পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] স্তার কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত ভারতসচিবের কেন্সিলের সদস্ত করা হইয়াছিল। এই কাজ তিনি এরূপ যোগ্যতার সহিত করিয়াছিলেন, যে, লর্ড মলী ভারতসচিবরূপে তাঙ্গর ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছিলেন। পেন্সান লইবার পর গুপ্ত মহাশয় ভারতীয় সৈন্যদল * G of offi (Esher Committee) afoulছিল, তাহার সভ্য হইয়াছিলেন, এবং উহার অধিকাংশ সভোর রিপোর্টে সায় না দিয়া স্বতন্ত্র মন্তব্য লিখিয়াছিলেন। তাঙ্গতে তাহার স্বাধীনচিত্ততার ও দেশহিতৈষিতার পরিচয় পাওয়া গিয়াছিল। তিনি অনেকের নিকট তাহার এই মত বহুবার ব্যক্ত করিয়াছেন, যে, ভারতীয়ের সৈনিক বিভাগের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত না হইলে এবং সৈন্যদল আগাগোড়া ভারতীয় না ইহলে, ভারতবর্ষ প্রকৃত আত্মকর্তৃত্ব পাইয়াছে, কখনও ইহা বলা চলিবে না । বিবিধ প্রসঙ্গ-কানপুরে প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সন্মিলন కె.సి) তিনি সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের সভ্য ছিলেন, এবং ব্রাহ্মসমাজের প্রচার ও অন্যান্য কাৰ্য্যে অর্থ সাহায্য করিয়া ও অন্যান্য প্রকারে উহার প্রতি নিজের আন্তরিক অতুরাগ প্রকাশ করিতেন । বাকুড়ায় সরোজনলিনী দত্ত মাতৃত্বাগার শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্ত মহাশয়ের সহধৰ্ম্মিণী স্বগীয়া সরো জনলিনী দত্ত যখন স্বামীর সহিত বাকুড়ায় ছিলেন, তখন তিনি সেখানে মহিলাস মিতি গঠন করিয়া তাহীদের সহযোগে অনেক সৎকাৰ্য্য করিতেন। তাহার মৃত্যুর পর বাকুড়ার মহিলারা তাহার স্মৃতিরক্ষার্থ অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া তথাকার মেডিক্যাল স্কুলের হাসপাতালে একটি স্বতিকাগার স্থাপন করিয়াছেন। তিনি যেখানে যেখানে কাজ করিয়াছিলেন, সৰ্ব্বত্র তাহার নামে এইরূপ কোননা-কোন লোকহিতকর কার্য্য অতুষ্ঠিত হইলে তাহার প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শিত হইবে। কানপুরে প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন গত মাসে কানপুরে যে প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মিলন হইয়া গিয়াছে, ঔপন্যাসিক শ্রযুক্ত শরচ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তাহার সভাপতির কার্য্য করিবার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অস্বস্থ হইয় পড়ায় লক্ষ্মেীয়ের ব্যারিঞ্জর ক্রযুক্ত অতুল প্রসাদ সেন সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ সেন অভ্যর্থন সমিতির সভাপতি হইয়াছিলেন । উভয় সভাপতির বক্ততার পর কয়েকটি স্বলিখিত প্রবন্ধ পঠিত হয়। অধিবেশনের শেষে স্থির হয়, যে, অতঃপর দিল্লীতে আগামী বড়দিনের সময় সম্মিলনের অধিবেশন হইবে। সকলেই যখন ছুটি পান, সেরূপ কোন সময় ভিন্ন সম্মিলনের অধিবেশন হইতে পারে না বটে। কিন্তু বড় দিনের সময় কংগ্রেস এবং আরও এত বেশীসংখ্যক সভাসমিতির অধিবেশন হয়, যে, সে সময়ে বঙ্গসাহিত্যোৎসাহী লোকদিগের পক্ষেও দিল্লী যাওয়া সহজ না হইতে পারে। সম্ভবত কোন বিশেষ কারণে পূজার ছুটির সুযোগ গ্রহণ করা হয় নাই ।