পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ፃ\% প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমাকে দেখিতে চাহিত তাহার অনেক তৃপ্তিকর প্রমাণ আমি পরে পাইয়াছি । সময় ও মানুষ কি দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত হয় ! যখন সেই সব কষ্টের ও পরিশ্রমের দিনের দিকে ফিরিয়া তাকাই তখন আমাদের দেশের স্ত্রী ও পুরুষের নিকট কত উৎসাহ পাইয়াছি মনে করিয়া হৃদয় কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। আমার সহকৰ্ম্মীরা আমার হাতে কতই সহ করিয়াছে। একথা আমার স্বীকার করা উচিত যে যাহাদের সঙ্গে আমার মতে মেলে না তাহাদের সঙ্গে কাজ করা আমার পক্ষে কিছু শক্ত। কোনো একটা বন্ধন স্বীকার করিয়া কাজ করিতে হইবে মনে করিলেই আমি কেমন যেন সঙ্কুচিত ও বুদ্ধিহীন হইয়া পড়ি। নিজের মতে অবাধে চলিতে পাইলে, তবেই আমার পক্ষে নিজ শক্তির সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার সম্ভব । আমার কাছে স্বাধীনতা ও হায়াকুবত্তিতাই মূল বস্তু, সুতরাং কি ব্যক্তির, কি জাতির ভিতর এই গুণগুলি আমি বুঝি ও শ্রদ্ধা করি । নারীর অধিকার ও পুরুষের সহিত সাম্য লাভের জন্য আমি এখনও উৎসাহে কাজ করি । কিন্তু সিদ্ধি লাভ করিবার পূৰ্ব্বে আমাদের আরো অনেক পথ চলিতে হইবে এবং স্ত্রীজাতির নিজেদের উন্নতি নিজেদেরই সৰ্ব্বাগ্রে করিতে হইবে। আমার ইচ্ছা ছিল যে নারীর-অধিকার-সংগ্রাম শেষ হইয়া যাইবার পরও মহিলাদের এই দলবদ্ধ সংঘগুলি নিজ ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত থাকে, কিন্তু অন্যদের আমি এ বিষয়ে আমার মত লওয়াইতে পারি নাই। কাজেই কেন্দ্রগুলি একে একে উঠিয়া যাইতে লাগিল ; আমি যত দিন বাচিয়া থাকিব ইহার জন্য শোক করিব । মেয়েরা যত দিন না একত্র দলবদ্ধ হওয়ার মূল্য বুঝিবে ততদিন তাহাদের দ্বারা কোনো কাজের মত কাজ হইবে না। জগতের হৃদয় পরিবর্তনের মহৎকাৰ্য্য ততদিন তাহাদের পক্ষে করা সম্ভব হইবে না। এই হৃদয় পরিবর্তনেই মনুষ্যজাতির চরম কলঙ্ক যুদ্ধ ও অত্যাচার দূর করিতে পারে। পৃথিবীর সমস্ত নারীজাতি যদি শান্তি ও সম্ভাব রক্ষার জন্য প্রেম ও মৈত্রীর বন্ধনে ভগিনীভাবে বদ্ধ হন, তাহা হইলে মাতৃত্বের অপেক্ষাও বড় কাজ আমরা করিতে পারিব । তোমাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রয়াসে আমি সৰ্ব্বাস্ত:করণে জয় ইচ্ছা জানাইতেছি । অ্যান মার্গারেট হলম্গ্রেন EMMA. জন্মোৎসবের দিনে শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাশি যখন থামবে ঘরে, *য় না যেন উচ্চস্বরে নিববে দীপের শিখা, শোকের সমারোহ ; এই জনমের লীলার পরে সভাপতি থাকুন বাসায়, পড়বে যবনিকা, কাটান বেলা তাসে পাশায়, সেদিন যেন কবির তরে নাইবা হোলো নানা ভাষায় ভিড় না জমে সভার ঘরে, আহা উন্থ ওহে !