পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳԵ আমাদের আলোচ্য মূর্তুিটির সঠিত বর্ণিত মূৰ্বি গুলির কোন ধ্যানই মিলে না । কিন্তু নৰ্ত্তনশীল দশভূজ শিবের মূৰ্ত্তি দেখা যায় বটে । * মূর্তিটি সে শিবের একটি প্রকার-ভেদ তাহাতে আর সন্দেহ নাই । সে প্রকার-ভেদটি নির্ণয় আবশ্যক । এ মূৰ্ব অন্যত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে বলিয়া জানি नीं । দ্বিতীয় মূর্তিটি বিষ্ণুর মৎস্তাবতার মূৰ্বি । বিষ্ণুর মৎস্যবিতার কাহিনী অনেকেরই সুবিদিত । এই মৎস্যাবহইয়াছে । তাঙ্গতে আদর্শে গঠিত নহে । মংস্যমূৰ্বিই উৎকীর্ণ তারের অতি অল্প মূৰ্ত্তিই আবিষ্কৃত দেখিতে পাওয়৷ সায় সকল মূর্তি এক উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মূৰ্ত্তিতে কেবল দেখা যায়, উৰ্দ্ধ-নরাকৃতি চতুৰ্ভুঞ্জ তাঙ্গাতে নাই । বাঙ্গালাতেষ্ট উৰ্দ্ধনব চতু জ এবং অধ-মংস্যাকতি মূর্তি দেখিতে পা ওয়া যায় । বাঙ্গালায় এক ঢাকা মিউজিয়ম ব্যতীত এ মূৰ্ত্তি আর আবিষ্কৃত হইয়াছে বলিয়া জানি না। আম

  • Indian Image. P. 20.

প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড দের বিশ্বাস আলোচ্য মূৰ্ত্তিটির মূল্য অন্য সকল মৎস্যমূৰ্ত্তি হইতে অনেক বেশী । কি ভাব-সম্পদে, কি গঠন পারিপাট্যে ইঙ্গর আর তুলনা হয় না। কি মধুর সাম্যসমাহিত ভাব । ইহাকেই বলে পাথরে প্রাণ-সঞ্চার । ইহার সূক্ষ্মশিল্পসৌন্দর্য্যে যে কেহ আকুষ্ট না হইয়। পারে না। আর যে কষ্ঠি-পাপরের মৃষ্টিটি উৎকীর্ণ এমন নিকষকৃষ্ণ কষ্টি-পাথর কচিং দেখা যায় । মূর্তিটি সেরপুরের নিকটবৰ্ত্তী হলকর্ষণকালে অক্ষ অবস্থায় পাওয়া গিয়াছে । পেঙ্গের জমিদার সেরপুর-নিবাসী মদীয় বন্ধ শ্ৰীযুক্ত কুমুদলাল চৌধুরী মহাশয় মূৰ্ছিটির প্রাণ-প্রতিষ্ঠাপূৰ্ব্বক সেবাপূজার ব্যবস্থা করিয়া সেরপুরস্থ তাহার ঠাকুর-বাড়ীতে স্থাপিত করিয়াছেন । মৰ্বিটি উচ্চে স ওয়! গুস্ত পরিমাণ । দুইদিকে সে তুষ্টটি স্বী-মূৰ্ত্তি দণ্ডায়মান আছে, তা হার দক্ষিণ দিকের স্বী-মুৰ্বির বাম হস্তের নীচে দুইটি অক্ষর উৎকীর্ণ দেখা যায়। আমরা তাহা সোহং রূপে পাঠোদ্ধার করিয়াছি । পেঙ্গ নামক গ্রামে কবি-বরণ শ্ৰী বুদ্ধদেব বস্তু দিগন্তের প্রাস্তখানি উদ্ভাসিয়া আলোর উল্লাসে যেদিন জাগিলে, কবিবর, সেদিন পাষাণ করে চূর্ণ করি অদম্য উচ্ছাসে বঙ্গেছিল অমূল-নিঝর । নিশার ললাটে তুমি জ্যোতিৰ্ম্ময়ী উষার আশীষ আনন্দ-তরঙ্গ তাই হোম ধিরি’ নাচে অহনিশ, বেদনার অশবাপ মিলাইল শূণ্ঠস্বপ্ন প্রায় তোমার প্রভায় । সেদিন শিশির-স্নাত স্নিগ্ধশ্রাম তৃণের পল্লবে জেগেছিল মুখ-শিহরণ, গগনের পাণ্ডুবক্ষে অনবদ্য অপূৰ্ব্ব গৌরবে লেগেছিল দীপ্তির স্পন্দন । কমল-কলির শো ভ-সৌরভের শুভ্র নিবেদন পেলব পল্লব-দলে নাড় বাধি’ ছিল সঙ্গোপন, তোমার সুন্দর হাসি ভালোবেসে জাগালো তাহারে আর্ঘ্যের সম্ভীরে } স্বরের বন্ধনে তুমি বিমন্দিত করেছিলে, কবি, শিশিরের করু৭-এ নদন, ধরণীর বর্ণম ল্যে একেছিলে নন্দনের ছবি কুসুমের মুক্তি-জাগরণ । ধরিত্রীর চিত্ৰলেখা ছন্দে গাথি’ রাখিলে যতনে, মদির মন্থর করি সমীরণ প্রণয়-গুঞ্জনে, মানবের মুখদুঃখ, হৃদয়ের নিভৃত অৰ্চনা করিলে বন্দন ।