পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وا\ e ج۔ অস্তটা পরের। যখন নিজের দিক ও পরের দিক, নিজের জীবিকার ও পরের সেলীয়, বিসম্বাদ ন ঘটে, তপন কষ্টের পরিমাণ লম্ব হয় । - ---একতা দেশবন্ধু স্মৃতিরক্ষা— দেশবন্ধ স্মৃতি-সমিতির সম্পাদক জানাইয়াছেন যে, সৰ্ব্বসাধারণের অর্থদ্বার স্ত্রীলোকদের জন্য যে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার সঙ্কল্প ছিল, তাঙ্গর সকল আয়োজন সম্পূর্ণ হইয়াছে। দেশবন্ধুর শেষ দীন তাহার কলিকাতার রসবেড়ো বাড়ীটি হাসপাতালের উপযুক্ত করিয়া সংস্কার করা ইষ্টয়াছে। ইসপাতালের জন্য উপযুক্ত ডাক্তার ও ধাত্রী নিযুক্ত হইয়াছেন। বাংলার ‘মউনিসিপ্যালিটী বাংলাদেশের মিউনিসিপ্যালিটিসমূহের ১৯২৪-২৫ সালের সরকারী রিপোর্ট প্রকাশিত হইয়াছে। এই বৎসর সর্বশুদ্ধ ৩১৭৮৯৫ জন করদাতা ছিল। বাংলার অধিবাসীর সংখ্যামুপাতে করদাতার সংখ্যা শতকরা ১৫ ৭ জন। প্রতোক করদাতাকে ৩ টাকা ৪ পাই করিয়া কর দিতে হইয়াছে। আলোচ্য বর্ষে ৪৯টি মিউনিসিপালিটিতে নুতন করিয়া কর ধার্য্য করা হইযাছে এবং তাহার ফলে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আয় বুদ্ধি হইয়াছে। এই বৎসর ৫৯ লক্ষ টাকা কর আদায় হইয়াছে। রিপোর্টে প্রকাশ যে, গতবৎসরের জেরসহ এই বৎসর ১৯৬৯৩৩৮• টাকা অীয় এবং ৮৬১৩৭১৩ টাকা ব্যয় হইয়াছে । শিক্ষার জন্ত গতবৎসর ২৯৪৩২১ টাকা বায় হইয়াছিল । জাতীয় শিক্ষাপরিষং— গতমাসে কলিকাতার উপকণ্ঠে যাদবপুলে জাতীয় শিক্ষাপরিষদের প্রতিষ্ঠা-দিবস উৎসব হইয়া গিয়াছে । পরিষদের কার্য্যনিৰ্ব্বাহক সমিতির সভাপতি আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বার্ষিক বিবরণী পাঠ করেন। তাহাতে প্রকাশ যে, পরিষদ ধীরে-ধীরে মান দিকে তাঁহার কার্য্যক্ষেত্র ক্রমশ: বিস্তার করিতেছে। এই সভায় শ্ৰীযুক্ত আমিলেশান্ত সভানেত্রীর আসন গ্ৰহণ করেন । शांन ডাক্তার তারিণীচরণ সাহার নিবাস ঝালকাটীর অন্তর্গত চণ্ডীকাটি গ্রামে । উtহার বয়স সম্প্রতি ৬০ বৎসর । উহার কোন পুত্র-সন্তান না থাকায় ঠিন ঠান্তার সমস্ত সম্পত্তি—মুলা প্রায় এক লক্ষ টাকা— বরিশাল মেডিক্যাল স্থলের একটি হাসপাতাল খুলিবার জন্য দান করিয়াছেন। উহার যোগ্য পত্নীও সমস্ত স্বী-ধন ঐ-উদেখে লিথিয় দিয়াছেন । বাঙালী মুসলমানের মাতৃভাষা— মৌলান হাজী শাহ সুফী পীর আবুবকর ও পীর বাদশ। মিঞা সাহেবের আহবানে গত ১৩ই মার্চ শনিবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় জমিয়তে ওলামায়ে হিদের মণ্ডপে বঙ্গ ও আসামের বেসরকারী মাদ্রাসাসমূহকে সম্ভববন্ধ করিবার উপায় নিৰ্দ্ধারণের নিমিত্ত বাঙ্গাল ও আসামের আলেম-মওলীর এক সভা অনুষ্ঠিত হয় । তাঁহাতে বাঙ্গালা ও আসামের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিস্থানীয় দেশমান্ত আলেম ও কৰ্ম্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য কার্যের পর সভায় নিম্নলিখিত প্রস্তাবটি সৰ্ব্বসন্মতিক্রমে পরিগৃহীত হয় – “জমিয়তে ওলামায়ে-হিলের অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতিরূপে স্যর আবদুর রহিম সাহেব কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কর্তৃক বাঙ্গালাভাষাকে ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষা পৰ্য্যন্ত শিক্ষার বাঙ্গন স্বরূপে ব্যবহার করিবার প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যে মত প্রকাশ করিয়াছেন, বাঙ্গাল