পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సాNు গঞ্চের yদীননাথ মুপোপাধ্যায় রায় মহাশয়ের নিকট হইতে প। ওয়ায় তাহাঙ্গ “প্রবাসীর” প্রথম সংখ্যার পুপশ্চিত্র এবং ভারতের নানা প্রদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত স্থাপত্য-শিল্পের গৌরব স্বরূপ সৌপাঠকের চিত্ৰ শোভিত প্রচ্ছদপটে আবুত হইয়। ১৩৬৮ সালের প্রথম বৈশাপের শুভমুহূৰ্বে জনসমাজে “প্রবাসী” বাহির গুচয়ছিল । প্রচ্ছদপট প্রথমে কলিকাতায় ছাপ। গুইতেছিল। ভীষ্ট্রের সংখ্যা অর্থাৎ পঞ্চম সংখ্য হইতে তাহ। এলাহাবাদ ইণ্ডিয়ান প্রেস হইতেই ছাপা হইতে লাগিল । প্রথম সংপ্য। “প্রবাসীতে" ক্রাউন কোয়াটো আকারের প॥৮ কৰ্ম্মাগ্ন চল্লিশ পৃষ্ঠা মাত্র কাগজ ছিল । দুই এক জন হঠয়ছিল, লেপকের বিজ্ঞাপন ছাড়া বিজ্ঞাপন ছিল মাত্র দুইটি । প্রথম সপ্যার লেখকগণ ছিলেন, শী কমলাকান্ত শৰ্ম্ম, শ্ৰী জ্ঞানেন্দ্র মোহন দাস, শ্ৰী দেবেন্দ্রনাথ সেন এম-এ, বি-এল, শ্ৰী নিত্যcાજાન માત્રાત્રાવાઃ કમ-4, 4-હકે 5-4-4મ, સોમાનિન્મ চন্দ্ৰ পায় এম-এ, শরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সম্পাদক । প্রবাসের কবি দেবেন্দ্রনাথ সেনষ্ট দ্বিতীয় কমলাকান্ত রূপে “প্রবাসী"র জন্য অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । এই সময় কায্যাধ্যক্ষ ৪ প্রকাশক ছিলেন বাব আশুতোষ চক্ৰবৰ্ত্তী ! যে-সম্বে “প্রবাসী” প্রথম প্রথম ছাপা হইয়াছিল তাহার নাম ছিল, “Grand Jesus Machine," Made in Belgium উৎ ডবল ক্লাউন আকারের কাগজ ছাপিবার সন্ত্র ছিল । এক বৎসর পরে এই মেশিনেষ্ট “চরিত্র-গঠন” ছাপা তৃতীয়ছিল, এবং প্রবাসী ও “চরিত্র গঠন" লষ্টয় ষ্টণ্ডিয়ান প্রেসের বাঙ্গাল। মুদ্রাঙ্কনের স্থাপ্পা কাস্য-বিভাগের স্ত্রপা • হইয়াছিল। এই সময় ইণ্ডিয়ান প্রেসের ম্যানেজার ছিলেন বাপু গিরিজাকুমার ঘোষ। গিরিজাবাবু হিন্দী ভাষায় সুন্দর সুন্দর প্রবন্ধ লিপিতেন । তিনি “প্রবাসী’তেও মধ্যে মধ্যে লেখা দিতেন । তিনি , আর ইহজগতে নাই, কিন্তু তৃতীয় সংগ্যার প্রবাসী তাহার প্রতিকৃতি স্বীয় বক্ষে ধারণ করিয় তাহার স্মৃতি অমর করিয়া রাগিয়াছে । কবি দেবেন্দ্রবাবুর লিখিত শতাব্দীর বর’ শীর্ষক কবিতার সঙ্গে যে-চিত্র আছে, তাহাতে দড়াদড়ি বাধা দশ হাজার টাকার বরের ভি পি পার্শেলটি কন্যাকৰ্ত্তার বাড়ী পৌছাইয়া দিয়া যে