পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y > * ছোপানে ন্যাকড়ার পোষাক তখন কিংখার হইয়া উঠিয়াছে, পুতির মাল। ইয়াছে গজমোতা ও পদ্মরাগমণির মাল । গেীরা নেীকার মাথায় পাতলা কাগজের একটা রঙীন ছত্ৰি দিয়া বলিল, “আমার রাজকন্য। মেঘমালার মুখে রোদ লেগে রক্ত ফেটে পড়বে, তাই ভাই ওর রাজছত্রট। দিয়ে দিলাম।” গৌরীর খুড়তুতে বোন শৈল উঠানের উণ্ট কোণ ইষ্টতে পূজার অবশিষ্ট দুইট। ফুল কুড়াইয়া আনিয়া বলিল, “মেঘমাল৷ শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছে, ওকে ফুলের গহন পরিয়ে দী ৪ יין গেীরা বিরক্ত হইয়। বলিল, “ম, ও খ শুরবাড়ী যাচ্ছে না ; ও ফুল পৰ্ববে না। ও সাগরদীঘির তলায় পাতালপুরীতে বাস্থকার দেশে ত্রিকালের সাপের মাথার মণি আনতে যাচ্ছে । তারির গয়না পরে ও ঘুমিয়ে থাকৃবে। তার পর আকাশজোড় কালে পাপ নেড়ে দৈত্য এসে ওকেjচীনরাজার দেশে নিয়ে যাবে, সেইখানে পরীর ওর বিয়ে দিয়ে দেবে আলোয়-আলোয় পৃথিবী ছেয়ে ।” শৈলর দিদি ময়ন। হ্যাঙ্গাম। ওসব উপকথার মত পারব না।” গৌরী বলিল, “ন। পার নাই পারলে ! আমি ট্যাবাকে নিয়ে গোয়ালঘরের পাশ থেকে পাথর আর ইট কুড়িয়ে আনব । তাই দিয়ে কেমন চীনদেশ তৈরি হৰে দেখো । তাবুও যাবে আমার সঙ্গে ।” ট্যাব পরম উৎসাহিত হইয়া কোমরে কাপড় বাধিয়া বলিল, “হঁ্য, ভাই, আমি অtলাদিনের দৈত্য , চীনদেশস্বদ্ধ মাথায় করে আনব । বেশ মজা হবে।” পুলকে বিস্ময়ে গৌরীর চক্ষু বিস্ফারিত হইয়া উঠিল । বেল। বাড়িয়া উঠিয়াছে, প্রখর রৌদ্রে সারা উঠান উদ্ভাসিত। শীতের দিনে চক্‌মিলানো বাড়ীর রৌদ্রদীপ্ত বারান্দায় বী, বেী ও দাসীরা কুচোকাচ ছেলেদের গরম সরিষার তেল মাথাইতে বসিয়৷ ক্ৰন্দনের কলরোল তুলিয়৷ দিয়াছে। ইস্কুলের পোড়ো-ছেলেরা রোদে পিঠ দিয়া বলিল, “ন ভাই, সে বড় অত আমরা করতে প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ SAAAAAA AAAAMSMAAA AAAA AAAASASASS বাড়ীর মজলিস ভাঙ-ভাঙ , [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড উঠানের কলে দ্রুত স্নান সমাপনে এ উহাকে হার মানা- , ইবার উৎসাহে এবং শরীরটা একটু গরম করিয়া লইবার ইচ্ছায় ঠেলাঠেলি দাপাদাপি লাগাইয়াছে। সঙ্গে-সঙ্গে “ ওম, ভাত ; পিসিমা আমাকে ও” ইত্যাদি অনুরোপ রান্নাঘরের দিকে উচ্চকণ্ঠে প্রেরিত হইতেছে । বাহির সেগান হইতে চটির শব্দ ক্রমশ অন্দরের দিকে অসিতেছে ; ভূত্যদের প্রতি হঁাকডাক ও পড়িয়| গিয়াছে ; তাহার। চঞ্চল পদক্ষেপে গাড় গামছা তেল লইয়৷ ছুটিয়াছে । চারিদিকে মুখর দিবসের প্রপর উগ্রপ । তাহারই মপ্যে উঠানের পেয়ারাগাছের তলায় বসিয়া গৌরী ভাঙ্গার মেঘমালাকে সাগরদীঘি, পাতালপুরী, চীনদেশ, চন্দ্রলোক, পরীস্থান সকলই নিৰ্ব্বিবাদে ঘুরাইয়া আনিতেছে। তাহার সঙ্গী সার্থী হাবু, ট্যাবা, ময়ন, শৈল প্রভৃতি কেতবা ক্ষুধার তাড়নায়, কেহল। রন্ধনশালার বেগুনী ভাজার গন্ধে আকৃষ্ট হইয়। সরিয়া পড়িয়ছে। মেঘমালার খেল তাহাদের কাছে আর নূতনত্বের মায়াজাল বিস্তার করিতে পারিতেছে না । কিন্তু গৌরীর নেশা তখনও টুটে নাই । ডুরে শাড়ীখান। কোমরে শক্ত করিয়া জড়াইয়া পায়ের ঝাঝমল হাটুর কাছে টানিয়া তুলিয় সে বাহির উঠানের গোয়ালঘরের এলাকা হইতে চীনদেশ-কষ্টির সরঞ্জাম কুড়াইয়া আনিতে ব্যস্ত ; কারণ তাঙ্গর অনুগত দৈত্যরূপী ট্যাব তখন পলাতক । থাটো তসরের থান কাপড় পরিয়৷ গৌরীর ঠাকুরম “বড়ঠাকরুণ" নিরামিষ ক্টেশেল ও পূজার ঘরের মাঝামাঝি বারান্দায় দাড়াইয়। পুত্রবধূকে ডাকাডাকি করিতেছেন । র্তাহার স্নানশুচি দেহ পাছে কোনো অশুচির হাওয়ায় অপবিত্র হইয়া যায়, এই ভয়ে বারান্দার সীমান অতিক্রম করিয়া যাইতে র্তাহার সাহস হইতেছিল না। পা দুইট পূজার বারান্দায় রাগিয়া এবং দেহের উপরাদ্ধ যতদূর সম্ভব অঁাম হেঁশেলের দিকে অগ্রসর করিয়া দিয়া তিনি ডাকিলেন, “ওগো বড় বেীমা, হঁ্য বাছা, তোমার মেয়ের কি আজ আর নাওয়া-থাওয়ার দরকার নেই ? রান্ন করছ ত কবৃছই, এদিকে স্বঘ্যি যে মাথার উপর উঠলেন, অাপ-ছামুণ জালের Fig