পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rపిe माध অমিতা কহিল, দৈনিক না, মাসিক । নাম দেব মন্দির’। তোমাকেই সম্পাদক হ’তে হবে। ... আমার ত সময় নেই। তা ছাড়া, বাংলা মাসিক হয়েকে আমি— - , আমি সব ঠিক করে নেব। কন্যার কাজকৰ্ম্মশ্বন্ত সাদাজীবনে বিয়ের প্রশ্নটা .ত্যন্ত স্পষ্ট হইয়া চোখে পড়িতেছিল। এই কাগজের .আড়ালে সেটা যেন অনেকট ফিকে হইয় গেল । 粥 發 冰 娜 অমিতা মনে করিয়াছিল, সে লিখিবে, একটু-আধট গণিৰে শুনিবে,আর মাসান্তে পূর্ণচন্দ্রের মতন পত্রিকাথানি সাহিত্যাকাশে উদয় হইবে । কিন্তু কাগজ হাতে লইয়া দেখে গ্রাহক জোটে না, লেপা মিলে না, ছাপাখানা "র-মুনির সমুদ্র গণ্ডুয করিবার মতন সমস্ত কাপি উরসাং করিয়া বসিয়া থাকে-মাস কাটিয়া গেলেও নিৰ্ব্বিকার। খরচ পত্র হিসাব নিকাশ সমস্তই বিভীষিকাময়, কেবল আতঙ্কই উৎপাদন করে । নানা রকম আঘাতে মুল্লি উঠিতে ন উঠিতে ভাঙ্গিয়া পড়ে আর কি ! ੋਣ হইয় অমিতা পিতাকে কহিল, বাবা, ভাল একজন ;াক চাই। .. অনেক সন্ধান করিয়া চন্দ্র-বাবু শিশিরকে আনাইয়৷ _দরের ভার দিল্লী নিশ্বাস ফেলিয়। পঁচিলেন । এখন ষ্ট্রে হিসাব দেখে, দেন মেটায়, প্রফ সংশোধন করে। সিকিছু ঝঞ্চাট বিনাবাক্যে মৃদু হাসির সহিত বহন করে । acকে সময়ে সারা রাত্রি জাগিয়া নন্দ-বাবুর দৈনিক সঙ্গে শিশির সংবাদ এডিটু করিত । নন্দবাবুর মুখে p}}প্রশংসা ধরে না। কিন্তু দৈনিক সংবাদ-পত্র আর so সাহিত্য ত এক কথা নয়, অমিতা কেমন করিয়া সে কথা পিতাকে বোঝায় ? শিশিরের সৌন্দৰ্য্য আছে, কিন্তু তাহার চেহারায় কবির কমনীয়তা চোখে পড়ে না। বেশভূষায় কবিজনোচিত অভিনিবেশ বা ঔদাসীন্য কোনটাই নাই। কাব্যকলায় মুগ্ধ হইবার বয়সই তাহার বটে, কিন্তু সেদিকে তাহার কিছুমাত্র অমুরাগ আছে, অমিতা তাহা মনে করিতে পারে নাই। তাই সংবাদপজরাথুরে, এই বীরটির হাতে তাহার সাহিত্যপুষ্পো প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড দ্যানের ভার সমর্পণ করিতে প্রথমে অমিতার ভরসা হয় নাই। কিন্তু ক্রমে জানিল, শিশির ও সংবাদ সাজানর ফঁাকেফাকে চমৎকার কবিতা লিখিয়াছে। বৈষ্ণব সাহিত্যে তাহার বিশেষ অতুরাগ এবং লেখিকা বলিয়৷ অমিতার নিজের যে প্যাতি, ততপানি তাহার না থাকিলেও কবি শিশিরকুমার ও সাহিত্যজগতে বেশ সুপরিচিত । এই লোকটিকে নিতান্ত অকারণেই অবজ্ঞা করিয়াছিল মনে করিয়ু অমিত কুষ্ঠিত হইল। শেষে, ‘মন্দির’ স্বপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছে বলিয়। ঘটা করিয়া একদিন কতজ্ঞতা প্রকাশ করিল, এবং শিশিরের প্রকাশিত কবিতার বই এবং অপ্রকাশিত কবিতার খাত। চাহিয়৷ আনাইয় পড়িয়া শতমুপে সে-সকলের প্রশংসা করিল। ক্রমে অমিত একে একে মন্দিরের সমস্ত ভার ইহার হাতে সপিয়া দিয়া নিশ্চিন্ত হইল। মন্দিরের ইট কাঠ পাথরের ভার শিশিরের উপর-সেই গড়িয় তোলে। সেই-গড় মন্দিরে আলপন দিবার কাজটুকু অমিতার । এখন কাগজ করিবার রস পাওয়া যাইতেছে । সরস্বতীর কমলবনের পঙ্ক ঘাট। ত দূরের কথা, এপন তাহ চোখেও পড়ে না। পদ্মের মতন দোল খাওয়৷ চলিতেছে। কলেজ ছাড়িয়। আসিয়৷ অমিতার মন নিরাশায় ভরিয়। গিয়াছিল—ভবিষ্যতের স্বপ্ন-জগৎ যেন স্বপ্নেই মিলাইয়া যায়। গৃহস্থালীর অতি ক্ষুদ্র সীমাবদ্ধ গণ্ডীর মাঝে বৃহৎ কিছুর ছায়াও দেখা যায় না। কিন্তু এবার যেন পথ পাওয়া যাইতেছে। তাহার মন্দির ক্ষুদ্র বটে, কিন্তু তার চুড়া যে অসীমের দিকে ইঙ্গিত করিতেছে । 来源 球 寮 軟 মন্দির দিব্য চলিতেছে, উপন্যাসও একে একে কতকগুলি বাহির হইথ। গেল । কিন্তু তবু সাহিত্যে, কাব্যে-কৰ্ম্মে অপূৰ্ব্ব কিছুর আভাস মিলে না। নিভৃত গৃহকোণে নিতান্ত স্কুল আবহাওয়ার মাঝে অবসর মতন একটু লিখিবার সঙ্গেই সব যেন শেষ হইয়া যায়। শয্যায় গড়াইয়া অলসভাবে পুস্তকের পাতা উন্টাইয়৷ উটাইয়া জ্ঞান সঞ্চয়ে সাহিত্যের রস জমাট বাধিয়া উঠে না ।