পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] প্রবাল מצפי AAMSAMMMAMAMM SAAAAA SAAAAA SAAAAAMAMMAMMAMMMMMMAMA ABMMMMMMMMMA SAMMAASAJMMMAABJAAAA এই সব বোঝার ভারে বছর পয়তাল্লিশ বয়সেই কাশীনাথ স্বাস্থ্যভঙ্গ হ’য়ে কাস রোগীতে পরিণত হয়েছেন। মনে করেছিলেন কষ্টে স্বষ্টে আরও দু পাচ বছর ছেলেটিকে পড়িয়ে একটা মানুষ ক’রে তুলবেন ; কিন্তু সে পৰ্য্যন্ত আর স্বাস্থ্য টিক্ল না। অগত্যা তাকে চাকরীর মায়া কাটাতে হয়েছে। প্রবাল বাপের সেই মাষ্ট্রীটুকু দখল করেছে, প্রবালের পিসিমা যতদিন তার মা বেঁচেছিলেন তত দিন ভানুর দেওরদের ভিটে আগলাবার জন্যে যেতে রাজী হননি। সে একেবারে অজ পাড়াগ, দিনের বেলা শেয়াল ডাকে ; সুতরাং সেস্থানে মা কোন প্রাণে মেয়েকে যেতে দেন ? মার মৃত্যুর পর মেয়ে কিন্তু নিজেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সেই খানেই যাত্র বরেছেন ; যেহেতু প্রবাল পরামর্শ দিয়েছিল যে ছেলের জন্মে যদি বাপ জেঠার ভিটেতে না গিয়ে দাড়ায় তা হ’লে ভবিষ্যতে সেখানে এদের চিন্‌বেই বা কে ? তা ছাড়া সেখানকার জমা জমী পুকুর বাগান যা আছে তার কিছুরই এরপর তারা অংশ পেতে পারবে না। কাশীনাথ আগে-আগে দু’চার বার যে মা বোনের সামনে এ রকম কথার উল্লেখ করেননি, তা নয়। কিন্তু মা বোন এর উন্টে অর্থ ক’রে কপাল চাপড়ে বলতেন, “এক মুঠো পেটের ভাত, তাও কেউ দিতে চায়নারে – এমনিই কলিকাল । সাধে কি শোলকে বলে—“বাপ রাজা তে রাজার ঝি, ভাই রাজাতো আমার কি ?” অগত্য কাশীনাথ রাজা না হ’লেও নিজের সাধ্যমত বোন-ভাগ্নেদের ভার এ-যাবৎ বহন করেই এসেছিলেন । তবে ইদানীং ভাইপোর পরামর্শটা পিসীর কানে নেহাৎ খারাপ লাগেনি। তাই তিনি সে পরামর্শের উন্টে অর্থ না করে পোটুলা পুটুলী বেঁধে শ্বশুরের ভিটামাটার উদ্দেশেই যাত্রা করেছিলেন। খবর পাওয়া গেছে, সে স্থান অজ-পাড়াগ হ’লেও সেখানে দুধ ঘি পুকুরের মাছ জমীর চাল গুড় তরিতরকারী বেশ স্বপ্রচুর। ছেলেরা হুগলী সহরের বিরহে , উন্মনা হ’লেও তেমন খাদ্য-পেয়র স্বপ্রাচুর্য্যে সহরের বিরহট বেশ স’য়ে নিতে পেরেছে। যশোদা রোদে কাস্কন্দী, আম্সী ইত্যাদি নেড়েচেড়ে শুকোচ্ছিলেন । এমন সময় দেবীর মা একখানা من صمص a 8 ভিজা গামছা মাথায় দিয়ে এদের বাড়ীতে এসে ঢুকেই বলে উঠলেন—“কি রদুর মা কি রদুর। কাঠ মাটা চুলোয় যাক পাথর ফেটে চোঁচার ক’রে দিচ্ছে। সেদিন আমন ঝড় জল হ’য়ে গেছে, তবু মাটী ফেটে ই ক’রে আছে, সব জল কোথা দিয়ে শুষে নিয়েছে।” যশোদা বললেন, “এসে ঠাকুরঝি ঘরের ভিতরে বসবে চল । ষে রোদের তাত, বারান্দায় বসবার জোকি !” দেবীর মা বললেন, “ত তুইও আয় বউ, তোর সঙ্গেই একটা কথা কইতে এসেছি।” sr যশোদা বললেন—“এই আমি আসছি ঠাকুরবি ; নেড়ে-চেড়ে আমদীগুলো শুকিয়ে নিই। বাগানের সব আম প’ড়ে গেছে ; এবছর গাছপাকা আম আর খেতে হবে না, কুড়িয়ে বাড়িয়ে এখন যা পাওয়া যায়, সোমবছরের টকের জোগাড়টাও তো হয়ে থাকৃবে।” দেবীর মা বললেন;–“তা খুব হবে, পাড়া প্রতিবেশীকে বিলুতেও পারবি। তোকে আর নাড়াচাড়া ক’রে শুকুতে হবে না, যে রোদ মানুষকে কেটে চারখানা ক’রে ফেলে রাখলে, এখুনি শুক্লো খটখটে হয়ে যাবে তা তোর আমসী |" সুমতি এমন মজার কথাটা শুনে খিল-খিল ক’রে হেলে বলে উঠল, “হ্যা পিসী, মাহুষ-আমুসী তা হ’লে খাবে কে?” পিসী বললেন—“যদি আমদীই ত’য়ের হয় তা হ’লে খাবারও লোক জুটে যাবে।” অতঃপর ননদ ভাজে ছায়া-শীতল বারান্দায় এসে ব’সে আঁচল নেড়ে বাতাস থেতে লাগলেন । স্বমতি কিন্তু সেই রোদে দাড়িয়েই ভাবতে স্বরু করল যে সত্যই যদি মানুষ আমূগী হয় তা খাবার জন্য মাহ্য জুটবে কারা ? ছিঃ ছিঃ মাহুষকে শুকিয়ে খাবে ? কি ঘেন্না কি ঘেন্ন। দেবীর-মা হাওয়া খেয়ে একটু ঠাণ্ডা হয়ে যশোদাকে বললেন “দিন-দিন তোর কি ছিরি হচ্ছে বউ দেহ যে কালী হ’য়ে গেল।” যশোদা নিশ্বাস ফেলে বললেন—“দেহের আর বিশেষ অপরাধ কি, ঠাকুরবি, উদয়াস্ত খাটুনি খাট্‌ছি, তার ওপর নানা ভাবনা । কৰ্ত্ত এই বয়সে এমন রোগে একেবারে অথর্ব হ’য়ে পড়লেন, চারিদিকে ঋণকর্জ—*