পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె&b প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খ গু 7 এই কুলীকৃষ্ণের পুত্র yঅবিনাশচন্দ্র ঘোষ ইংরেজীতে অতি স্থলেখক ছিলেন । পুরাতন কলিকাতা রিভিউএ তাহার প্রবন্ধ পড়িয়া বিখ্যাত ষ্টেড সাহেব স্বখ্যাতি করেন । মন্মথ বাবু (জন্ম ১৮ জাহয়ারি, ১৮৬৫ ) পাটন স্কুল ও কলেজে খুব গৌরবে পড়াশুনা করিয়া ১৮৮৬ সালে ইংরেজীতে প্রথম শ্রেণীর অনার সহ বি-এ উপাধিলাভ করেন। সে যুগে ইংরেজীতে প্রথম শ্রেণী লাভ করা সস্তা ছিল না । পরে উকীল হইয়া তিনি আদালতে প্রত্যহই যাতায়াত করিতেন, কিন্তু পড়া ও লেখা এত ভালবাসিতেন যে র্তাহার অমনোযোগে পসার হইল না । বৈষ্ণব কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ও হেমচন্দ্র তাহার কণ্ঠে সৰ্ব্বদা বিদ্যমান ছিল নিজেও কবিতা রচনা করিয়া “শৈবাল” ও “ভেরী’ নামে ছুইখানি পুস্তিকা এবং “চবুখা” নামে একখানি নিৰ্ম্মল স্বপাঠ্য উপন্যাস ছাপিয়াছিলেন। শৈবালটি অতি বিনম্র ভাষ য়ু অর্মাদের কবিশ্রেষ্ঠকে উৎসর্গ করা হইয়াছে –

  • “দিলাম চরণ তলে ভক্তি উপহার,—

অজানা তাধার কোণে ফুটিল যা’ সঙ্গোপনে শত কুমুমের সনে প্রভায় তোমার । তা ছাড়া, নব্য ভারত, প্রদীপ, প্রবাসী, মানসী প্রভৃতি মাসিকে অনেক প্রবন্ধ প্রকাশিত করেন। কাশ্মীর, খাইবর-গিরি-সঙ্কট, লগ্নে), জব্বলপুর প্রভৃতি ভ্রমণ করিয়া তাহার বর্ণনা লেখেন । - বঁকিপুরের বাঙ্গালী সাহিত্য-সভা ( নাম, স্বহৃদপরিষৎ ) এখনও চলিতেছে । শ্ৰীযুক্ত রামলাল সিংহ ইহার প্রাণস্বরূপ : মন্মথবাবু অনেককাল ধরিয়া তাহার দক্ষিণ হস্ত ছিলেন এবং এই সংস্রবে লিখিত র্তাহার “বিবাহ-বাজার’ নামক নাটক মহা অাদরে পূজার সময় অভিনীতু হইয়াছিল। - বঁকিপুরের হরিসভাকে যে কয়জন ভক্ত ও কৰ্ম্মী নবজীবন দান করিয়া নিজস্ব স্ববৃহৎ অট্টালিকায় স্থাপিত করিয়াছেন, র্তাহাদের মধ্যে মন্মথবাবু অগ্রণী ছিলেন । প্রতি রবিবার এবং তিথি-পাৰ্ব্বণে এখানে কীৰ্ত্তন হয়, তাহাতে তিনি মহা উৎসাহে যোগ দিতেন, বিধিব্যবস্থা করিতেন, কোষাধ্যক্ষরূপে টাকা সংগ্রহ ও রক্ষা করিতেন। ভক্ত মন্মথনাথ শেষ রোগশয্যায় পডিয়া প্রতিদিবস কাছে কীৰ্ত্তন করাইতেন, এবং মনের শাস্তিতে অমরধামে গমন করিয়াছেন । - ১৯০১-১৯১০ পৰ্য্যন্ত বিহার প্রবাসী বাঙ্গালীদের মুখপত্র বিহার হেরাল্ড কাগজ তিনি সম্পাদিত করেন। পরে ১৯১৫ হইতে মৃত্যু পৰ্যন্ত দৈনিক এক্সপ্রেসের যোগ্য এবং