পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిSశ్చి জ্ঞানবল, নৈতিক বল ও আধ্যাত্মিক বল বৃদ্ধিও একান্ত আবগুক । তৃতীয় একটি উপায়ের উল্লেখও এখানে করা দরকার। রাষ্ট্রীয় সৰ্ব্বপ্রকার বন্দোবস্ত এরূপ হওয়া উচিত, যাহাতে ভেদবুদ্ধি দূর হয়। রাষ্ট্রীয় অধিকার, সরকারী চাকরীতে অধিকার, শিক্ষার সুযোগ পাইবার অধিকার কোন বিশেষ ধৰ্ম্মাবলম্বী হওয়ার উপর নির্ভর না-করা উচিত। যতদিন কোন একটি ধৰ্ম্মের লোক হইলেই কোন দিকে কাহারও বিশেষ ও পৃথক্ অধিকার থাকিবে, ততদিন সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি ও ঈর্ষ্যাকে প্রবলভাবে জীবিত রাখা হইবে। অবশু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা হইলে সত্বর বা বিলম্বে গবন্মেটি তাহ দমন করিয়া থাকেন । কিন্তু ইহা ব্যাধির জড় না মারিয়া, বরং তাহাকে প্রবল রাখিয়া, তাহার বাহালক্ষণ বা উপসর্গ নিবারণের চেষ্টা মাত্র । মুসলমানদের স্বতন্ত্র প্রতিনিধি-নির্বাচন, আপেক্ষিক ধোগ্যতা অধিক বা সমান না হইলেও চাকরীতে তাহীদের একটা নির্দিষ্ট স্বতন্ত্র ভাগ রক্ষণ, তাহদের শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য আলাদা কৰ্ম্মচারী ইত্যাদি নিয়োগ, প্রভূতি বজায় রাখিলে সাম্প্রদায়িক অসম্ভাব জন্মিবেই, এবং তাহা হইতে দাঙ্গাও হইতে পারে। অতএব সকল রকম সাম্প্রদায়িক ভাগাভাগি তুলিয়া দিয়া সমস্ত অধিকার ও স্বাবধাকে প্রকাগু ভাবে ঘোষিত স্বনিদিষ্ট ধোগ্যতা বা প্রয়োজনসাপেক্ষ করা কৰ্ত্তব্য । যে-সব শ্রেণীর লোক শিক্ষায় অনগ্রসর, তাহাদের শিক্ষার জন্য বিশেষ চেষ্টা ও ব্যবস্থা সরকারী ও বেসরকারী উভয় রকমেরই হওয়া আবশ্বাহ উচিত। কিন্তু ইহ। ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে হওয়া উচিত নহে ; যে-কোন ধৰ্ম্মের যে-কোন শ্রেণীর লোক শিক্ষায় অনগ্রসর, তাহদের জন্তই হওয়া উচিত। বাংলাদেশে চৰ্ম্মকার, বাউরা, বাগদী প্রভৃতি হিন্দুজাতি এবং সাওতাল প্রভূতি আদিম জাতি মুসলমানদের চেয়েও শিক্ষায় অনগ্রসর । এইজন্য অনগ্রসর শ্রেণী মাত্রেরই মুশিক্ষার বন্দোবস্ত কর। গবর্ণ মেণ্টের কৰ্ত্তব্য, তাহাদের ধৰ্ম্ম কি তাহার বিচার অকৰ্ত্তব্য । এরূপ গবর্ণমেণ্টেরও প্রয়োজন, যে, সংঘর্ষ বা দাঙ্গাহাঙ্গামা ঘটিলে তাহ নিরপেক্ষভাবে অবিলম্বে দমন করিবার শক্তি ও আন্তরিক ইচ্ছ। তাহার থাকে। বর্তমান গবর্ণমেণ্টের শক্তি সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই ; কিন্তু সেরূপ আন্তরিক ইচ্ছা সম্বন্ধে সন্দেহ আছে। লেখকগণের প্রতি ১ । (ক) প্রবাসীতে নানারকম লেখার সমাবেশ করিতে হয়। এইজন্য দীর্ঘ প্রবন্ধ ছাপিতে আমাদের প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, LOHO [ २७° छाओं, sञ थ७ অসুবিধা হয়। সাধারণতঃ একটি প্রবন্ধে আড়াই হাজার হইতে তিন হাজার অপেক্ষা অধিক শব্দ না-থাকা বাঞ্ছনীয়। ছোট গল্পের দৈর্ঘ্যও ঐরূপ হইলেই ভাল হয় । চারি হাজার অপেক্ষা বেশী শব্দ কোন গল্পে না-থাকা বাঞ্ছনীয়। (খ) লেখকগণ অনুগ্রহ করিয়া এই বিষয়ে দৃষ্টি রাখিলে বাধিত হইব । (গ) এখন হইতে র্তাহারা প্রত্যেক রচনার উপর উহার শব্দের সংখ্যা লিখিয়া দিলে অনুগ্রহীত হইব । ২ । (ক) র্যাহারা “আলোচনা" বিভাশের জন্য কিছু পাঠাইবেন, তাহাদের লেখায় সাড়ে চারিশত অপেক্ষা বেশী শব্দ না-থাক বাঞ্ছনীয় । (খ) তাহাদের লেখার উপর দিতে হইবে । ২ । আমাদের হাতে নানাবিধ বহুসংখ্যক লেখা মেীজুদ থাকায় অনেক লেখা ছাপিতে বড় বিলম্ব হয়। প্রকাশে বিলম্বের জন্ত কোন লেখক তাহার লেখা ফেরত চাহিলে তাহা অবিলম্বে কতজ্ঞতার সহিত ফেরত দেওয়া ইষ্টবে। শবদ-সংখ্যা লিখিয়া “প্রাচ্য আর্টের ভারতীয় সমিতি’ কলিকাতায় ইণ্ডিয়ান সোসাইট অব ওরিয়েণ্ট্যাল আর্ট অর্থাৎ প্রাচ্য আর্টের ভারতীয় সমিতি নামক একটি সমিতি আছে । লর্ড রোনাল্ডশে বঙ্গের গবর্ণর থাকা কালে যখন তাহাকে সরকারী সাহায্য দিবার বন্দোবস্ত করেন, তখন আমরা মডার্ণ রিভিউ কাগজে এই ব্যবস্থার অনিষ্টকর দিক্‌টা দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছিলাম। আমাদের সমালোচনা সমিতির কর্তৃপক্ষের ভাল লাগে নাই। লর্ড - রোনাল্ড শেও ইহা ভুলিতে পারেন নাই। তিনি তাহার ভারত-বিষয়ক একটি বহিতে আমাদের এই সমালোচনার সমালোচনা করিয়াছিলেন । আমরাও তাহার জবাব দিয়াছিলাম। কিছুদিন হইল বঙ্গের একজন শ্রেষ্ঠ চিত্রকর কথা-প্রসঙ্গে স্বীকার করেন, যে, আমরা ঠিক কথা লিখিয়াছিলাম। সম্প্রতি “শাস্তিনিকেতন পত্রিকা’র জ্যৈষ্ঠসংখ্যায় শিল্পাচাৰ্য্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মই শিয় লিখিযাছেন :– “Oriental Art Societytę Ryo ștā bwys Ersts a-șG দিন এমন এল. হে, দেখলেম, আমি যে-ভয়ে আর্ট স্কুল ছেড়ে বার হলেম সেই ভয়ই গভর্ণমেন্টের অনুগ্রহ হ’য়ে এককালের স্বাধীন Art Societyকে আর্টিষ্ট পার্থী-পোষার একট। খাচারূপে পরিণত করে দিয়ে ( অবনীন্দ্রনাথের লেখা হইতে বোধ হইতেছে, সত্যের জয় কথন-কথন হইয়া থাকে।