পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 প্রবাসী—বৈশাখ ১৩৩৩ উচ্চ তাদর্শ অক্ষুঃ রেখেছেন, সেজন্য সকল বাঙ্গালীই প্রার্থনা করি, যেন আপনারই তত্ত্বাবধানে প্রবাসী প্রতিবৎসর আর ও উন্নতিলাভ করে এবং বাঙ্গালীর ও ভারতের মুগোজ্জল করতে থাকে। শ্ৰী অতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাপলার নিকট কৃতজ্ঞ । ! শ্ৰীজ্ঞানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়— “প্রবাসী’র পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী “প্রদীপে”র তামিল-হইতেই আমি উকার সঠিত অল্পবিস্তর সংশ্লিষ্ট আছি, এবং প্রথমাবধি আমি উহার একজন রীতিমত পাঠক ! গত পচিশ বৎসরের মধ্যে বাংলা সাহিত্য, প্রত্নতত্ত্ব, চিত্রকল, রাজনীতি, সমাজস স্থার প্রভূতি বিষয়ে সাঙ্গ কিছু উন্নতি পরিলক্ষিত ই ইয়াছে, “প্রবাসী” তাহার সকল বিষয়েই উপাদান যোগাইয়াছে, ঠত। মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতে হুইবে । সম্পাদক মহাশয়ের ‘বিবিধ প্রসঙ্গ” গুলি “প্রবাসী’র মৌলিক বিশেষ ত্ব ৭ সৰ্ব্বাপেক্ষ উপভোগ্য । তাহার স মিনসমূহ বাংলার সর্বশ্রেণীর পাঠকবর্গ সমধিক আগ্ৰহ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পাঠ করিয়া থাকেন, ইষ্ঠ সকলের সুবিদিত। "প্রবাসী”র চরনগুলি ও খুব উপাদেয় ও শিক্ষাপ্রদ । “প্রবাসী’র সমালোচনা বাংলা লেখকদের আদর্শকে উচ্চ করিমাছে । বঙ্গের অনেক মাসিক পত্রিক “প্রবাসী’র বিশেষ গুলির অনুকরণ করিয়া সেগুলির উপকারিত ও জনপ্রিয়তার পরিচয় দিয়াছে । বাংলা মাসিকের পক্ষে মাসের প্রথম তারিখে নিয়মিতরূপে প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাব্যত সম্বন্ধে "প্রবাসী’ই প্রথম পথপ্রদর্শক । “প্রবাসী” উন্নতিশীল সঙ্গারকামীদলের মুখপত্র, এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উহার স্বাধীন ও নিৰ্ভীক আলোচনা উহাকে সৰ্ব্বদা নবীন, সরস ও আধুনিক রাখিয়াছে। গতান্তগতিকতার মোহ ও যশোলিপ উহাকে কখন প্রলুব্ধ করে নাই, সত্যের অপলাপ করিয়| পাঠকের মনোরঞ্জন করিতে কখন উৎ স্বীকৃত হয় নাই, স্বাধীন চিন্তার মুক্ত বায়ু উষ্ঠ। ঘরে ঘরে সঞ্চারিত করিয়া দিয়াছে, প্রাচীন গরিম উহীকে ভবিষ্যতের মহিমা সম্বন্ধে অন্ধ করে নাই। উহার উদার মত সকল দেশ কাল ও পাত্র হইতে জাতীয় পুষ্টিসাধনের উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়া আসিতেছে। যাহার। [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড দুৰ্ব্বল ও অসঙ্গয়, যেমন স্ত্রী ছাতি ও ভারতীয় অস্ত্যজ জাতিসমূহ, তাহদের উন্নতিকল্পে “প্রবাসী” তাহার সমগ্র শক্তি নিয়োজিত করিয়াছে। র্যাহার। “প্রবাসী”কে অতি অগ্রসর মনে করেন, সেইসকল প্রাচীনপন্থী পাঠকগণও উগর মতামত খুব আগ্রহের সহিত পাঠ করেন এবং প্রচেষ্টাসমূহের জন্য উহার সহাঙ্গভূতি আকর্ষণের প্রয়াস পান, দেখিয়াছি। যিনি সকল শুভ উদ্যমকে জয়যুক্ত করেন, কল্যাণকে স্থায়ী ও মহিমামণ্ডিত করেন, সেই বিশ্বনিয়ন্ত উত্তরোত্তর “প্রবাসী’র শ্ৰীবৃদ্ধি করুন, এবং উহার প্রবীণ সম্পাদক দীর্ঘকাল উহার সম্পাদনে ব্ৰতী থাকিয় বাঙ্গালী জাতির তিত সাধন করিত্রে থাকুন, ঈশ্লষ্ট আমার একান্থ প্রাথন । তাহাঁদের শ্ৰী জ্ঞানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় শ্ৰী ধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী— প্রবাসীর পঞ্চবিংশতি বস পূৰ্ণ - তপ | নতে । কিন্তু আমাদের দেশে একপনি মাসিকের জীবনে খুব দীঘক | এই কালের মধ্যেই কত জোয়ার-ভাট পেলিয়। মায় । প্রবাসী উত্তেরোত্তর উন্নতির পথেই অগ্রসর হইয়াছে । সম্পাদকের পূৰ্ব্বাহেই যে-দিন শুনিয়ছিলাম, প্রবাসীকে এক শত পৃষ্ঠার মাসিকে পরিণত করিবেন, কাছে তখন একটু বিস্মিত ন হইয়াছিলাম ত নয় । ভাবিয়া ছিলাম, চলিবে কি ? প্রবাসী তো চলিয়াছেই, একশত পৃষ্ঠাকে অতিক্রম করিয়া আরও কত মাসিকের পথপ্রদর্শক হইয়াই অগ্রসর হইতেছে। প্রবন্ধগৌরবে ও চিত্রসৌন্দয্যে প্রবাসী এখনও সকলের অগ্রণী হইয়। রহিয়াছে বলিয়াই আমি মনে করি। আমি এই ২৫ বৎসরের প্রত্যেক সংখ্য। প্রবাসীর পঠনীয় যাহা কিছু সকলই পাঠ করিপ্লাছি এবং ইহাতে পঠনীয় বিষয় যথেষ্টই থাকে। আমি . এ কথা বলি না, যে, অন্য কোন মাসিকে সুপাঠ্য প্রবন্ধ থাকে ন| তাহা হইলে অন্য সকল মাসিক হইতে প্রবাসী প্রবন্ধ সঙ্কলন করিয়া দিত না । পুরাতন নব্য ভারতে প্রবন্ধের গৌরব খুবই ছিল । আধুনিক ও দু’একখানার বেশ গৌরব আছে । কিন্তু প্রবাসীকে কেন্ঠই অতিক্রম করিয়া যাইতে সমর্থ হয় নাই । প্রবাসীই বাংলা মাসিককে