পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাতনায় চণ্ডীদাস /২৭ তাদি বাদলীস্থানের সদর দরজা [ শ্ৰীযুক্ত সাগরচন্দ্র দে মহাশয়ের গৃহীত আলোকচিত্র হইতে পরিয়া লইলে, কিংব। তাহা ভুলিয়। তন্ত্রসারের দ্বিভূজা বিশালাক্ষাকে নান্নরে স্থাপিত করিলেও ইহা নিশ্চিত যে, S is இை ঐ “বাশুলী’ শব্দ বিশালাক্ষীর অপভ্রংশ। বিশালাক্ষী সে নি কা৷-সপ্তচরী “বাসলী” নহেন, তাহ নিঃসংশয়েই জানা গিয়ছে । ছাতনায় যে “বাসলী” দেবীর পূজা হয়, তিনি গপরখড়গ-শোভিতা, দ্বিভূজা, নৃমুণ্ডমালিনী, অস্থরদলনী। তাহার ধ্যান-মন্ত্রটি এই – “ওঁ আয়াত স্বৰ্গলোকাদিহ ভুবনতলে কুণ্ডলে কর্ণপূরে সিন্ধুরাভাবসান প্রধিকটদশনা মুণ্ডমালা চ কণ্ঠে । ক্রীড়ার্থে হাস্তযুক্ত পদযুগকমলে নুপুরং বাদয়ন্তী কৃত্ব হস্তে চ খড়গং পিব পিব রধিরং বাসলী পাতু সা নঃ।” ছাতনার “বাসলী’র পূজক সংস্কৃতজ্ঞ নহেন ; তিনি মন্ত্রটির দুই এক স্থল বিকৃত করিয়া উচ্চারণ করিলেন ; কিন্তু সে-বিকৃতি এরূপ কিছু মারাত্মক নহে ; তাহাতে মন্ত্রটি রূপান্তরিত হয় নাই । “ঔ আয়াত স্বৰ্গলোকে দৃঢ় ভুবন তলে কুণ্ডলে কর্ণপুরে সিন্দূৰ্বাভাজিহ্বা বিকটিত-দশনা মুণ্ডমালাচ কণ্ঠে । ক্রীড়ীর্থে হাস্তযুক্ত পদযুগকমলে নুপুরং বাজয়ষ্ট কৃত্ব হন্তে চ খড়গ; পিব পিব রুধিরং বাসলী পাতু সানঃ ” ইহা যে সত্যই সংস্কৃত জ্ঞানাভাব-জনিত বিকৃতি তাহা সহজেই বোধগম্য। পূজ্যপাদ শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের কৃপায় জানিয়াছি এই ধ্যানমন্ত্র বৌদ্ধতন্ত্রের “বজেশ্বরী” বা “বাসলী" দেবীর । বজেশ্বরী হইতে “বাজ সরী”—“বাজ সলা”— “বাসলী” সহজেই হয়। ধ্যানমন্ত্রটি হইতে বেশ বুঝা যায় উল্লাহ রচিত হইবার পূৰ্ব্বেই বজেশ্বরী বাসলীতে পরিণত হইয়াছিলেন। বৌদ্ধতন্ত্র হইতে পাওয়া যায় এই “বাসলী” নিত্যার সহচরী। চণ্ডীদাস যেবাসলীর পূজা করিতেন তিনি যে নিত্যার সহচরী—নিত্যার আদেশপালিকা ছিলেন, চণ্ডীদাসের পদ হইতেই তাহ নিঃসংশয়ে জানা যায় ;– “নিত্যের আদেশে বাসলী চলিল সহজ জানাবার তরে ।” নিত্যেতে গমনই চণ্ডীদাসের সকল সাধনার লক্ষ্য । বাসলীর নিকট “রাই কাকু দুছ নওল চরিত” শুনিয়া, সহজ সাধনায় দীক্ষিত হইয়া, কিশোরীস্বরূপ রজকিনী-সঙ্গ লাভ করিয়াও নিত্যেতে গমনই তাহার লক্ষ্য : 锻 "এক নিবেদন তোমারে কব মরিয়া দোহেতে কিরূপ হব ॥ বাসলী কহিছে কহিব কি । মরিয়া হইবে রজক-ঝি ॥ পুরুষ ছাড়িয়া প্রকৃতি হবে। এক দেহ হয়ে নিত্যেতে যাবে ॥ চণ্ডীদাস প্রেমে মুচ্ছিত হৈলা । বাসলী চলিয়। মিত্যেতে গেল ॥” এই নিত্যার কোথাও প্রতিষ্ঠা ছিল কি না অনুসন্ধান করিয়৷ একটি পদ পাইলাম,— “শালতোড়া গ্রাম, অতি পীঠস্থান নিত্যের অভ্যালয় যথা । ডাকিনী বাসলী বসতি করয়ে তথা । চণ্ডীদাস কহে সে এক বাসলী প্রেম প্রচারের গুল্প । তাহারি চাপড়ে পরিতি হইল সুরু।” এই ছাতনা ও শালতোড়া, বাকুড়া জেলার দুই পরস্পর मिज्रा अझ5ो নিদ ভাঙ্গিল ,