পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵՀ তদারকে ফেরেন আর এই বেচারীকে যত সব বস্তাপচা রদিমাল কুড়িয়ে ফিরতে হয়। সব চাইতে আশ্চৰ্য্য ব্যাপার এই যে কোচোয়ান বরাবর একজন নয় ; শোনা যায় সেই মান্ধাতার গাড়াপান আর ঘোড়। ঠিক আছে বটে কিস্থ গাড়োয়ান বদলি হয় । কে কোচোয়াম হবে তা ও ঠিক করা আছে । বছরের শেষদিন ঠিক রাত বারোট। বাজার সঙ্গে সঙ্গে যে মারা যাবে তা’কেই যমের গাড়ীর গাড়েtয়ান হ’তে হবে । তার লাস সববাইকার মতো পতে ফেলা হয় কিন্তু তার পাতল শরীর সেই বাদুরে পে{যাক পরে কাস্তে হাতে লাগাম ধ’রে গাড়ীতে বসে, আর লোকের দরজায়-দরজায় মড় কুড়িয়ে ফেরে। ফের নতুন বছরের রাত বারটায় কেউ মরে যতক্ষণ না তা’কে রেহাই দিচ্ছে ততক্ষণ তাকে এই ভাবে ঘুরে বেড়াতে श्च ।।' ** তাহার গল্প শেষ হইল । সে গম্ভীর হইয় তাহার সঙ্গীদের অবস্থা উপভোগ করিতে লাগিল ; তাহার। জড়সড় হইয় ভয়ে-ভয়ে গিজায় ঘড়ির দিকে চাহিতে লাগিল কিন্তু অন্ধকারে কিছুই ঠাহর করিতে পারিল না । সে বলিল, “বারট। বাজতে এখনো এক কোয়াটার বাকী আছে । সেই সাংঘাতিক ক্ষ্যাণ এল ব’লে, এখন বোপ হয় বুঝতে পাৰ্বছ আমার সেই বন্ধু ভয় পেত কেন । কিছুতেই যেন গাঙ্গ রাত বারোটায় ম’রে এই জঘন্য কোচোয়ান না হয়—এই ছিল ত’র ভয় । সম্ভবতঃ আজকের সমস্ত দিনটা সে ব’সে-ব’সে ভাবত যে সে যমের সেই গাড়ীর ক্যাচকোচ আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে । সব চাইতে মজার কথা—সে নাকি গত বছর নতুন বছরের পর্ব দিনেই মারা গেছে।" "তাই নাকি, এ ত ভারী আশ্চয্যি । সে কি ঠিক রাত বারোটায় ম'রেছিল । , "শুনেছি সে এই পৰ্ব্বদিনেই মরেছে তবে ঠিক সময়ট জানি না। আমি কিন্তু এ না জানলেও বলতে পারতাম সে এই দিনই মরবে। সবসময় মন গুম্রে এখন মরব না মর্ব না ভাবলে গুই সময়েই মরুতে হবে। সাবধান, এরোগে যেন তোমাদেরও না পেয়ে বসে তাহলে তোমাদেরও গুই দুৰ্গতি হবে ।” প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড শ্রোতা দুজন একসঙ্গে দুটি বোতল তুলিয়া লইয়া এক ঢোকে অনেকখানি মদ গিলিয়া ফেলিয়া অল্পক্ষণেই বিষম মাতাল হইয় পড়িল । তাহার। টলিতে-টলিতে উঠিয়। দাড়াতেষ্ট লম্ব লোকটি তাহীদের হাত ধরিয়া বলিল, “আরে যাও কোথায়? রাত বারটা না বাজতেই বেরিয়ে যাওয়াটা কি ঠিক হবে ?”সে দেখিল তাহার অভীষ্ট সিদ্ধ হইয়াছে—দুজনেই বেশ একটু ভয় পাইয়াছে । “তোমরা এই ঠাকুমার গল্পে বিশ্বাস করলে নাকি ? আমীর সে বন্ধু ছিল ভারী রোগ, আমাদের মত জোয়ান নয় । এস, এস, ব’সে পড়ে আর একপাত্ৰ ক’রে থাওয়া যাক ৷” সে দুজনকেই টানিয়া বসাইয়া দিয়া বলিল, “এখন আরো থানিকট ব’সে থাকাই সুবিধাজনক । এসে সমস্ত দিনের পর একটু হাফ ছেড়ে বেঁচেছি । solić's নইলে যেখানে গেছি মুক্তি-ফৌজের চর ব্যাটার তো আমাকে জালিয়ে পেয়েছে । সিস্টার ঈডিথ না কে মৰ্বতে বসেছে, আমাকে তা’র সঙ্গে দেখা করতে হবে। কেনরে বাপু ? আমি ত যাব না ব'লেও রেহাই পাইনি। এমন ফুৰ্বির সময়টা মরার রোগীর কাছে কে ধৰ্ম্মকথা শুনতে পারে । তোমরাই বল ।” অন্য দুই জনের বুদ্ধি তখন মদের ধোরে খেলাইয়া উঠিয়াছে । সিস্টার ঈডিথের নাম শুনিবামাত্র তাহারা লাফাইয়া উঠিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “গরীব দুঃখীদের ভালোর জন্যে সহরে তারি না আপড়া আছে ?” একটা “হ্যা ষ্ট্য, ঠিক সেই বটে। সমস্ত বছর ধ’রে মাগী আমার ওপর কি করুণাটাই না ঢালছে। আশা করি সে তোমাদের বিশেষ বন্ধু নয়। তা হ’লে তা’র মরার খবরে তোমাদের খুব কষ্ট হবে হয় ত ।" খুবসম্ভব হত ভাগ্য দুই জন সিস্টার ঈডিথের কোনে দয়ার কথা মনে রাখিয়াছিল। তাহারা জোর দিয়া বলিতে লাগিল, যে যদি সিসটার ঈডিথ কাহারও সঙ্গে দেখা করিতে চান, সে যে কেউ হোক না কেন তাহার অবিলঙ্গে যাওয়া উচিত। “বটে তোমাদের ও এই মত নাকি ? আচ্ছা আমি যাব, যদি তোমরা আমাকে বুঝিয়ে দিতে পার আমার সঙ্গে দেখা হ’লে তার কি পরমার্থটা লাভ হবে।” র্তাহার কাছে