স্থূলকায় পিয়নটি দাড়াইয়া আছেন, “বিংশ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড তিনিই গিরিজাবাপু । তার ধিনি পাশেলে বাধ পড়ি৷ আছেন, তিনি কলিকাত। হঠতে সেই সময় এলাহাবাদে বেড়াইতে অগসিয়াছিলেন । কাৰ্য্যাধ্যক্ষ ও প্রকাশক বাপ আশুতোষ চক্ৰবৰ্ত্তীর পর ৮ম ও ৯ম সংখ্য। অর্থাৎ আগষ্ঠায়ণ ও পৌষ সংপ্য হষ্টতে বাবু অনাথনাথ ধোম কাৰ্য্যাপ্যক্ষ হন । তাঙ্গার মৃত্যু হই,াছে । সম্পাদক মহাশয় এন্ড সংখ্যার বিহার, উত্তরপশ্চিম প্রদেশ, অসোপা, পঞ্চাব, মধ্য ভরত ও ব্রহ্মদেশে বাঙ্গালী সম্বন্ধে প্রতিযোগ প্রবন্ধের জন্যপদক চতুষ্টয় বিজ্ঞাপিত করিয়া প্রবাসী বাঙ্গালীর ইতিহাস উদ্ধারে প্রবর্তন দান করেন । “বঙ্গের বাঠিরে বাঙ্গালী” তাহারই প্রবাসী বঙ্গালার ধারাবাহিক ইতিহাস “প্রবাসীর’ বিশেষ । বলিয়| সাধারণ্যে বিবেচিত হঠতে পাকে ।

  • ૦ |

যুক্ত প্রদেশের রাজধানী এলাহাবাদে বঙ্গসাহিত্যোংসার্কিনী সভা ও বান্ধব সমিতি, প্রয়াগ বঙ্গ-সাহিত্য-মন্দির, চণ্ডি স্নান প্রেস এবং সাময়িক সাহিত্যানুরাগী প্রবাসী বঙ্গসন্তানগণ সে দ্বিতীয় যুগের প্রবর্তন করিয়াছিলেন, তথায় শ্রদ্ধের রামানন্দবাবুর আবিভাব ও “প্রবাসীর” প্রভাব সে যুগকে গৌরবোজ্জল করিয়াছিল । তখন এখানে মহামহোপাপ্যার পণ্ডিত আদিতারাম ভট্টাচাৰ্য্য ; স্বনামধন্য ডাক্তার সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, কবিবর দেবেন্দ্রনাথ সেন, কাব্যানন্দ জ্ঞানশরণ চক্রবর্তী, পাণিনি কাৰ্য্যালয়ের প্রবর্তৃক পণ্ডিত ভ্রাতৃদ্বয় বিদ্যাণব শ্রীশচন্দ্র এবং মেজর বামনদাস বক্স, সাহিত্যিক বিষ্ণুচন্দ্র মৈত্র, বাবু সৰ্ব্বেশ্বর মিত্র, কবিরাজ নীলমাধব সেনগুপ্ত, বাপু দীননাথ গঙ্গোপাধ্যায়, এব বাধ ইন্দুভূষণ রায় প্রমুখ অনেকেই প্রবাসে বঙ্গ সাহিত্যের এই নব-জাগরণের দিনে বর্তমান ছিলেন এবং সাহিত্যসেবা ম। করিলেও প্রয়াগের বিশিষ্ট প্রবাসী এবং ঔপনিবেশিক বহু বাঙ্গালী তাহাতে অঙ্গরাগের সহিত যোগ দিয়াছিলেন । রামানন্দ-বাবুর প্রবাসবাস তাহাদের সকলেরই আনন্দ ও উৎসাহবৰ্দ্ধমের কারণ স্বরূপ হইয়াছিল এবং “প্রবাসী” শুদ্ধ তাঙ্গাদের কেন সমগ্র প্রদেশের প্রবাসী বাঙ্গালীর পরম আদরের ও গৌরবের সামগ্ৰী হুইয়াছিল। প্রবাসীর কার্স্য দিন দিন এমন বৃদ্ধি পাইতে লাগিল যে সাউথরোডের বাড়ীতে আর স্থান সংকুলান হইতেছিল না, সুতরাং