পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] যদি এবার না পালায় তবে বুঝিতে হইবে যে, সে সম্মত । গারোদের বিবাহে পিতামাতার বিশেষ সম্মতির প্রয়োজন হয় না। যুবক-যুবতীর তাহীদের ইচ্ছামতই বিবাহ-বন্ধনে বদ্ধ হয়। তবে পিতামাতার সম্মতি একটা প্রথামাত্র। ধদি পিতামাতার সন্তানের ইচ্ছানুযায়ী বিবাহে সম্মতি না দেয়, তবে গ্রামের অ্যান্য লোক আসিয়া যেমন করিয়া হউক পিতামাতাকে সম্মত করে । এমন-কি অনেক সময় প্রস্তার করিয়াও তাঙ্গাদের সম্মতি ল ওয়া হয় । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, গারোদের ভিতরে অনেকগুলি বিভাগ আছে । এক এক বিভাগে বিবাহপ্রথা । তবে আমি আমার জনৈক আসামী বন্ধুর নিকট যে-রকম বিবাহ প্রথা শুনিয়াছি, তাহাই এ-স্থলে বিবৃত করিব। বরপক্ষ ও কন্যাপক্ষ উভয়ে সম্মত হওয়ার পর একটা দিন ঠিক হয়। সেইদিন কন্যাপক্ষের লোক বরকর্ভার বাড়ীতে পাপিয়া বিবাহের দিন, তারিখ ও ফলাহার ভোজনের এব্যাদি ও নিমন্ত্রিত ব্যক্তির নামের তালিক। ঠিক করে। তার পর সেই রাত্রে তাহারা খুব আমোদগাইলাদ করিবার পর বিদায় লয়। বিবাহের দিনে নিমন্বিত ব্যক্তিরা প্রথমে কন্যা-পক্ষের বাড়ীতে যায়। বরকস্তার বাড়ীতে আসিয়া বিবাহ করাই অধিকাংশ গারোদের প্রথা । খাদ্য, পানীয়াদি প্রস্থত হইলে ও সকল নিমন্ত্রিত ব্যক্তি উপস্থিত হইলে পর তাহারা একযোগে গান ও নাচ এক-এক রকম গারোদের কথা গারোদের বৃক্ষের উপর নিৰ্ম্মিত পৃষ্ঠ “বোরা:" আরম্ভ করে, আর মধ্যে-মধে। মদ্য পান করে। আর এক দল মেয়ে কনেকে নদীর ধারে লইয়া যায়, তাঙ্গকে উত্তমরূপে স্বান করায় ও পুনরায় বাড়ীতে ফিরিয়া আসিয়া সুন্দর স্বন্দর গঠন দ্বারা তাহাকে সাজাইয়া দেয়। সাজান শেষ হইলে নিমস্ত্রিত ব্যক্তিদের জানান হয়। তথন তাহার। গান বন্ধ করে। তারপর তাঁহাদের একদল মদ, খাবার, বাদ্য, ভাণ্ড ও একটা মোরগ ও একটি মুরগী লইয়া শোভাযাত্র করিয়া কন্যার বাড়ী হইতে বরের বাড়ীতে_