পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ভূমিকা ) এই বৎসর কলিকাতায় যতগুলি বাঙ্গালী শিশু জন্মগ্রহণ করিয়াছে তাঙ্কণর মধ্যে শতকরা প্রায় কুড়িজনের নাম রাখা হইয়াছে আবেদন । অকস্মাৎ বাঙ্গালী-সমাজে এই নামটির প্রতি এইরূপ পক্ষপাতিত্বের যে স্বচনা হইয়াছে তাহ যে অকারণ নহে ইহাই প্রমাণ করিবার জন্য এই কাহিনী লিপিবদ্ধ করা হইতেছে। গত দুইতিন বৎসর যাবৎ বঙ্গসমাজের চোখের মণি, হৃদয়ের ধন, প্রাণের প্রাণ রূপে যিনি আমাদের মধ্যে বিরাজ করিতেছেন, সেই শ্ৰী আবেদন পাকৃড়াশির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তির নিদর্শনস্বরূপই বাঙ্গালী আজ র্তাহার নামে নিজ সন্তানের নাম রাখিয়া তাহার নাম বাঙ্গালাদেশে চিরধ্বনিত রাখিবার চেষ্টা করিতেছে। বাঙ্গালার সকল পাঠশালা ও স্কুল খুজিয়া বেড়াইলেও দুই একটির অধিক রামমোহন, রামকৃষ্ণ, ঈশ্বরচন্দ্র কিম্ব কেশবচন্দ্র পাওয়া যাইবে না ; কিন্তু দুই চার বৎসরের মধ্যেই বাঙ্গালার স্থলে স্কুলে বিভিন্ন আবেদন’দিগকে পরম্পর বিচ্ছিন্ন রাখিয়া পুরস্কার ও শাস্তি বিতরণ করা যে এক নিদারুণ সমস্ত হইয়া দাড়াইবে সে-বিষয়ে আর সন্দেহ নাই। যে বীরপুজার অদম্য তাড়নায় আগ্ৰা-অযোধ্যা ও বিহারের অৰ্দ্ধেক লোক আজ হুকুমান’ এবং উড়িষ্যার অৰ্দ্ধেকের অধিক জগন্নাথ’ সেই বীর-পূজার আবেগই আজ আবার বাঙ্গালার নগরে নগরে, গ্রামে গ্রামে ও ঘরে ঘরে "আবেদন’ নামোচ্চারণের ভিতর দিয়া প্রকাশ পাইতেছে। গঙ্গোপাধ্যায়, বন্দ্যোপাধ্যায়, সান্তাল ও মিত্র হইতে আরম্ভ করিয়া পিতুড়ি, নন্দন ও ভড় সকল প্রকারের আবেদনেই যে অচিরাং বাঙ্গালা পুর্ণ হইয়া উঠিবে এ বিষয়ে কিছুমাত্রও সন্দেহ নাই। যে পুণ্যস্মৃতি ও মহাদু্যতিমান অতিমানবের নাম কোন এক ভাগ্যবান জনকজননী সৰ্ব্বাগ্রে আবেদন রাথিয়াছিল তাহাকে মনে মনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিয়া কাহিনীর ভূমিকায় নিযুক্ত হই। هر | আবেদনের পিতা নীলাম্বর পাকৃড়াশি-মহাশয় একদা অফিস হইতে গৃহে আসিবার পথে অকারণ পুরাতন