পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রণতি সৰ্ব্বসিদ্ধিদাতা পরমেশ্বরের নাম লইয়। ১৩০৮ সালের বৈশাখে প্রবাসী প্রথম প্রকাশিত করিয়াছিলাম । তাহার রুপায় ই হার জীবনের প্রথম পচিশ বৎসর পূর্ণ ও অতীত হইল। দ্বিতীয় পচিশ বৎসরের প্রারস্তে কৃতজ্ঞ ঙ্গদয়ে তাহীর চরণে প্রণত হইতেছি । প্রবাসীর প্রশংসা বর্তমান সংখ্যায় প্রবাসীর যে-সকল প্রশংসা ছাপিয়াছি, তাহা অনেক দ্বিপার পর ছাপিয়াছি। প্রবাসীর প্রশংসা ছাপা অপেক্ষ আমার ব্যক্তিগত প্রশংসা ছাপিতে আমার অধিকতর সংকোচ বোধ হইয়াছে। কারণ, প্রবানী যতটা উৎকর্ম লাভ করিতে পারিয়াছে, তাহা কেবলমাত্র আমার চেষ্টায় হয় নাই ; অন্য র্যাহাঁদের চেষ্টায় হইয়াছে, র্তাহারা বাস্তবিকই প্রশংসার যোগ্য, এবং সৰ্ব্বসাধারণের ও আমার কৃতজ্ঞতার পাত্র । আমার ব্যক্তিগত যেরূপ প্রশংসা প্রবাসীর হিতৈষীগণ ੈ। তাহারা আমার সমুদয় দোষ ক্রটি ৪ দুৰ্ব্বলতা জানিলে সেরূপ প্রশংসা করিতেন না। কিন্তু সম্পাদক কিরূপ হইলে এবং নিজের কাজ কিভাবে করিলে তাঁহাদের প্রশংসার যোগ্য হন, তাহাদের প্রশংসা হইতে আমি তাহা স্পষ্ট বুঝিতে পারিয়াছি । ঠাহীদের লেখা হইতে সম্পাদকীয় আদর্শ সম্বন্ধে আমার ধারণা স্পষ্টতর ও উজ্জ্বলতর হওয়ায় আমি উপকৃত ইয়াছি এবং তাহার জন্য র্তাহাদিগকে কৃতজ্ঞতা স্বানাইতেছি । আমার পার্থিব জীবন ও সম্পাদকীয় ন শেষ হইয়া আসিয়াছে। এই কারণে, আমার তষীদিগের আদর্শের মত হইতে চেষ্টা করিবার জন্য মি বেশী সময় পাইব না। যে-সকল সম্পাদকের বয়স আমা অপেক্ষা অনেক কম, উক্ত আদর্শ র্তাহাদের কোন কাজে লাগিলে সুখী হইব । প্রবাসীর উন্নতির জন্য যিনি মাহ লিখিয়াছেন, তাহা আমি শ্রদ্ধার সহিত মন দিয়া পড়িয়াছি ও কৃতজ্ঞতা অনুভব করিয়াছি। উপদেশগুলি আমার নিজের ব্যবহারের জন্য বলিয়া মুদ্রিত করিলাম না। কিন্তু আমার বুদ্ধি বিবেচনা ও শক্তি অনুসারে আমি হিতৈষীদিগের উপদেশের অনুসরণ করিতে চেষ্টা করিব । “আশীৰ্ব্বাদ ও স্বস্তিবাচন’ ছাপা হইয়া যাইবার পর শ্ৰীযুক্ত অমলচন্দ্র হোম, শ্রীযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী ও শ্ৰীযুক্ত সরলা দেবীর চিঠি পাইয়াছি । র্তাহাদিগকে কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি । সম্পাদকীয় কৰ্ত্তধ্য পালন আমি ভাল করিয়া করিতে পারি নাই। আমার যত দোষ ত্রুটি ও ভ্রম হইয়াছে, তাহার জন্য আমি কুষ্ঠিত আছি । ক্ষত্ৰিয়ত্বের প্রমাণ বাংলা দেশে ও ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশে হিন্দু সমাজের যেসকল জাতি ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্ৰিয় বলিয়া সচরাচর পরিচিত নহেন, তাহাদের কেহ কেহ অনেক বৎসর হইতে আপনাদের ব্রাহ্মণ ত্ব বা ক্ষত্ৰিয়ত্ব প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন । এইরূপ জাতির অধিকাংশই আপনাদের ক্ষত্ৰিয়ত্ব প্রমাণ করিতে উংস্থক। তাহার যে-সকল প্রমাণ দিয়া থাকেন, তাহা হিন্দু সমাজের অনুমোদিত হইলে আমরা সুখী হইব । যাহারা আপনাদের ক্ষত্ৰিয়ত্ব সৰ্ব্ববাদিসম্মত বলিয়া প্রমাণিত করিতে চান, তাহাদের নিকট আমাদের একটি নিবেদন আছে। ক্ষত্রিয়ের ধৰ্ম্ম কি, তাহা তাহাদের অবিদিত নহে। ক্ষত হইতে যিনি ত্রাণ করেন, তিনিই