পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] শিক্ষার্থী ও অপ্রাপ-মানস ধিনি · { করিতেন, সেচ শিক্ষক حمي অfম{কে অতু কম্প। পরিনির্ববাণ প্রাপ もち立帝a l>os? মৃত্যুব সময়ে আনন্দ এইরূপ বলিয়ছিলেন – জীবনদোল৷ ২৬৯ শাস্ত্রীর ( অর্থাং উপদেষ্ট গোতমের ) পরিচয্য কর। হইয়াছে, বুদ্ধেব অনুশাসন পালন করা হইয়াছে ; গুরু ভার বzন কর শেষ হইয়াষ্টে, পুণভব বিনাশ প্রাপ্ত হইয়াছে । S • ? ~ | জীবনদোলা শ্ৰী শাস্তাদেবী ( २ ) শীত কাটিয়া গিয়ছে ; ৰূপ প্রায় বায়ু পত্রবিরল গাছে গাছে কচি পাতার আহবান গতি স্ব %,ঠ মাস পরের কথ। । ফাল্গুনের চলিয়াছে । হরিকেশব শুই পাব ঘরের পাশের :পলি ছাদে পাঠচারি করিতেছিলেন । রাত্রি অনেক ঠঠয়াছে, কিন্তু কি একট। গভীর চিন্তা তাহাকে শয্যায় স্থির তইহ্নে দিতেছিল না। চিন্তাজাল বারবার ছিন্ন হইয়া ধাইতেছিল, কিছুতেই যেন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না ! সখন ভাবিতেছেন অনেকখানি সমস্যার মীমাংসা করিয়৷ আনিয়াছেন, তখনও হঠাৎ চমকিয়া দেখেন চিন্তাশ্রোত বাধবিন্ধময় পথে বেশীদর অগ্রসর হইতে ন পারিয়া সম্পূর্ণ অন্যদিকে চলিয়া গিয়াছে। সমস্যার মীমাংস এলটপু ৪ হয় নাই, তাহাব পরিবর্কে তিনি কি এক স্বপ্ন জালে গড়াইয়া পডিয়াছেন । হরিকেশব আপনাকে আপনি ফাকি দিবার লজ্জায় বিব্রত হইয়। বিছানা ছাড়িয়া বান্তিরে আসিয়া ঘুরিতে লাগিলেন । ঘরের বদ্ধ বাতাসে মন ক্লাস্থ ইষ্টয়া পড়ে, পথ চলিতে চায় না । বাহিরে উন্মুক্ত আকাশের লfয় সে যেন শক্তি ফিরিয়া পায়, দুল জন্য বাধাকেও গতিক্রম করিবার জন্য যুঝিতে চায় । হরিকেশবের চিন্তার স্রোত যত নূতন নূতন বাধায় প্রতিহত হইয়া ফিরিয়া আসিতেছিল, ততই তাহার সমস্ত *রার মন চঞ্চল হইয়া উঠিতেছিল, গতি দ্রুত হইতে দ্রুতর হইয়া পড়িতেছিল। যেমন করিয়া হউক সিধ। পথে চলিয়। মীমাংসায় উপনীত হইতে হইবে । সংসারের কাজ শেষ করিয়া অনেক রাত্রে সরে আসিয়া তরঙ্গিণী দেখিলেন গৌরী গোল জানলাব পাশে নিশ্চিন্তমনে সুমাইয়। পড়িয়াছে, স্থস্বপ্নের দাপিতে তাঙ্গার মুখখানি আলোকিও, কিন্তু হরিকেশব ধরে নাই । ভরিকেশবকে তিনি উপরে আসিতে দেখিয়াছিলেন, তাছাড়। বাহিরের অশান্ত পদধ্বনি শুনিয় তাহার বুঝিতে বাকি রহিল না যে হরিকেশব কোথায় কি কাজে ব্যস্ত । গেীরীর মুখের দিকে তাকাইয়া একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া তরঙ্গিণ ধীরপদক্ষেপে খোল ছাদে আসিয়া দাড়াইলেন । সূরিতেছেন । চরিকেশব তেমনি তরঙ্গিণী ধীরে তা চার গায়ে তাত দিয়া EFG বলিলেন, “রাত সে অনেক হ’ল, তুমি শোবে কখন ?” হরিকেশব একবার “ঠ্য, ধাই” বলিয়া আবার তেমনি ভাবে সুরিতে লাগিলেন । চিম্ব সূত্র পাছে এলে মেলে। হইয় পড়ে তাই সেন তিনি কথা বলিবার কি দাড়াইবার অবসর-টুকুকেও ভয় পাইতেছিলেন । তরঙ্গিণা কিন্তু যেন তাহার চিস্থা জাল ছিন্ন ভিন্ন করিয়া দিবার জন্যই বদ্ধপরিকর হইয়। আসিয়াছিলেন । তিনি আবার স্বামীর কাছে সরিয়া আসিয়া তাহ,প হাতখানা ধরিয়! একটু জোর দিয়াই বলিলেন, “তুমি কি ভেবে ভেবে নিজের মাথাট। শুদ্ধ খারাপ করতে চাওঁ ? কি লাভটা এতে হবে আমায় বলতে পার ?" কথা শেষ হইবার পূর্বেই তাহার স্বর কোমল ও গাঢ় ইষ্টয় আসিল, দৃষ্টি অশজলে রুদ্ধ হইয়া গেল ; তিনি আর বেশী-কিছু বলিতে পারিলেন না ।