পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وك\ و NQ Printrঐ সৰ্ব্বশুদ্ধ দুইশতের অধিক শব্দ নাই। আমার মনে হয়, দুই হাজার সহজ সহজ standard শব্দ সংকলন করিতে পারিলে - সৰ্ব্ব নিম্ন শ্রেণী হইতে অগ্রস্ত করিয়| ক্রমশঃ উল্পতভাবের তিন-চারিখানি পুস্তক রচিত হইতে পরিবে। শ্ৰীঅখিলচন্দ্র ভারতীভূষণ (প্রতিভা, কাৰ্ত্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ ১৩৩২) তিববত-নারী তিব্বত-নারী অশিক্ষিত ও অজ্ঞ, তাঁহা সত্য ; কিন্তু তাহার অন্যান্ত দেশের নারীর মত নহে। তাহদের স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্ত ক্ষুৰ্ত্তি না পাইয়া অবহেলায় নষ্ট হইতেছে। বৈদেশিক বাণিজ্য ও রাজসেবা বাতীত অীর সকল কাৰ্য্যেই তিব্বতের নারী পুরুষের সঙ্গে সমভাবে নিযুক্ত আছে। সমস্ত বাণিজ্যকেন্দ্রে, বিশেষতঃ লাশা নগরীতে অনেক রমণীর দোকান আছে । কখন কখন অনেক বিশিষ্ট ব্যবসায়ও তাহদের দ্বারা• পরিচালিত হইয় থাকে। কৃষিকৰ্ম্মে তিব্বতনারী পুরুষদের মতই কৰ্ম্মক্ষম এবং শ্রমসহিষ্ণু। তাহার যে কেবল কাজ-কৰ্ম্মেই পটু, তাহা নহে ; দেশময় যখন উৎসবের সাড়া পড়িয়া যায়, তখন তাহারাও পুরুষদের মতই আনন্দে মত্ত হইয় উঠে । তিববত-নারীর বিশেষত্ব তাহীদের সাহস এবং বলবীর্য । তিব্বতের সৰ্ব্বত্রই সুন্দরী নারী দেখা যায়। তাহদের গোলাপী রং অনেক পাশ্চাত্য রমণীর ঈর্ষ্যীর কারণ হইতে পারে। যাহাঁদের বর্ণ ঈষৎ মলিন, তাহীদেরও দীর্ঘায়ত এবং ঋজু দেহ দেবীর মত। সম্রাস্ত বংশীয় ও উচ্চশ্রেণীর ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরিবারের লোকেরাই বিবাহ ঠিক করে। বর বা বরের অভিভাবক কন্যাপণ প্রদান করেন। এই প্রথা অবগু-প্রতিপাল্য ; ইহার অন্যথা হইবার উপায় নাই । কত টাকা পণস্বরূপ দিতে হইবে, তাহা কছাপিক্ষের বংশমৰ্য্যাদা, ধনগৌরব ও সামাজিক প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং কস্তার রূপগুণ দেখিয়া অবধারিত হইয় থাকে । পিতা-মাত কন্যাপণ গ্রহণ করিয়৷ থাকেন, কিন্তু কস্তাকে গরু, ঘোড়া, অলঙ্কার, এইরূপ অনেক যৌতুক ር፶ጓ ! তিব্বতে প্রায় দেখা যায় যে, ১৩।১৪ বৎসর বয়সের বালিকা টীকা ধার দিতেছে, উট ভাড়া দিতেছে। এইরূপে তাহারা তাহীদের নিজেদের সম্পত্তি বৰ্দ্ধিত করিয়া তোলে এবং বিবাহন্তে সঞ্চিত অৰ্থরাশি স্বামিগুহে লইয়া যায়। কিন্তু স্বামী এই সম্পত্তির অধিকারী হন না। তবে স্ত্রী নিঃসন্তান হইলে অথবা চরমপত্র (উইল) সম্পাদন করিয়া দিলে অধিকার করিতে পারেন । বিবাহের একটা চুক্তিপত্র লেখাপড় করা হয়। সাক্ষীর সমক্ষে বিবাহ সম্পাদন দ্বারা ইহার মুল্য বাড়াইয় লওয়া হয় ; তারপর বিবাহন্তে লামাগণ ধৰ্ম্মের নামে আশীৰ্ব্বাদ করেন ; কিন্তু এইসকল সত্ত্বেও বিবাহবন্ধন যে ছিন্ন করা যায় না, এমত নহে। বস্তুতঃ তিব্বতে সকল সময়েই বিবাহ-বন্ধন ছিন্ন করা যায়। সে-দেশে কদাচিৎ কুড়ি যৎসরের পুর্বে কস্তার বিবাহ হইয় থাকে । তিব্বতের নারী স্বামীর বিশ্বস্ত বন্ধু ও সহায় । সে-দেশের অনেক ব্যবসায়ী, ভূম্যধিকারী ও রাজকর্মচারী স্ত্রীর সহায়তায় আপনাদের সৌভাগ্যের অধিকারী হইয়াছেন । কিন্তু তিব্বত সৰ্ব্বোপরি এক