দুই মাসের পূৰ্ব্বে এল শুকাইবে । জল না শুকাইলে কোন-প্রকার কাজ দিয়া প্লাবিত স্থলের বাসিন্দাদিগের রোজগারের উপায় করিয়া দিবার সম্ভাবনা নাই । বর্তমানে প্রায় একলক্ষ লোকের বিভিন্ন-প্রকার সাহায্য প্রয়োজন । এইজন্ম সপ্তাহে শুধু চাউলই লাগিবে প্রায় ৬০০০ মণ। বস্ত্রহীনের জন্য কাপড়