পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ছিল না, সে-জগংটির প্রতি লোভও বিস্তর, কিন্তু সেদিকে পা বাড়াইবার সুযোগ এ পর্যন্ত হয় নাই । যাইবার আগ্রহই যেন বাধা হইয়া প। জড়াইতেছে! শিশির যাইবে কি না তাহাও বুঝা যাইতেছে না। অমিতা উদাসীনভাবে কহিল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব-কথা আমরা অব্যাপারী কি বুঝব? কি বলেন শিশির বাৰু ? স্বশাস্তই জবাব দিল, অব্যাপারাই ত আমি চাই, আপনারাই ত আমার আসল শ্রোত| শিশির-বাবু, আপনি কি সময় ক’রে— শিশির ব্যস্ত হইয়া কহিল, বাব বৈকি, নিশ্চয়ই যাবো । আমি মেয়েদের মতন ভীরু নই। উনি ‘ব্যোম’ শুনেই আকাশ থেকে পড়লেন । আমি হর হর ব্যোম ব্যোম ব’লে, যাত্র করব । নিতান্ত কিছু বলিবার জন্যই অমিতা বলিল, যুদ্ধ যাত্র নাকি ? দেখবেন— শিশির বলিল, দেখতে কিছু হবে না । ব্যোম বিজ্ঞানে সাই হোক, মোটের উপর শূন্য । সুতরাং এ নিরুদেশ 哥f互t 1 অমিতার কথাটা ভাল লাগিল না । শিশির-বাবু মাঝে মাঝে এমন এক-একটা কথ। ব’লে বসেন ;– ও র যদি কোনে। কলেও ভেবে চিন্তে কথা বলার অভ্যেস হয় । তাড়াতাড়ি সে মুশাস্তকে বলিল, যোদ্ধাব্যক্তির সঙ্গে ত ভীরু মেয়েদের যাওয়া চলবে না। আপনার কি— সুশাস্ত বলিল, এই পথেই ত যেতে হবে । তুলে নিয়ে যাবো । স্বশাস্ত অমিতাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইয়া সভামঞ্চের উপর বিশেষ আসনে বসাইয় দিল । সভারম্ভের পূর্বে সেইখানে কয়েকজন গণ্যমান্য ভদ্রলোক ও মহিলার সহিত তাহার পরিচয় করাইয় দিল। র্তাহীদের অনেকেরই নাম অমিতা শোনে নাই । কিন্তু দেখিল তাহারা সকলেই তাহাকে পরোক্ষভাবে চেনেন যে ! ● সভাঘর বিদ্যুতের আলোয় ঝকৃমক্‌ করিতেছে । সম্মুখে তরুণ ছাত্রদের সার দেওয়াল পর্য্যস্ত পৌঁছিয়াছে। তাহাদের কেহ বা চলা-ফেরায় খেলোয়াড়ের মতন ক্ষিপ্রতায় وليستسد نائية আমি সাধনার বিড়ম্বন৷ ২৯৫ কেহ কেহ বা কবির মতন বেশভূষায় নিজেকে নিজের দশগুণ ফুলাইয়। তুলিয়াছে। দূরে একটা চেয়ারে শিশির বসিয়া । অমিতা স্থশাস্তকে বলিল, শিশির-বাৰু আমাদের আগেই এসেছেন দেখছি । সুশান্ত বলিল এইখানে ডেকে নিয়ে আসি । অমিতা বলিল, থাক, মিছে আবার একটা গণ্ডগোল । একটা ছোট টেবিলের সম্মুখে দাড়াইয়া, কখন বা তাহার উপর ঝু কিয় মুশাস্ত প্রবন্ধ পাঠ করিল । শেষ হইলে করতালিতে করতালিতে ‘হল যেন ভাঙ্গিয়া পড়ে। একে ত সে সভাসমিতিতে অনভ্যস্ত তাহার উপর প্রবন্ধ সরল হইলেও মাঝে মাঝে সুক্ষ বৈজ্ঞানিকতৰে কণ্টকাকীর্ণ, অমিতা সকল শুনিতেও পায় নাই, বুঝিতেও পারে নাই। তবু উত্তেজনায় সে চঞ্চল হইয়। উঠিল । ফিরিবার পূৰ্ব্বে স্থশাস্তর প্রবন্ধের উচ্ছসিত প্রশংসা করিতে করিতে শেষ পয্যন্ত সেট। ‘মন্দিরের’ জন্য চাহিয়া ফেলিল । - সুশাস্ত বলিল আপনার ভাল লেগেছে, সেই আমার যথেষ্ট । আপনার কাগজের সমস্ত পাঠকের যদি না লাগে তাতে দুঃখ করব না। দিতে আমার আপত্তি কি ! কিন্তু এ কি মাসিক পত্রে চলবে ? - অমিতা জোর দিয়া বলিল, নিশ্চয়ই চলবে। শিশির-বাৰু, চলবে না ? শিশির বলিল, ই, একটু ছেটে-কেটে — কেমন অমিতা অসহিষ্ণুভাবে বলিল, ছেটে-কেটে কেন ? ' বাংলা দেশের সমস্ত পাঠক বুঝি কেবল কবিতার জন্যই মাসিক কাগজ পড়ে ? এ নিশ্চয়ই চলবে । চালাতেই হবে । -- ‘মন্দিরে’ই তাহ প্রকাশিত হইল। স্বশাস্তের অমুরোধে অমিতা যতটা পারে ভাবটা সংশোধন করিয়া জড়বিজ্ঞানের শুষ্কতায় কাব্যের রস ঢালিয়া প্রবন্ধট সরস করিয়া দিল । 毒 聽 泰 বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধের উপর কলম চাহাইয়া অমিতার মনে কেমন ছোয়াচ লাগিয়া গেল । - লেখা ভাল লাগে না। কাল্পনিক নরনারীর অলীক স্থখ উপন্যাস ।