পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদী ও তীর \రిరి অভূত ব্যাঙ ক্ৰমে ক্রমে লাল হইতে থাকে। তীরের দিকে আসিতে আসিতে ইহার দলে দলে নদীর মধ্যে প্রবেশ করে। আল ও কপাটকল পার হইয়। ইহাদের কেহ কেহ পুকুরেও হাজির হয় । এইরূপে ভ্রমণ করিতে করিতে দেহের আকার ঠিক বান মাছের যাহা স্বাভাবিক আকার তাহ হইলেই ইহাদের ডিম পাড়িবার সময় হয়। তখন ইহার আবার সমুদ্রের দিকে ফিরিতে থাকে, এবং সমুদ্রে আসিয়ু ডিম পাড়িয়া মরিয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকায় এক রকম ব্যাঙ আছে, তাহারাও বড় হইতে ছোট হয়। ছোট বেলায় ইহারা প্রায় দশ ইঞ্চি লম্বা থাকে। যতই বয়স বাড়ে ততই ইহাদের ল্যাজ সঙ্কুচিত হইতে থাকে। ল্যাজ খসিয়া যখন ইহারা ঠিক স্বাভাবিক বৰ্দ্ধিত অবস্থা লাভ করে তখন ইহার লম্বায় আড়াই ইঞ্চি । দুয়োরাণী এক ধে ছিলেন রাগ তাঙ্গর বিরাট রাজ্যপার্ট, হাতীশালায় বহুত হাতী, ঘোড়ার যেন হাট ; রং বেরংয়ের পোষাক-পরা সাস্ত্রী পাহারওলা, জমজমে তার প্রাসাদ ওঠে আকাশে বিশ তল । আজুরে তার সুয়োরণীর সাত মঙ্গল বাড়া, পান্ধী করে বাগানে যান, রাস্তাতে চাই গাড়ী, গোলাপ-জলে সাতার কাটেন, সোনার পটে,ঘুম, হাই তুললে ঝি যায় ছুটে, নিত্য গানের ধুম । রাজার যিনি দুয়োরাণী “দূর হও” তায় বলে’ তাড়িয়ে দিলেন রাজা তারে ; গিয়ে গাছের তলে কাদেন তিনি আপন মনে, কেউ দেখে ন তারে, কেউ বলে না—“পা ও গে। জুটি,"কেউ ডাকে ন দ্বারে । সেচ প্রাসাদে তার ও ছিল সাতমহল ঘর ছিল শতেক দাস ও দাসী, আজকে সবই পর! ভাবেন রাণী বসে’ বসে দুঃপেতে মুখ কালো— “রাণীর চেয়ে ভিখারিণী হতাম যদি, ভালো।” গুপ্ত নদী ও তীর শ্ৰীপ্ৰবোধ চন্দ্র সেন তটিনী আছাড়ি’ তীরে বলিছে অধীর “তোমার বাধনে আমি বাধা পাই তীর ” তীর বলে, “আমি আছি, তাই তুমি নদী ; কোথা যেতে, দুই দিকে নাহি বাধি যদি ?”