পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] আত্মদর্শন s> করিতে আমাদের কি সংগ্রাম ! তুমি আমায় মায়ার কবল হইতে উদ্ধার করিয়া সচেতন আনন্দে বিশ্বপ্রাণের স্রোতে ঝাপ দিতে সাহায্য করিতেছ. “বিশ্বসঙ্গীতের অসীম প্রবাহ—ঐ তরঙ্গায়িত স্থর প্লাবনের মধ্যে ঝাপ দাও—আপনাকে ডুবাইয়া দাও ; সেই মহান অচৈতন্তই সৰ্ব্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষ ” ( R. Wagner : and Isoldc ) N-R ĐgritzIIU# c*RI উক্তির মধ্যে “অচৈতন্য কথাটা বিষম ব্যথা দেয় তাদের যাহার। তুচ্ছ স্বার্থের সমস্ত নৈরাশ্ব দ্বারা বর্তমানের নীচতাকে তাকৃড়াইয় আছে । সেই বেদনাকাতর হতভাগ্যদের ভরসা দিতে হইবে । য’হার নিজ নিজ থেলার সাজ গুলিকে নিজেদের সত্তার সঙ্গে ভ্রম করে-- তাহার উপরে উঠিতে পারে না--তাহাদের পক্ষে মৃত্যু কি বুঝিতেই পারি না ! মে মায়ায় আবদ্ধ হইয় তাহার জীবন কাটাইল, সে মায়াজাল ছিন্ন হইবে ; এবং যাহাকে তাঙ্গারা স্থায়ী সত্ত। বলিয়া কল্পনা করিয়াছিল তাত ধূলার দেহের সঙ্গেত ধূলা হইবে । কিন্তু তাদের চেতনা বেদনার অনুরণন, তাদের ব্যক্তিগত জীবনের স্বর সব দূরাগত প্রতিধ্বনির মত স্তনিত হইবে না কি ? সে সচেতন প্রাণ-স্রোত ঐসব মাতুযগুলিকে প্রাণবন করিয়াছিল, সেই শোতের সঙ্গীত নিম্নে ভীষণ নিরয়গহবরকে মুখরিত করিয়া উদ্ধে কোনো দিব্য সঙ্গীত-শিল্পীর নক্ষত্র-বীণায় ঝঙ্কার তুলিবে না ? বিশ্বাস ঘাহাদের আছে তাহারা বলি বে-–এই সঙ্কীর্ণ প্রাণ হইতেই মানুষ অনন্তের আভাস পাইয়া যায় ; মাহুযের ,ভী যে অনন্তের উপাদানে গড় । সুতরাং মরণ আমাদের বিরুদ্ধে কিছুই করে না—করিতে পারে না ; অনস্ত গাবনকে সে স্পর্শ ই করিতে পারে না । যে-সমস্ত আবরণ নিখিল সত্তার দৃষ্টিকে আচ্ছাদিত করিয়াছে, মরণ তাহা ছিন্ন করিং আমাদের শক্তি ও আনন্দকে বাড়াইয়। দেয়। মরণ সমস্ত ব্যবধান চূর্ণ করিয়া মুক্তি দেয় বলিয়া সত্তার প্রত্যক্ষ জ্ঞানকে আর কোন জিমিযই ঠেকাইতে পারে না ; সত্তার সত্যলোকে যাহা কিছু ভাবি, ইচ্ছ। করি, কার্য্যে পরিণত করিতে চাই, সবই নিৰ্ব্বাধ ভাবে সম্পন্ন হয় ; পূর্ণ সত্তার সঙ্গে খণ্ড সত্তা এক হইয়া Tristan যায়, আমাদের ও ভূমার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না । ভালবাস ! হে আমার দুঃখ-মুখের সার্থীগণ ! তোমরা আমার আত্মা, এস পরস্পরকে ভালবাসি । যে অপরকে দেয় সে ভূমাকে দেয়, যে ভূমাকে দেয় সে ভূমা হইয়া যায় । যৌবনারস্তে রম্য রল" কিন্তু বন্ধুগণ গৃঢ় সাধনের প্রলোভন হইতে সাবধান ! আগুন লইয়। খেলা করিও না, আত্ম। ত উৎসুক কিন্তু শরীর যে দুৰ্ব্বল । পুরকে ভালবাস, কিন্তু তুলিও না ধে তোমার আমার ব্যক্তিগত জীবনটাও সত্য , সত্যের অংশ মাত্র বলিয়া আমাদের পদবীগুলি মায়িক নয় । জগতের নিয়মগুলি মানিয়া চলি ও ; সেই নিয়ম অনুসারে প্রমুণ ধারণ করিয়া ভূমার নিয়মও পালন করিতে হইবে । আমরা কে জানিতে চেষ্টা কর ; যে যে ভূমিকায় এই জীবননাট্যে নামিয়াছি তার নিখুত অভিনয় করিতে হইবে;