ও আসামের আলেম ও কৰ্ম্মীবৃন্দের এই সভা তাহীর তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করিতেছে ; এই সভার মতে বঙ্গালাই ধাঙ্গালী মুসলমানের মাতৃভাষা এবং বাঙ্গালী ভাষায় শিক্ষাদান-পদ্ধতি প্রচলিত হইলে তাহ বাঙ্গালী মুসলমান শিক্ষার্থীদিগের চিন্তাশীলতা ও জ্ঞানচর্চ বৃদ্ধির পক্ষে অতীব কল্যাণকর হইবে।” শ্ৰী টের বঙ্গভূক্তি— দিল্লীর সংবাদে প্রকাশ যে, ভারতসচিব আসামের অন্তর্গত শ্ৰীহট জেলাকে বাংলার অন্তভূক্ত করিবার প্রস্তাব মঞ্জুর করিয়াছেন। আর্ম্য বিধবা আশ্রম— লাঙ্গেরের আর্য বিধবা শ্রমের নবদ্বীপে একটি শাখা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । এই শাখা,প্রায় ৫টি বিধবাকে বিবাহ বির ব্যবস্থা করিতেছন। অমর-কানন অrশ্রম ও গঙ্গাজলঘাটী জাতীয় বিদ্যালয় এই আশ্রম ও বিদ্যালয় বঁীকৃড় জেলায় অবস্থিত। গত বৎসর মহীয়া • গান্ধী আশ্রমস্ত লীলীরামকৃষ্ণু ধৰ্ম্মানুশীলন মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করেন । তদুপলক্ষে অন্যান্য কথার মধ্যে তিনি বলেন – “আজকাল দেশে অtশ্রম করার একট। হাওয়া চলিয়ছে । আমার ভারতব্যাপা ভ্রমণের অভিজাত এই, গে, শতকরা ৯৫টি আশ্রম উঠিয়া গিয়াছে। আশ্রমের পরিচালকদিগের মধ্যে সাধারণতঃ তিনটি দোষ BBB KBK BDS BBSBBS DD g BBBS SS BBBBB পরিচালকদিগকে এই তিনটি দোষ হইতে মুক্ত হইতে হইবে ; এবং BBB BB BBBBS BDDBBS BBBS BBBBBSBB চারিটি গুণের অনুশীলন আবশ্যক। এই আশ্রমের সেবকবৃন্দ একসঙ্গে বহুকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন । আমি যদি এই ত্যাশ্রমের পরিচালক হইতাম, তবে একটি কি-দুইট, কি তিনটি কার্ষ্য ধরিয়া থাকিতাম । আমাদের দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রভৃতি অবস্থার আলোচনা করিলে স্পষ্ট দেখা যায়, যে, এখন কৃষিদ্ধার দেশ উদ্ধার হইবে না । ত্রৈরাসিক অঙ্ক যেমন বুঝান যায়, তেমনই আমি এই সত্য বুঝাইতে পারি। উপসংঙ্গারে আমি এই আশ্রমের মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করি। কিন্তু কামনা করিলেই সিদ্ধিলাভ হয় না ; আকাঙ্ক্ষার অনুযায়ী চেষ্টা অবশ্যক। আশা করি এই আশ্রমের সেবকগণ সেইরূপ চেষ্টt করিবেন।" : এই আশ্রমে দৈহিক শিক্ষা, মানসিক শিক্ষা, (মাতৃভাষার সাহায্যে বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজী, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল, ও প্রাথমিক বিজ্ঞান), বৃত্তিশিক্ষা ( স্থতাকাটা, কাপড় বোনা, সেলাই, ইত্যাদি ), নীতি শিক্ষা ও ধৰ্ম্মশিক্ষার বাবস্থা আছে । ছাত্রগণ ও ত্যাগী শিক্ষকগণ বিদ্যার্থী-আশ্রমে একত্র জীবনযাপন করেন। গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে বিপন্ন লোকদের সাহায্য, মেলা উৎসব প্রভৃতিতে শৃঙ্খল রক্ষা ও আৰ্ত্তসেবা, রোগীদিগকে ঔষধপথাদান প্রভৃতি সেবার কার্য এই আশ্রম করিয়া থাকেন। গান্ধী মহাশয় আশ্রমেব সবকদিগের বিনয় ও সরলতা গুণ লক্ষ করিয়াছিলেন । বিদ্যালয়ের নূতন অবস্থান-ভূমিতে নুতন গৃহাদি নিৰ্মাণ, কূপ খনন প্রভৃতি কার্য্যে শিক্ষক ও ছাত্রগণকে বিশেষভাবে থাটিতে হইয়াছে। কাঠ, খড়, বাশ, চাউল অর্থ প্রভৃতি সংগ্রহ ; নিজ হস্তে ইটফেল, দেওয়াল নিৰ্ম্মাণ প্রভৃতি কার্য্যে সাহায্য করা—এইসমস্ত কাজ করিতে হইয়ছে। এক থৎসর এই ব্যাপারেই শিক্ষক ও ছাত্রগণের অবশিষ্ট শক্তি সৰ্ব্বাপেক্ষ। অধিক পরিমাণে নিয়োজিত হইয়াছে ।