কুহেলিকার দেশ। বিবাহ কি স্ত্রী, কি পুরুষ কাহারও আদর্শ নয় ; ইহাদের আদর্শ-ধৰ্ম্ম । অনেক ধৰ্ম্ম প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড নারীর গাথা তিব্বতে প্রচলিত। এদেশে অনেক সাবিত্রী আছেন। তিব্বতে লামধৰ্ম্ম অধঃপতিত হইয়াছে ; কিন্তু সংসারের অনিত্যত সম্বন্ধে তিব্বত-নারীর যে-ভ্যান আছে, তাহতেই এইসকল কাহিনী তাহদের মনে ভাবেীন্মাদনার সৃষ্টি করে । তিব্বতের এক ধৰ্ম্মলারী মংশ । মংশ গৃহ পরিত্যাগ করিয়া চিরতুষারমণ্ডিত পূৰ্ব্বতের অধিবাসী গুরুর পদে আপনাকে সমর্পণ করিয়াছিলেন । এই দেশে কত নির্জনে গুহায় কত সাধী নারী ধৰ্ম্মজীবন যাপন করিতেছেন । ইহাই তিব্বতের গৌরব। ( বঙ্গলক্ষ্মী, ফাল্গুন ১৩৩২ ) শ্ৰীমনোরঞ্জন গুপ্ত তুলসী তুলসী আমাদের মহোপকারী বৃক্ষ। পল্লীভূমির নিরক্ষর মায়ের কোলের দুলালের মুখে তুলসীতলার মাটী দিয়া থাকেন। কিন্তু আধুনিকরুচিসম্পন্ন ব্যক্তিগণের পক্ষে আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, তুলসীতলার মাটী-খেকো পাড়াগায়ের ছেলেগুলোর ইনফtণ্টাইল লিভার একবারেই হয় না। আয়ুৰ্ব্বেদমতে তুলসীর গুণ —ইহা কটু-তিক্তরস, উষ্ণবীৰ্য্য, স্বরভি, রুচিকর, অগ্নিবৰ্দ্ধক, দাহ ও পিত্তনাশক, বাতশ্লেষ্মানাশক এবং কাস, ক্রিমি, বমি, কুষ্ঠ, রক্তস্রাব, জীর্ণজ্বর, পাশ্ব বেদন ও ভূতাবেশের শান্তিকারক । এলোপ্যাথিক মতে তুলসীর গুণ –তুলসী কফনিঃসরিক ও ম্যালেরিয়া প্রভৃতি বিবিধ সংক্রামক পীড়া-নাশক। সদ্বিঘটিত বিবিধ পীড়ায়, কাপ, পাশ্ব বেদনা, ব্ৰঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, এজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্রভৃতি পীড়ায় উপকারী ; সবিরাম ও স্বল্পবিরাম জ্বরের ইহা মহেীবধ, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস হইলে মুত্র করণার্থ ও স্নিগ্ধ করণার্থ ইহার বীজ প্রয়োজিত হয় । আমি নিম্নোক্ত তিন প্রকার প্রয়োগরূপ প্রস্তুত করিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জ রোগীগণকে প্রয়োগ করিয়াছিলাম — ১ । তুলসীয় অরিষ্ট (টংচার ওসাইনাম স্তাঙ্কটেটাম বা টাংচার হোলি বেসিল ) তুলসীর পত্র ও বীজ চুৰ্ণ ২॥• আউন্স, শোধিত স্বর ১ পইণ্ট—এক সপ্তাহ কাল ইহা ভিজাইয়। ছকিয় লইবে । মাত্রা le—১ ড্রাম ৷ ২ । তুলসীর ফান্ট, ( ইনফিউজন ওসাইনাম স্তাঙ্কটেটম্ বা ইনফিউজন হোলি বেসিল) শুদ্ধ তুলসীর পত্র ১ আউগ, ফটিত পরিশ্রত জল ১ পইণ্ট, অৰ্দ্ধঘণ্ট ভিজাইয়া ছাকিয়া লইবে । মাত্রা ॥৯-১ আউন্স । ৩। সিরাপ ওসাইনাম স্তান্ধটােটামু (তুলসীর পাক ) তুলসী পাতার রস ১২ আউন্স, বিশুদ্ধীকৃত শর্কর ২ পাউণ্ড, পরিশ্রত জল ৮ আউন্স বা যথা প্রয়োজন। তুলসীর রস ও পরিশ্রুভ জল একত্রে মিশাইয়৷ অৰ্দ্ধ ঘণ্টা কাল সামান্ত উত্তাপে ফুটাইবে । পরে তাহাতে চিনি সংযোগ করিয়া ক্রমশঃ সিরাপের আকারে পরিবর্তিত করিবে। সৰ্ব্ব সমেত ৩ পাউণ্ড ওজন হইবে । মাত্রা-১---২ ড্রাম — ছেলেদের সদি কাসিতে অধিকাংশ সময়ে আমি তুলসীয় সিরাপ বা নিম্নোক্ত চাটনী প্রয়োগ করিয়া বিশেষ সুফল পাইয়াছি। তুলসী পত্রের য়স—৪ ড্রাম বিশুদ্ধ মধু—১ আউন্স আদার রস—২ ড্রাম যমানী চূর্ণ—২ ড্রাম