পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম দশ বৎসরের প্রবাসী ১৬৮৮ সালের বৈশাপ মাসে বাংলা দেশের বঙ্গিরে প্রবাসে এলাহবাদ সহরে প্রবাদী প্রথম প্রকাশিত হয় । “বঙ্গদেশের বাহিরে এরূপ মাসিক পত্র বাহির করিলার ইহাই প্রথম উদ্যম,” পাঁচশ বৎসর পূর্বে সম্পাদকমহাশয় যপন এই কথা লেপেন, তপন বাংলাদেশেও সচিত্র মাসিক পত্রের বাংল্য ছিল না। প্রবাসী-সম্পাদক মহাশয় কর্তৃক ইতিপূৰ্ব্বে প্রকাশিত ‘প্রদীপ’ বোধ হয় ছিল একমাত্র সচিত্র মাসিক। তার ছিল "সখা” “মুকুল” প্রভৃতি শিশুসাহিত্য-বিষয়ক কয়েকটি মাসিক পত্র। বলিতে গেলে ঠিক সেই সময় বাংলা দেশেও প্রবাসীর মত মাসিক পত্র বিরল ছিল ৷ বহুকাল পূৰ্ব্বে কতকটা ঐজাতীয় মাসিক পল ছিল রাজেন্দ্রলাল মিত্রের “বিবিধর্থ-সংগ্রহ” প্রভৃতি । প্রবাসীব সুচনায় দেখি, “প্রারস্তের আড়ম্বর অপেক্ষ। ফল দ্বারাই কৰ্য্যের বিচার হওয়া ভাল। এইজন্য আমরা আপাততঃ আমাদের আশা ও উদেখা-সম্বন্ধে নীরব রহিলাম।” মানুষ যতখানি আশা করে তাহা জীবনে কচিৎ ফলবতী হয়, সুতরাং প্রবাসীর আশা সকল দিক দিয়া ফলবতী হইয়াছে বলা যায় না। কিন্তু তাহার পচিশ বর্ষব্যাপী জীবনে সে তাহার আশা ও উদ্দেশ্য যে কি তাহ সম্ভবত স্বদেশবাসী ও প্রবাসী বাঙ্গালীদের বুঝাইতে পারিয়াছে । আমরা আজ আনন্দের সহিত বলিতে পারিতেছি যে এই পচিশ বৎসরের ভিতর প্রবাসীকে মৃত্যুর ভিতর দিয়া বার-বার নবজন্মলাভ করিতে হয় নাই। পচিশ বৎসর ধরিয়া সে একই জীবনে অগ্রসর হইয়৷ অ'লিতেছে । পরলোকগত কবি দেবেন্দ্রনাথ সেন মহাশয় বৈশাখের প্রবাসীর পৃষ্ঠায় প্রথম ভারতীর আবাহন রূপ মঙ্গলিক কার্য্য করেন। তিনিই প্রয়াগের কমলাকাস্ত বেশে উপন্তস, গল্প, বঙ্গ কবিতা, ও সপ্লস নিবন্ধাদি দিয়া BBB BBS BBBB BBBB BBBBSBBB S BB BBB BBB স্মরণ করিতেছি ও শদ্ধা নিবেদন করিতেছি । মাজ পচিশ বৎসর পরে “প্রবাসী” কবিতায় রবীন্দ্রনাথ প্রবাসীকে আশীৰ্ব্বাদ করিতেছেন, প্রবাসীর প্রথম সংখ্যকেও এমনই কলিয়| তিনি পচিশ বৎস। পূর্ণে র্তাহার স্ববিখ্যাত “প্রবাসী" কবিতা দিয়া অলস্কৃত কলিয়াছিলেন : - “সব ঠাই মোর ঘর আছে, আমি সেই ঘর মরি খুজিয়া ! দেশে দেশে মোর দেশ আছে, আমি সেই দেশ লব বুঝিয়া ! পরবাসী আমি যে দুয়ারে চাই তারি মালোঁ মোর আছে যেন ঠাই কোপ দিয়ে সেথ প্রবেশিতে পাই সন্ধান লব বুঝিয়া ! ধরে ধরে আছে পরমাত্মীয় ; তারে আমি ফিরি খুজিয়া ! sk *** sk -یএ সীত-মহলী ভবনে আমার চিরজনমের ভিটাতে স্থলে জলে আমি হাজার বtধনে বঁধে যে গিঠাতে গিঠতে তবু হার ভুলে যাই বারে বারে দূরে এসে ঘর চাই বাধিবারে, আপনার বাধা ঘরেতে কি পারে ঘরের বাসন মিটাতে ? প্রবাসীর বেশে কেন ফিরি হায় চিরজনসের ভিটাতে ? 