পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৪ করণীয় আছে । ধিনি আমাকে অতুকপা করেন, ধিনি আমার শিক্ষক, তিনি পরিনিৰ্ব্বাণ লাভ করিবেন ।" আনন্দকে না দেখিয়া ভগবান ভিক্ষুগণকে জিজ্ঞাসা তখন তাঙ্গারা সমুদায় ঈহ শুনিয়া ভগবান একজন ভিক্ষুকে করিলে• — আমিন কোথtধ ?’ ধটন পলিলেন । আনন্দের নিকট পাঠfচয় দিলেন । আনন্দ মথন নিকটে উপস্থি ত হইলেন, তখন ভগবান তাহাকে ধৰ্ম্মোপদেশ দিল্প স স্থন করিলেন । বুদ্ধের প্রশংসাবাণী এই সময়ে বুদ্ধ আনন্দকে সম্বোধন করিয়! বলিলেন— “খে আনন্দ ! বহুকাল তুমি মৈত্রীপরিপূর্ণ, হিতকর, সুপকর, অদ্বয় এবং অপরিমিত কার্য্য, বাক্য এবং চিন্ত৷ দ্বারা তথাগতের সমীপে বাস করিয়াছ । তুমি কত পুণ্য হইয়াছ ।” মহাপরি ৫১৩,১৪ । ঈহার পরে বুদ্ধ ভিক্ষুগণকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন— “ঠে ভিক্ষুগণ ! আনন্দ পণ্ডিত এবং মেধাবী । তথাগতকে দশন করিবার জন্য কথন ভিক্ষুগণের উপযুক্ত সময়, কথন ভিক্ষুণীগণের, এবী কথন উপাসক, বা উপাসিকা, বা রাজা, বা রাজার প্রধান অমাত্য, বা অপর সম্প্রদায়ের নেতৃগণের ব| অপর সম্প্রদায়ের শ্রাবকগণের উপযুক্ত সময়, আনন্দ তাহা জানে। “হে ভিক্ষুগণ ! আনন্দের চরিটী আশ্চৰ্য্য অদ্ভুত গুণ । কোন চারিটি ? “যদি ভিক্ষুগণ আনন্দকে দশন করিবার জন্য আগমন করে, তাহার। তাহাকে দেখিয়া আনন্দিত হয়, যখন আনন্দ ধৰ্ম্ম ব্যাখ্যা করে, তাহারা তাহ শুনিয়া আনন্দিত তয় ; আর যদি আনন্দ তৃষ্ণস্তব ধারণ করে, তবে তাহারা অতৃপ হয় । “এইরূপ দি ভিক্ষুণীগণ-উপাসকগণ-উপাসিকাগণ আনন্দকে দর্শন করিবার জন্য আগমন করে, তাহারা ‘আনন্দকে দর্শন করিয়া আনন্দিত হয়, আনন্দ যখন ধৰ্ম্ম ব্যাখ্যা করে, তাহা তাহারা শ্রবণ করিয়া আনন্দিত হয়, আর আনন্দ যখন তুষ্ণীভাব ধারণ করে, তখন তাহারা অতৃপ্ত হয় । এবং প্রবাসী –জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড "হে ভিক্ষুগণ, রাজচক্ৰবৰ্ত্তীর চারিটি আশ্চর্য্য ও অ দু গুণ । যখন ( ১ ) ক্ষত্ৰিয়গণ, ( 2 ) ব্রাহ্মণগণ, ( ৩ । গৃহপতিগণ বা ৪। শ্রমণগণ ৰাজচক্রবর্তীকে দর্শন করিবার জন্ত আগমন করে, তাহার। তাহাকে দর্শন করিয়া আনন্দিত হয়, তিনি মথন কথা বলেন, তখন তাহার। সেই কথা শুনিয়া আনন্দিত হয়, এবং তিনি যখন তৃষ্ণাস্তাব ধারণ করেন, তখন তাহারা অতৃপ্ত হয় । “হে ভিক্ষুগণ আনন্দেরও এই প্রণ র চারিটি গুণ ।”: মহাপ; ৫ ১ ৬ ভিক্ষুণসম্প্রদায় আনন্দের কথা বলিতে ইলেই ভিক্ষুণীসম্প্রদায় সংগঠনের কথা বলিতে হয় । মহাপ্রজাপত্ৰী গোতমা গোতমের নিকট প্রার্থনা করিয়াছিলেন—‘নারীগণকে প্রত্ৰ জ্য। অবলম্বন করিবার অল্পমতি দেওয়া হউক । গোত্ম তাহার এই প্রাথন পূর্ণ করেন নাই । ইহার পরে একদিন মহাপ্রজাপর্তী কেশ ছিন্ন করাইয়া কাষায় বস্ত্র পরিধান করিয়া, বহু শাক্যনারী সহ গোতমের বিশ্রামকাননে উপস্থিত হইলেন। তাহার পদ স্ফীত হইয়াছিল, গাত্র ধূলিপূর্ণ গুইয়াছিল, চক্ষু হইতে অশ্রু বিগলিত হুইতেছিল, এইভাবে তিনি বহির্ভাগে দণ্ডায়মান ছিলেন । আয়ুষ্মান আনন্দ এই অবস্থা দর্শন করিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন— “হে গোতমি • তুমি কেন এই অবস্থায় দণ্ডায়মান রহিয়াছ ?” গৌতমী বলিলেন— “নারীগণ প্রত্ৰজ্য অবলম্বন করিবেন, ইহাতে ভগবান অনুমতি দেন নাই ।” আনন্দ বলিলেন :--- “গোতমি ! তুমি মুহূৰ্ত্ত কাল এই স্থলে অপেক্ষ কর, আমি ভগবানকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করিতেছি ।” অনন্তর আয়ুষ্মান আনন্দ ভগবান সমীপে গমন করিলেন এবং তঁহাকে অভিবাদন করিয়া এক প্রাস্তুে অবস্থিতি করিলেন । তদনন্তর ভগবানকে বলিলেন—