পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য। ] নিস্তারিণী দেবী করিয়াছেন। তিনি ধৰ্ম্মপরায়ণ, আদর্শ গৃহিণী ছিলেন। পরোপকারে তিনি মুক্তহস্ত ছিলেন। স্বামীর মুতু্যুর পর তিনি তিনটি স্বনামখ্যাত পুত্ররত্ন স্বশীলচন্দ্র পদ্যোপাধ্যায়, সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখপানে চাহিয়া সেই দুঃখ ভুলিয়া গিয়াছিলেন । কিন্তু একে একে তিন পুত্রকেই অকালে ১rরাইলেন । তিনি পুত্রদিগের এই অভাবনীয় আকস্মিক মৃত্যুতে একেবারে ত্ৰিয়মাণা হইয়া পড়িলেন । কয়েক মাস হইল তাহার পৌত্র শ্ৰীযুক্ত ইন্দুভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় উকীল মহাশয়ের স্ত্রীও পরলোকে গমন করিয়াছেন। স" ক্যজনিত রোগ ও এই দারুণ শোকই তাহার সুতার কারণ । মৃত্যুকালে র্তাহার বয়ঃক্রম ৭৫ বৎসর * ঠয়ছিল । শ্ৰী বিজয়চন্দ্র চৌধুরী বাঙালীর উচ্চ পদ শযুক্ত ধীরেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত, বি-এস-সি (মাইনিইং ও শলার্জি ; হার্ভাড) সম্প্রতি বিহার গবর্ণমেণ্টের ডিরেক্টর বঙ্গের বাহিরে বাঙ্গালী )లిపె অব ইণ্ডাষ্টিস্ পদ প্রাপ্ত হইয়াছেন। ইতিপূৰ্ব্বে আর কোনো বাঙালী এই সম্মানিত পদ পান নাই ; কয়েকজন ইংরেজ ও এই পদের জন্য আবেদন করিয়াছিলেন । ইনি স্বগীয় স্যার কে,জি গুপ্ত মহাশয়ের নিকট আত্মীয়। ১৯০৪ সালে ১৭ বৎসর বয়সে সিটি কলেজে এফ-এ পাঠের সময় ইনি উচ্চাকাঙ্ক্ষা-প্রণোদিত হইয়া আমেরিকা পলায়ন করেন । সেখানে কিয়ংকাল ৬/রমাকাস্ত রায় মহাশয়ের নিকট অর্থ-সাহায্য পান ; রায়-মহাশয়ের অকালমৃত্যুতে সেই সাহায্য বন্ধ হওয়াতে কঠোর পরিশ্রম করিয়া নিজের ব্যয় নিজেই নিৰ্ব্বাহ করেন। কয়েকটি টেক্‌নিকাল ইনষ্টিটিউটে শিক্ষালাভ করিয়| ইনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইনিং ও মেটালার্জির বি-এস-সি ডিগ্ৰী লইয়া ১৯১২ সালে স্বদেশে ফিরিয়া আসেন ও টাটার লৌহকারখানায় ঐ ধীরেন্দ্রচন্দ্র গুপ্ত, বি এস-সি [ হার্ভার্ড ] সামান্য ফ্যায়ারম্যানের কার্য্য করেন ; পরে উপর ওয়ালার সহিত মনোমালিন্য ও গুয়াতে ঐকাজ ছাড়িয়া দেন । ১৯১৪ সালে যুদ্ধারম্ভের পর তাহাকে আবার সাদরে টাটার কার্গানায় নিযুক্ত করা হয় । তিনি এতাবৎ কাল সেখানে দক্ষতার সঠিত কোক ও ওভেন বিভাগের সুপারিনটেণ্ডেণ্ট ছিলেন। তাহার উদ্যম বাঙালী যুবকদের অনুকরণীয়।