事 实 sk 米 প্রথম সংখ্য প্রবাসীর সপ্তম প্রবন্ধ "জীববিদ্যা” অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় লিপিত। আজও তিনি প্রবাসীতে লিথিয় ক্সাসিতেছেন । শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের "পীরাংকুম্ভ" ( চিতোরের জয়স্তপ্ত ) ৷ অষ্টম স্থান অলস্কৃত করিয়ছিল। প্রথম হইতে তাজ পৰ্য্যন্ত জ্ঞানেন্দ্র-বাবু প্রধাসীর সহিত যুক্ত। উহার “বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী” প্রবাসীর পৃষ্ঠাতেই বৎসরের পর বৎসর ধরিয়া গড়িয়া উঠিয়াছে। আজও তাহাতে নব-নব পৃষ্ঠা সংযোজিত হইতেছে । প্রথম সংখ্যার প্রবাসী আকারে ক্ষুদ্র হইলেও তাঁহাতে আমরা বীজরীপে ধে-যে উদ্বেপ্তের দেখা পাই, আজীবন তাহ বিকশিত করিয়া তুলিতে প্রবাসী যত্ন পাইয়াছে । কাব্য, উপস্তাদ, রসনিবন্ধ, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ এবং শিল্পব্যবসায় সংক্রান্ত (শর্করাবিজ্ঞান ) রচনা সকলই প্রথম সংখ্যায় দেখা যায় । উপরস্তু দেখিাতছি অজন্টগুহা চিত্র বলা" বিষয়ক সচিত্র প্রবন্ধ। তখনকার দিনে বাংলাদেশে অজণ্টগুহা ও ভারতীর চিত্রকলার নামই অল্প লোক জানিত। সে যুগে সম্পাদকের এ প্রবন্ধ সম্পূর্ণ অভিনব। ইতিপূৰ্ব্বে ভারত-চিত্রকলা বিষয়ক এরূপ প্রবন্ধ বাংলাভাষায় কখনও প্রকাশিত হয় নাই। ভারতীয় চিত্রকলার সমাদর তখন ভারতের লোকের করিতে শিখেন নাই। অতীতেও তাইtর অস্তিত্ব সম্বন্ধে উহার সম্পূর্ণ অচেতন ছিলেন। এই প্রবন্ধটি-সম্বন্ধে স্বৰ্গীয় রামেন্দ্রকুনার ত্রিবেদী মহাশয় লিখিয়াছিলেন, ‘প্রবাসীর প্রথম সংখ্য অতি উৎকৃষ্ট হইয়াছে । * *** সৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল লাগিল, অজণ্টাগুহা চিত্রাবলী । * * এরূপ প্রবন্ধ আর কোথাও দেথিয়াছি মনে হয় না । * * এইরূপ প্রবন্ধ পড়িলে আমাদের স্বদেশ-সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞাতব্য কত কাছে, তাহা বুঝা যায়। * * প্রবাসীর চিত্র-নিৰ্ব্বাচনও উৎকৃষ্ট হইয়াছে।" শ্ৰীযুক্ত (এখন স্তর) অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখিয়াছিলেন, “সকল প্রবাসীর পক্ষেই প্রবাসী গৌরবের কারণ হয়েছে। অজন্টগুহার মতন প্রবন্ধ বোধ হয় বাঙ্গল সাহিত্যে সম্পূর্ণ অভিনব"। শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন লিখিয়াছিলেন, “অজণ্টাগুহার যে চিত্র দেওয়া হইয়াছে, তাহ শত সহস্ৰ বৎসর পুর্বের হিন্দু সমাজের একটি অপূৰ্ব্ব স্তর উদঘাটন করিতেছে। এই প্রবন্ধটি শুধু ভারতের শিল্পকলা হিসাবে নয়, সামাজিক আচার ব্যবহার প্রভৃতির দিক দিয়াও একথানি মূল্যবান ও শিক্ষাপ্রদ ইতিবৃত্তের স্বচনা । লেখা অনাড়ম্বর ও কৌতুহলোদ্দীপক ।” শ্ৰীযুক্ত অবিন শচন্দ্র দাস লিথিয়ছিলেন “চিত্রসম্বলিত 'অজন্টাগুহা প্রবন্ধটি অতি উপাদেয় হইয়াছে।” বসুমতী লিখিয়াছিলেন, “অজণ্টাগুহা প্রবন্ধটি চিত্র ও লিপি সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ ; জ্ঞাতব্য বিষয়গুলি অতি নৈপুণ্যের সহিত লিপিবদ্ধ হইয়াছে।” রবীন্দ্রনাথের বঙ্গদর্শন লিখিয়াছিলেন, “অজণ্টাগুহা চিত্রাবলী মনোহর मक्लिब थदक ।”