পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ gệ giz<rą stoff qgf{Hz-ig absolute abstract সৌন্দর্য্যের একটি চমৎকার বন্দন আছে। সেই কেবল শ্রীকে স্তুতি করে’ বলেছেন— কবি জামী সৃষ্টির অস্তিত্ব যবে ছিলো নাস্তিত্ব-মগন চিহ্নহীন, অব্যক্তের কুঞ্জগৃহে ধরা আয়গর অফুট বিলীন, এক মাত্র ছিলে সত্তা তবে— দ্বিত্বের সম্পর্ক হতে দূরে : আমি ও তুমির কোনে ভেদ ছিলে নাকে বচনেরে জুড়ে ; কেবল-সৌন্দর্য্য তবে নাহি ছিলো বন্দী বস্তু-কারাগারে, স্বকীয় প্রভtয় ছিলে৷ সেই প্রভাস্বর করি আপনারে ॥ এক সেই মনোরম প্রিয় অদৃশ্যের যবনিকা-অাড়ে, পবিত্র সারাৎসার তারে পারে নাই খুৎ স্পর্শিবারে। আয়নার মাঝে কভু তার মুখচ্ছবি বন্দী নাহি হয় । চিরুণীর হস্ত সহ তার কুস্তলের নাহি পরিচয় ॥ প্রভাত-দমীর কভু তার চুর্ণলক করেনি হরণকজ্জলের কালিমারে কভু তার চোথ করেনি বরণ । পুষ্পে মঞ্জরী সম কেশ পুষ্পদ্যান মুখেব পড়ণী হয় নাই । হরিতেরে তবে বিধে নাই পুষ্পের বড়শী ॥ গাল দুটি অকলঞ্চ সাদ। তিলচিহ-বর্জিত লিখুৎ, কারে দৃষ্টি লাগি অমল রূপ তার হয় নাই ছুৎ ॥ গাহিত সে প্রাণহরা গান আপনার স্তুতি বিরচিয় । একাকিনী নিজের সহিত খেলে জুয়া প্রেম-পাশ নিয়া । অপরূপ স্বপ্রকাশ সেই স্বন্দরের প্রকৃতি এমন— চাহে না থাকিতে কতু সে তো যবনিক-আড়ালে গোপন,— স্বন্দর সহিতে নাহি পারে অবরোধ ক্লেশ এতটুকু— কপাট খাকিলে রুদ্ধ কভু, জানালায় দেখায় সে মুখ । [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড পৰ্ব্বত-নিবাসী ফুলকলি শিলাতলে রহিলে গোপন, আনন্দিত বসন্তের সাড়া প্রাণপুরে পায় সে যেমন, অমনি বিকশি উঠে হাসি’ পাপড়ি বিদীর্ণ করি দিয়— জগতেরে সৌন্দর্য্য বিলায় মুক্ত করি অবরুদ্ধ হিয়া । তোমার মলের মাঝে যবে হেন ভাব হয় সমুদিত— সদ্ভবের মালার নরীতে সুদুলভ রত্ব সে গ্রথিত, তারে তুমি চিন্তারাজ্য হতে পরিবে না নিৰ্ব্বাসন দিতে,— বাক্যে বা লেথায় হবে তীরে কোণে রূপে প্রকাশ করিতে ; তেমনি সৌন্দর্য্য যেথা থাকে সেথ। তার তাগাদা অপার— অনাদি সৌন্দর্য্যথনি হতে এ ব্যগ্রত হয়েছে প্রচার । কালের শিবির হতে সে যে পবিত্র মূৰ্ত্তিতে দেয় বার, চারিদিকে সৰ্ব্ব জীবে জড়ে প্রস্ফুরিত হয় জ্যোতি তার । মৃষ্টি আর অপ্সরাব পরে তার এক জ্যোতিশিখা স্কুরে : অপসারীর আকাশের মতে। মত্ত হলে, মাথা গেলে ঘুরে । আয়নার আদর্শ করিয়া প্রকাশে দে শ্ৰীমুখ আপন ; স্থান কাল ব্যাকুল হইয় মাগে তার সহ আলাপন । বন্দনায় ব্ৰতী হলো যতো অপ্সরী কিল্লরী দেবনারী, আত্মহারা হয়ে তারা হলো পুত স্ত্রীর সন্ধান-ভিখারী। বিরাট সাগর সমতুল আকাশের ডুবারা অঙ্গর গাহিয়। উঠিলো—জয় জয় জয় জয় বিশ্বমনোহর । জগতের অণু-পরমাণু করিলো সে আয়ন। আপন, প্রতিটির উপরে নিজের প্রেতিচ্ছায়া করিলে ক্ষেপণ ৷ সেই রূপ-শিখা হতে ছুটি রশ্মি এক ফুলে শোভা দিলে : ফুল হতে একটি কিরণ বুল-বুল-হৃদয় বিধিলে৷ ৷