পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

موالا0عه হর জ! কে গুলী ও লালাহ জারী বুদ্বসূৎ আজ স্বরূপী খুন-ই শহরইয়ার বুদস্ৎ ; হর শাখ-ই বনক শ কজ জমীন মী-রবীদ, খালীসৃৎ কে বর রুথ-ই মিগারী বুদস্ত । যেখাণে যেখানে গোলাপ অথবা লাল ফুল ফুটে হাসে, নগর-বন্ধু রাজার রক্ত ফুল-রূপ ধরে আসে ; জমীর বুকেতে শাখায় শাখায় ফুটে গে৷ অপরাজিত, তিলরপে তারে রেখেছিলো গালে রূপসী অপরিচিত । হর সব জাহ কে দর কিনার-ই জুয়ী রুস্তস্ৎ, গুরী রে লব-ই ফিরিশ তাহ খুয়ী রসূত মৃৎ ; ই। বর সর-ই সব জাই পা বখবারী ননহী কী সব জাহ জে থাকুই লালাহ-রয়ী রসূতস্ৎ । স্রোতস্বতীয় কিনারে কিনারে যা কিছু সবুজ দেখিবে তুমি, জেনে রেখে তাহী হয় তো এসেছে পীতুল্যার অধর চুমি ; খবরদার রে, অবহেল-ভরে ফেলে। না ফেলে না সবুজে প], রূপাস্তরিত হয়েছে সবুজে ডালিম-ফুলী সে যাহার গা । ই কুজাই চু মন আশিক জারী বুদ্বসূS, ও আন্দর তলব ক্লয়ী নিগারী বুদ্বসূ২ ; ই দস্ত কে দর গর্দন ই উ মী-বিনী, দস্তীসৎ কে দর গর্দ৭ই ইয়ারী বুদ্বসূৎ । এই যে র্ক জাটি, আমারি মতন আছিল বিরহী প্রেমিক বুঝি, দর্শনীয়ার ছবি হেন মুখ দেখিতে পিয়াসী বেড়াতে খুজি : এই যে হাতল ইহার গলায় লগ্ন রয়েছে দেখিছে। তায়, একদা ছিল এ হস্ত কোমল প্রিয়ার কণ্ঠে লগ্ন হার ! ওমর খায়াম সম্বন্ধে একটি কিম্বদন্তী আছে যে নিশাপুররূপসী শিরিন তার প্রণয়িনী ছিলেন ; তিনি রাত্রির গোপনতার বোরকা ঢাকা দিয়ে প্রিয়ের সঙ্গে মিলিত হবার আকাঙ্ক্ষায় অভিসারে চলেছিলেন ; পথে স্বলতানের চরেরা তাকে হরণ করে নিয়ে গিয়ে রাজ-অন্তঃপুরে বন্দী করে। বিরহবিধুর ওমর একদিন একটি ছিন্ন গোলাপফুলের মধ্যে আপনার প্রেয়সীকে দেখতে পেয়ে সাত্বনা পেয়েছিলেন। পারস্ত সাহিত্যে যুম্বফ-জুলেখা শিরি-ফবৃহাদ ও লয়লা প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড মজ হ প্রভৃতির প্রেমাগ্রতা নিয়ে বহু কাব্য রচিত হয়েছে ; ফিরদৌসী নিজামী জামী এই প্রেম-আখ্যায়িকা লিখে যশস্বী হয়েছেন। ঐ প্রেমিক প্রেমিকার প্রিয়বিরহে তন্ময় হয়ে সৰ্ব্বত্র প্রিয়ের মূৰ্ত্তির স্ফত্তি দেখেছেন। বিশেষ করে জামী তার কাব্যে এই ভাবটিকে চমৎকার রকমে ফুটিয়ে তুলেছেন। সুন্দরী জুলেখা সৰ্ব্বসৌন্দৰ্য্যস্বরূপ য়ুস্বফকে স্বপ্নে দেখে তার প্রতি অনুরক্ত হলো । এই য়ুসুফ যে কে ও কোথায় থাকে তা জানতে না পেরে জুলেখা প্রণয়াবেগে উন্মত্তবৎ হয়ে পড়লো। তৃতীয় স্বপ্নে তাকে যুস্তফ দেখা দিয়ে বললে যে মিশর দেশের উজীরকে বরণ করলে আমাকে পাবে। জুলেখা উজীরকে বিবাহ করবার জন্য ব্যস্ত হয়ে সকল দেশের রাজ ও রাজপুত্রদের পাণিপ্রার্থনা প্রত্যাখ্যান কবুলে ; এবং ধাত্রীর দ্বারা পিতাকে নিজের মনোবাঞ্ছ। জ্ঞাপন করালে। জুলেখার পিতা মিশর দেশের উজীরের কাছে ঘটক পাঠালেন। উজীর রাজকন্যা জুলেখাকে বিবাহ করতে সম্মত হলেন, কিন্তু নিজে প্রভুকাৰ্য্যে ব্যস্ত থাকায় বিবাহ করতে যেতে পারলেন না, জুলেখাকেই মিশরে আনতে অনুরোধ করলেন। জুলেখার সঙ্গে উজীরের বিবাহ হয়ে গেলো। শুভদৃষ্টির সময় জুলেখা দেখে শিউরে উঠলো—এ উজীর তো তার স্বপ্নদৃষ্ট সৌন্দৰ্য্য-মূৰ্ত্তি নয়! জুলেখা মনকে বোঝালে যে, আদশকে তো কখনো পাওয়া যায় না, আদশের প্রতিভাস নিয়েই জীবন যাপন করতে হয়। (এই রকম চিন্তা করে থিওফিল গ্যতিয়ে বিরচিত মাদমোয়াজেল দ্য মোপ্য: উপন্যাসের নায়ক সাস্তুনা পাবার চেষ্ট৷ করেছিলো।) জুলেখা চেয়েছিলো যুমুফকে, কিন্তু পেলে উজীরকে । জুলেখা ঐশ্বৰ্য্যের মধ্যে স্বন্দরকে পেতে আকাঙ্ক্ষা করেছিলো ; কিন্তু স্বন্দর যুমুফ আবাল্য ক্রীতদাস । সে শৈশবে মাতৃহীন হয়েছিলো ; তার পিতা য়ুমফের মাসীর কাছে পুত্রকে প্রতিপালনের জন্য রেখে দেন। যুম্ফ বড়ো হলে তার পিতা পুত্রকে ফিরে চান। তখন যুক্সফের মাসী য়ুস্থফের অজ্ঞাতে তার কোমরে একটি রত্নহার পরিয়ে দিয়ে যুস্বফকে চোর বলে’ অভিযুক্ত করেন এবং