পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ર 8 প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড উপাসক নতজাতু হইয়া উপবিষ্ট ; প্রত্যেকের পশ্চাতে একটি নাগ অর্থাৎ সপ। ফলকের পৃষ্ঠদেশে তাৎকালিক লিপিতে কিছু লেখা আছে। পরবর্তী ভারতীয় ধৰ্ম্মমতসমূহ এবং পরবর্তী শিল্পের সহিত এই প্রাগৈতিহাসিক ধৰ্ম্ম ও শিল্পের সম্পর্ক নির্ণীত হইলে ভারতের ইতিহাসে নূতন আলোকপাত হইবে। একটি সীল পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে অশ্বখবৃক্ষের চিত্র আছে। পাতাগুলি যে অশ্বথের তাহা সুস্পষ্ট । বৃক্ষের কাণ্ড ইষ্টতে ছুদিকে দুটি হরিণের মুখ বাহির হইয়াছে। অশ্বথ, বট প্রভৃতি বৃক্ষ ভারতবর্ষে অনেক প্রাচীন কাল হইতে ধৰ্ম্ম ও পূজার সহিত সংশ্লিষ্ট । এই সৗলটিও কোন ধৰ্ম্মের পরিচায়ক হষ্টতে পারে । প্রাচীন অট্টালিকা, নর্দামা, স্নানাগার প্রভূতিতে যে সব ইট ব্যবহৃত হইয়াছে, তাহা খুব পরিষ্কার করিয়া চাছাছোলা। সেকালে চুণ-সুরকির বা অন্ত কোন রকমের মশলা গাথনীতে ব্যবহৃত হইত না । এইজন্য ইটগুলির পৃষ্ঠদেশ খুব সমতল ও মন্থণ করিতে হইত, এবং জোড়গুলিও খুব নৈপুণ্যের সহিত খাপ খাওয়াইতে হইত। সূৰ্য্যগ্রহণ উপলক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক মতের পরীক্ষা বিলাতের রাগবী শহর হইতে গত ১৩ই জানুয়ারী প্রেরিত একটি বে-তার সংবাদ ভারতের কোন কোন কাগজে ছাপা হইয়াছিল। তাতার মৰ্ম্ম এই, যে, গত ৩০শে পৌষের স্বৰ্য্যগ্রহণ উপলক্ষে সুমাত্রা দ্বীপে বৈজ্ঞানিক পৰ্য্যবেক্ষণের জন্য যে ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক অভিযান প্রেরিত হয়, তাহার উদ্দেশ্য ম্যাঞ্চেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঈ এ মিলনের গ্রহণকালীন স্বয্যের ‘করোনা’ বা আভামণ্ডলব্ধপ কিরীট সম্বন্ধীয় মতের সত্যতা পরীক্ষা কর। অধ্যাপক মিলনের মত আবার অধ্যাপক মেঘনাদ সাহার কতকগুলি মতের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত । সে বিষয়ে অধ্যাপক মিলন নিজে গত বৎসর ৩০শে অক্টোবর CASH (Nature, October 30, 1925, page 530) কাগজে লিখিয়াছেন :– “Six years age, practically no explanation existed why some lines appear in stellar spectra, and not others, why some lines always decrease in intensity through the stellar sequence and others appear, and then fade away. It is to the key which has unlocked these mysteries. Saha, showed that elementary thermodynamics, considered in connection with Bohr's theory of origin of spectra, demands that atoms pass through successive stages of ionisation as the temperature increases and produces the phenomena observed in stars. At the hands of Saha and others (others include Prof. Milne himself), this simple physical idea has received quan: titative treatment which allows a wealth of detailed deductions to be made concerning pressures and temperatures in the stars.” এই কথাগুলির দুৰ্ব্বোধ্য বাংলা অনুবাদ দিয়া কোন লাভ নাই। পরে এ-বিষয়ে একটি সচিত্র প্রবন্ধ ছাপিবার ইচ্ছা রহিল। geqch a maximum, Saha that we owe কৃষি-কমিশন আমরা মডার্ণরিভিউ ও প্রবাসীতে একাধিক বার লিখিয়াছি যে, বহুব্যয়সস্কুল একটি রাজকীয় কৃমিকমিশন বসাইবার কোন প্রয়োজন ছিল না। স্যার রেজিন্তাল্ড ক্রাডক্ ব্ৰহ্মদেশের এবং ভারতবর্যের মধ্যপ্রদেশ ও বেরারের শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন, এবং দুই প্রদেশে তিনি ক্লষিবিভাগের কার্য্য শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন । তিনিও বিলাতী এশিয়াটিক রিভিউতে লিখিয়াছেন, যে, ভারতীয় কৃষির উন্নতির জন্য যাহা করা দরকার তাহা ইতিপূৰ্ব্বেই নানা কমিটি ও কনফারেন্সের রিপোটে এবং প্রাদেশিক কৃষিবিভাগগুলির রিপোর্টে নিবদ্ধ হইয়াছে । তাঙ্গর মধ্যেই সব উপায়ের উল্লেখ প্রাপ্তব্য । সেগুলি একত্র করিবার জন্য একজন লোক নিযুক্ত করিলেই হইত। তিনি ইহাও লিখিয়াছেন, যে, ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের ভূমির রাজস্ব প্রভৃতি কমিশনের তদন্তের বিষয় হইতে বাদ দিলে কমিশনের কাজ সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাচিত হইবে না। কিন্তু প্রথমতঃ ইহা তদন্তের বিষয়সমূহ হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছিল। পরে বলা হইয়াছে, যে, কমিশন এবিষয়েও অমুসন্ধান করিতে পরিবেন, কিন্তু মন্তব্য প্রকাশ করিতে পারি বেন না ! কৃষির উন্নতির জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণার অবশ্ব খুবই প্রয়োজন আছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা রয়্যাল কমিশনের কাজ নয়, এবং যে-দেশের অধিকাংশ কুযক নিরক্ষর, তথায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা হইতে লাভবান হইবার লোকও যথেষ্ট থাকিতে পারে না ।