পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ জানে শোনে, অনেক পূঢ় তথ্য তাদের দে’পে ও ঠে’কে শেপ । আমাদের মধ্যে গন্ধবণিক, তিলি প্রভৃতি সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে ওই একই কথা খাটে। তাই বলছি শুধু ব্যবসা-ব্যবসা করে চীৎকার করলে কিছুই হবে না। আজকাল যুবকদের মূপে গুষ্ট রবষ্ট শুনতে পাওয়া যায়। আমি বলি ব্যবসা-সম্বন্ধে তোমর। ত কিছুই জানে। না । to Was most pitiable creatures ( Hászzio দয়ার পাত্র ) যদি কেউ থাকে তবে সে আমাদের বাংলা দেশের গ্রাজুয়েটগণ । তাদের দুরবস্থার সীমা নেই— চাকরি ছাড়া তাদের আর কোনো গতি নাই ! আবার এই চাকুরিজীবীদের সংখ্যা কত, তা মুখে বল্বার দরকার নেই, একবার যদি কেউ সকাল-বিকাল হাওড়া কিম্ব। শিয়ালদহ ষ্টেশনে এসে দাড়ান, তবে সব বুঝতে পারবেন। এ-দুখ এত মৰ্ম্মস্পর্শী যে দুঃখে আৰ্ত্তনাদ করতে ইচ্ছে হয়। হাজার-হাজার লোক ভেলী প্যাসেঞ্চার। এরা সকলেই কোনো-না-কোনো জায়গায় চাকুরি করে। একবেলা রোজগার না হ’লে হাড়ি ঠনঠন, স্ত্রীপুত্রের সহিত অনাঙ্গরে কাটাতে হয়। এর চেয়ে অধঃপতন আর কি হ’তে পারে ? অনেকে মনে করতে পারেন আমি একজন বৈজ্ঞানিক হ’য়ে ব্যবসায়াদি বিষয়কৰ্ম্মের কি ধার ধারি ? তার হয়ত জানেন না, আমি বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং পাচছয়টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কলকারখানার সঙ্গে বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট । ব্যবসায়াদি বিষয়কৰ্ম্মের অভিজ্ঞতা আমার কিঞ্চিৎ আছে এবং জলে বাস করতে হ’লে যেরূপ কুমীরের সঙ্গে ভাব রাখা চাই, বিষয়কৰ্ম্মাদি করতে হ’লেও সেইরূপ উকিল ব্যারিস্টার প্রভৃতি necessary evils এর সহিত পরিচয় থাকা দরকার। স্বতরাং আপনাদের মতে। আমার বিষয়াদি না থাকলেও, আমি একজন বৈষয়িক সে-বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই আমাদের যুবকদের পুনঃপুনঃ অনুরোধ করছি, যে, তা’রা যেন ব্যবসায়াদি সকল কাজ করবার পূর্বে কিছুদিন শিক্ষানবিশি করে । এইরূপ g*Fi-**ft fs Çiftiğf (Co-operative Society); 5 কাজ ক’রে তা’রা ত অনেক অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে, শিখতে পারে । elementary principles of economics প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩০ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড দুঃখের বিষয়, আমাদের মধ্যে স্কুলমাষ্টার ও দু’একজন ডাক্তার ও উকিল ছাড়া বাকী সবই কেরাণী । কেরাণীগিরিতে তাদেব জাত যায় না-জাত যায় স্বাধীন নিম্নশ্রেণীর ব্যবসায় । রাজার বাজার থেকে আরম্ভ ক’রে ঙ্গেয়াইটওয়ে লেণ্ড লর দোকান পৰ্য্যন্ত দুধারে ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পান বিড়ি সরবৎ প্রভৃতির অনেক দোকান দেখা যায়, কিন্তু সেই গুলির মধ্যে একটিও বাঙ্গালীর নহে । বাঙ্গালী ব্যবসা ভুলে অফিসে সাহেবের গালাগালি পেয়ে সে গালাগালির চোটটা দেখান নিরীহ গৃহিণীর উপরে ; অবস্থা সেসব বিষয়ে আমার নিজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই । আর নাগরিক শ্ৰীবৃদ্ধির তুলনা করলে কলিকাতা বোম্বাই অপেক্ষ অনেকাংশে চীন । কলিকাতার চৌরঙ্গীতে কাল! আদমীর স্থান নেই, তাদের জন্য নেটিভ কোয়াটর্ণর আছে, সেগুলি অতি জঘন্য ভিজে স্যাংসে তে, বিধাতার অশ্বাচিত দান আলো ও বাতাস ভ্ৰমেও সেপানে প্রবেশ করে না । আর অনেকের বেতন ৪০৫ , কিথ ১০০ টাকা বটে, কিন্তু তা’তে তাদের পাওয়াদাওয়া ও ড়ীভাড় দিয়ে কিছুক্ত থাকে না ; শেষে বুঝি দিগম্বরের সাজ না সাজলে আর চলে না । আর বোম্বাইয়ে দেখুন, স্যার দোরাব তাতা, স্যার বিঠলদাস ঠাকরসী, স্তর ফজলভাই করিমভাই প্রভৃতি সেখানকার সুন্দর রমণীয় প্রদেশের একরূপ মালিক। তাদের বিশেষ পরিচয় আর কি দেবো ? তারা সময়ে-সময়ে দু'কোটি টাকা নিয়ে ক্রীড়া করতে বসেন। এখনকার দিনে ‘জীব দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি ব’লে নিষ্কৰ্ম্ম হ’য়ে বসে থাকলে চলবে না। আলস্য ত্যাগ ক’রে উন্নতির জন্য উঠে-পড়ে লাগ৷ চাই ; ভালে ক’রে খাওয়া-পর চাই । বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘আগে তোর পেট পূরে খা । বাস্তবিক পেট পূরে খেতে না পেলে কোনো কাজই স্বচার-রূপে সম্পন্ন করা যায় না, উন্নতি ত দূরের কথা । পুইশাক আর চিংড়ী মাছ খেয়ে দিন কাটালে চলবে না। উদরট ত একটা গৰ্ত্তবিশেষ নয়, যে মিউনিসিপ্যাল রাবিশের মতন যা তা দিয়ে পূর্ণ করবে। ভালো-ভালো জিনিষ খেতে এই