পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಫ್ಲಿ? f ব্যাবিলোনিয়া ও আসরিয়ার উপকথা আমাদের এই ভারতবর্ষের সভ্যতা যে কত পুরাতন তা’র কোনো ইতিহাস ছিল না। সম্প্রতি পুরাতত্ত্ববিদের নানারকম গবেষণা ক’রে তা’র বিচার করতে বসেছেন । আজকাল পৃথিবীর সমস্ত প্রাচীন জাতির ইতিহাস সংগ্ৰহ কবৃতে গিয়ে ভারতবর্মের ইতিহাস অনেকখানি পাওয়৷ যাচ্ছে । মিশর, পারস্য, আরব; গ্রীস, চীন, জাপান, জাভা, কাম্বোডিয়া, শুামদেশ প্রভৃতির যে-ইতিহাস পুরা তত্ত্ববিদের স’ গ্রহ করছেন ত থেকে স্পষ্ট বোঝ। পাচ্ছে যে, আমরা বৰ্ত্তমানে যতটা কুণো ঘরমুখে হ’য়ে পড়েছি, আমাদের পুৰ্ব্বপুরুষের মোটেই তা ছিলেন না--- ঠিক এর উণ্টোটি ছিলেন। তার সমুদ্রপথে নিজেদের তৈরী জ{হাঙ্গে কিম্বা গিরিপথে অনেক দেশে বাণিজ্য ও সভ্যত। বিস্তার ক’রে ফিরেছিলেন এবং অনেক স্থলে আমাদের দেশের লোকই সেই সকল দেশের অধিবাসীদের পূর্বপুরুষ । তাদের অনেকে সেইসব দেশে বসবাস ক’রে সেখানকার সভ্যতা গড়ে তুলেছেন। এইসব ঐতিহাসিক গবেষণা থেকে ভবিষ্যতে যে ভারতবর্যের একটা ধারাব|ঠিক ইতিহাস তৈরী হবে, সে-বিযয়ে সন্দেহ নেই। ব্যাবিলোনিয়া, আসরিয়া বৰ্ত্তমান এশিয়া মাইনরের মধ্যে অবস্থিত ছিল। ভূমধ্য সাগর, আরব্য ও পারস্তোপগরের কূলে তখন বিশাল জনপদ ছিল। বৰ্ত্তমানে শুষ্ক ইউফ্রেটিস্ ও তাই গ্রীস্ নদীর উভয় তীর তপন ধনজনসৃদ্ধিতে গমৃগম করত। সে অন্ততঃ খৃষ্টজন্মের চার s}গর বছর আগের কথা । ভারতবর্ষের কথা বাদ দিলে পেন কেবল-মাত্র মিশরদেশ ও এই দুই দেশই সভ্যতার ' 14ানিকেতন ছিল । এই দেশের অধিবাসীর শিল্পকলায়, বিসা-বাণিজ্যে উন্নতি ক’রে ইউরোপে আপনাদের * ভ্যতা বিস্তার করে । আজ তাহদের সভ্যতার সমস্ত চিহ্ন প্রায় লোপ পেয়েছে ; প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরগুলি মৃত্তিকাস্তপে মাত্র পর্য্যবসিত। জ্ঞানী, অধ্যবসায়ী, পুরাতত্ত্ববিদের অশেষ পরিশ্রম ক’রে সেই-সব মৃত্তিকাস্তুপ তন্নতন্ন ক'রে খঙ্গে সম্প্রতি সেই প্রাচীন দেশের ইতিহাস সংগ্রহ করছেন। তার। পৃথিবীর জ্ঞানভাণ্ডারে যে-রত্ন উপহার দিচ্ছেন তা’র মূল্য হয় না। তারা সকলেই আমাদের নমস্ত । তাদের গবেষণার ফলাফল থেকে যতটুকু স্থির হয়েছে তা’তে বেশ বোঝা যাচ্ছে, ধে, সুমেরীয় জাতি ব্যাবিলোনীয় ও আসীরিয়ার সভ্যতার গোড়াপত্তন করে। এই সুমেরীয় জাতি সম্ভবতঃ ভারতব্য হ’তে এদেশে আসে। তার পর সেমিটিক্‌ জাতি এই সুমেরীয়দের সভ্যতাকে গ্রাস ক’রে খৃষ্টজন্মের ২০০০ বৎসর আগে প্রবলতম জাতিরূপে পরিগণিত হয় । তখন মিশরদেশও সভ্যতা ও জ্ঞানে প্রবল। তা’র পর পূৰ্ব্বে পারস্য ও পশ্চিমে গ্রীক সভ্যতার অভু্যত্থানের সঙ্গে-সঙ্গে এই সেমিটিক সভ্যতা ও বিলুপ্ত হয় ; এবং সেখানে মেসোপটমিয়ান সভ্যতা মাথা তুলে ওঠে। স্যার এ এইচ লেয়ার্ড সাহেব ১৮৪৫ খৃষ্টাবে প্রথম এই প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস সংগ্র করতে চেষ্টা করেন। তার পূর্বে এম, পি, সি বোট মিনেভা-স্তুপ সম্বন্ধে কিছু গবেষণা করেন। ১৮৫৪ সাল হ’তে স্থার হেনরী রলিন্‌সন গবেষণা কুরু করেন । তা’র পর বিখ্যাত জর্জ স্মিথ ব্রিটিশ যাদুঘরের রলিন্‌সন সাহেবের কাছে উপদেশ নিয়ে গবেষণার কাজ আরম্ভ করেন । তার অশেয পরিশ্রমে অ|জ আমরা অসীরিয়া ও ব্যাবিলোনুিয়ার ইতিহাস-সম্বন্ধে অনেক জিনিষ জানতে পেরেছি। নিনেভা, উর, ব্যাবিলোন, প্রভৃতি নগরের স্ত,প অনুসন্ধান করার ফলে বহু প্রাচীন শিলালিপি ও ইষ্টকলিপি সংগৃহীত হয়েছে। তখনকার সেই