সৰ্ব্বত্র সন্মানিত সম্পাদক ছিলেন। র্তাহার কি মিষ্ট স্বভাব, সরল, সরস কথাবাৰ্ত্ত ও ব্যবহার, জনসেবায় কত নীরব স্থির চেষ্টা, তাহা তাহার বহু বন্ধুগণই জানেন। ঐ সৌম্য সহাস মুখখানি, ঐ মিষ্ট কণ্ঠস্বর আমরণ র্তাহীদের হৃদয়ে অশ্রুবিজড়িত স্মৃতিরূপে থাকিবে । যঃ সঃ আমেরিকা-জাপান যুদ্ধ “লিটারারি ডাইজেষ্ট -পত্রিকা বলিতেছেন, জাপানে নাকি আমেরিক-বিদ্বেষ খুব প্রবল হইয়া উঠিয়াছে । . আমরা কিন্তু জাপানের কাগজপত্রে ওরূপ রোগের কোন লক্ষণ দেখিতেছি না । কোনও একটি বিশিষ্ট পত্রিকার মতামতকে জাতীয় মত, বলিয়া গ্রহণ করা উচিত নহে । বিশেষতঃ, যে-পত্রিকা পড়িয়া আমেরিকানরা ঐরূপ আশঙ্ক। করিয়াছিলেন, তাহা জাপানের কোনো উল্লেখযোগ্য পত্রিক। নহে । আমাদের নিকট ঐ আশঙ্কা নিতান্ত অমূলক বলিয়া মনে হয়। 'লিটারারি ডাইজেষ্ট বলিতেছেন “জাপানের সংবাদপত্রদেবীগণ আমেরিকার সহিত যুদ্ধ চাহিতেছেন এবং সেই মত, লেখার সাহায্যে সাম্রাজ্যময় ছড়াইতেছেন । “আমেরিকা জাপানের দু’চক্ষের বিষ,” কারণ “জগতের সমস্ত শ্বেত জাতির বিরূদ্ধে জাপানের যথেষ্ট অভিযোগ আছে, বিশেষ করিয়া আমেরিকার বিরূদ্ধে ” ; জাপানের একমাত্র মুক্তির উপায় হইতেছে রাজ্য-বিস্তার-নীতি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র “তাহাতে বাধা দিতেছে ”; “যুক্তরাষ্ট্র অপদেবতার মতন জাপানের ঘাড়ে । চাপিয়া তাহার অস্তিত্বকে পর্ষ্যস্ত বিনাশ করিতে সচেষ্ট, সুতরাং অবিলম্বে একটা হেস্তনেস্ত হইয়া যাওয়া দরকার, যুক্তরাষ্ট্রের সহিত যুদ্ধ অবশুম্ভাবী ”; এইসমস্ত মত, জাপানী জনসাধারণের মধ্যে প্রচারিত হইতেছে এবং তাহারা ইহাতে বিশ্বাস করিতে অকুরুদ্ধ হইতেছে। একবার ওয়াশিংটন্‌-কনফারেন্সের ঠিকৃ পূৰ্ব্বে এবং আরেকবার ইমিগ্রেসন ল’তে আমেরিকান সেনেট কর্তৃক জাপানী-বহিষ্কার প্রস্তাবিত হওয়ার পরে জাপানে এইরূপ যুক্তরাষ্ট্রের সহিত যুদ্ধের গুজব রটিয়াছিল। ট্রান্স-প্যাসিফিক পত্রিকা বলেন—‘ওয়াশিংটন্‌ কনফারেন্সের পূর্ব পর্য্যন্ত স্ব-নিযুক্ত বক্তারা জাপানের পথে-ঘাটে যে-সব সস্তা ‘বাণী’ শুনাইয়া বেড়াইতেন, এই প্রবন্ধগুলি তাহা হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকারের। উক্ত কাগজের সম্পাদক বলিতেছেন, "এই মনোভাবগুলা আসিতেছে জাপানের মর্য্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিদিগের নিকট হইতে ; ইহা যুক্ত-রাষ্ট্রেব প্রতি বা তৎকৃত কোনও কর্শ্বের প্রতি অসন্তোষজনিত