পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বস্য জন্তুর আক্রমণ ও সরকারী সাহায্য প্রার্থনা \ర్సిరి ঢাকায় কয়েকজন হিন্দুর ভীরুতা ঢাকা সহরে নিশীথ রাত্রে একটি গৌখানার সম্মুখ দিয়া বাদ্যসহকারে একদল হিন্দু বিবাহের বরযাত্রী যাইতেছিল। কতকগুলি মুসলমান তাহাদিগকে বাজনা থামাইতে বলায় তৎক্ষণাৎ তাহ থামান হয় । মুসলমান পক্ষের উক্তি এই, যে, ঐখানে মসজিদ আছে ও নামাজ পড়া হয়। তাহা সত্য হউক বা না হউক, যখন বলিবর্ণমাত্র বাজনা থামান হইয়াছিল, তখন ব্যাপারটা ঐখানে শেষ হইলেই ভাল হইত। কিন্তু তাহা হইল না । এক সভায় কয়েক হাজার মুসলমান একত্র হইয়া বিবাহসম্পৃক্ত জনকয়েক হিন্দুকে মাফ চাইতে এবং জরিমানাস্বরূপ পচিশ টাকা মুসলমান অনাথালয়ে দিতে বাধ্য করিল, এবং তাহাতেও সন্তুষ্ট না হইয়া সভায় উপস্থিত জনকতক তথাকথিত হিন্দু-নেতাকেও সৰ্বহীন ক্ষমা চাহিতে বাধ্য করিল। এই ব্যাপারটা মুসলমান ও হিন্দু উভয় পক্ষেরই পক্ষে লজ্জাকর । রাত্রে যখন নামাজ হয় না, তখন ও গানবাজনায় আপত্তি করা ধৰ্ম্মান্ধত বই আর কিছু নয়। তাহার পর, যাহারা বলিবামাত্র বাজনা বন্ধ করিয়াছিল তাহাদিগকে ভয় দেখাইয়া মাফ চাইতে ও জরিমানা দিতে বাধ্য করা, এবং অন্য কয়েকজন হিন্দুকেও মাফ চাওয়ান জুলুম ভিন্ন আর কিছু নয়। যে-সব হিন্দু মাফ চাহিয়াছিল, তাহাদের ব্যবহারেও মহুষ্যত্বের অপমান হইয়াছে । সভায় উপস্থিত থাকিয়া পুলিশ-মুপারিন্টেণ্ডের এরূপ জুলুমের প্রশ্রয় দেওয়া উচিত হয় নাই । আমরা কোন প্রকার অশান্তি ও উত্তেজনা উৎপাদন করিতে চাই না। কিন্তু আমাদের মনে হয়, ঢাকার হিন্দু জনসাধারণের প্রকাশ্য সভায় সমবেত হইয়া কেবল এইটুকু বলা উচিত, যে, মুসলমানদের সভায় উপস্থিত অল্পসংখ্যক হিন্দু যাহা করিয়াছে, তাহার সহিত হিন্দু সৰ্ব্বসাধারণের কোন সম্পর্ক নাই। কোন বক্তত না করিয়া সভাপতি এই মৰ্ম্মের একটি প্রস্তাব উপস্থিত করিলে এবং সভা তাহা গ্রহণ করিলেই চলিবে। অন্ততঃ এইটুকু না করিলে ঢাকার মনুষ্যত্বের অপমান হইবে তাহাতে সন্দেহ মাত্র নাই । শ্ৰীমতী হেমলার জন্ম এই ঢাকা জেলাতেই হইয়াছে। ংখ্যায় বেশী হইলেই বীরত্ব জন্মে না ; অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোকেও বহুসংখ্যক বিরোধীর সম্মুখে মানুষের মত কাজ করিয়াছেন, এরূপ দৃষ্টান্ত ইতিহাসে অনেক আছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে শ্বেতকায়ের সংখ্যায় খুব কম, অশ্বেতরা খুব বেশী । কিন্তু জ্ঞান, দলবদ্ধতা ও পৌরুষের বলে তাহারা নিজেদের মচুন্যত্ব রক্ষা করিতে সমর্থ হয়। অবশ্ব যদি ঢাকার হিন্দুর সংখ্যাবাহুল্য ব্যতীত মানুষের মত আচরণে রাজী না হন, তাহা হইলে বলি, ঢাকা সহরের মোট ১,১৯,৪৫০ জন অধিবাসীর মধ্যে ৬৯,১৪৫ জন অর্থাৎ অধিকাংশ হিন্দু ৷ পূৰ্ব্ববঙ্গের জেলাগুলিতে মুসলমানের সংখ্যাই বেশী ; কিন্তু সব সহরে মুসলমানের সংখ্যা বেশী নহে। ঢাকার কথা আগেই বলিয়াছি। বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মাদারিপুর, মৈমনসিং, নারায়ণগঞ্জ ও রামপুর বোয়ালিয়ায় হিন্দুদের সংখ্যা বেশী। কিন্তু হিন্দু বা মুসলমান যাহাদের সংখ্যাই বেশী হউক, সকলেরই শাস্তভাবে নিজের নিজের মনুষ্যত্ব রক্ষা করিয়া চলা উচিত । বন্য জন্তর আক্রমণ ও সরকারী সাহায্য প্রার্থনা "বাকুড়া দৰ্পণ” লিথিয়াছেন – আমরা সেদিন বাঁকুড়ার দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটা পল্লীতে গিয়াছিলাম । জামজুড়ি, কিয়াবতী, রাওতড়া, ভুলুনপুর প্রভৃতি গ্রামের কৃষকগণের BBBB BBBBB BBBB BBS BB BBB BBBB BBBS BBD প্রপীড়িত। তাহার কুষিকার্য্যে বিলক্ষণ ক্ষতিগ্রস্ত হইতেছে দেখিয়া মাথায় হাত দিয়া ভাবিতেঞ্চে । তাহীদের জমি আছে কিন্তু রবিশস্ত উৎপাদন করিলেই বস্ত শূকর আসিয়া শস্তক্ষেত্র নষ্ট করিয়া ফেলিতেছে। স্থানে স্থানে দাতাল বন্য শূকরের মানুষকেও আক্রমণ করিতেছে। কৃষকের গৃহে বাস না করিয়৷ শস্তক্ষেত্রে “কুমা” করিয়া রাত্রি যাপন করে তথাচ তাহীদের কঁকুড়, ঝিঙ্গে, কুমড়া প্রভৃতি ফসল রক্ষা করিতে পারিতেছে না । সরকার স্থানে স্তানে আদর্ণ কুষিক্ষেত্র স্থাপন করিয়া বর্ষে বর্ষে বহু টকা ব্যয় কৰিতেছেন। সেই টাকায় যদি কৃষকগণকে বস্ত জস্তুর অত্যাচার হইতে বুক্ষ করেন তাই। হইলে প্রজাগণের উপস্তি ত বহু উপকার সাধন হইবে । দেশের প্রতি কৰ্ত্তব্য বিদেশী গবন্মেণট যে অনেক বিষয়েই করেন না, তাত সৰ্ব্ববাদিসম্মত। দেশের লোকেরা যে পৌরুষহীন ও অসহায় হইয়াছে, তাহার জন্য অক্সআইন যে অনেকটা দায়ী, তাতাতেও সন্দেহ নাই । এক্ষেত্রে প্রজাদের ক্লষিক্ষেত্র রক্ষা সরকারের কর্তব্যও বটে। বাঁকুড়াদর্পণ এই কর্তব্য নির্দেশ করিয়া ভালই করিয়াছেন। তা বলিয়, সকল বিযয়েই সৰ্বকারী সাহায্যের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। অনেক লোক আরমুলা ও ইন্দুর দেখিলেও ভয় পায় । তfহাদের প্রত্যেকের সঙ্গে-সঙ্গে চব্বিশ ঘণ্টা একজন পাহীরাওয়াল থাকিলে তাহাদের ভয় অনেকটা কমিতে পারে, কিন্তু তাহাতে তাহাদের প্রকৃত কল্যাণ হইবে কিনা, এবং দেশের গৌরব বৃদ্ধি হইবে কি না, সন্দেহ করা যাইতে পারে। আমরা জানি বাকুড়া জেলার ওন্দী থানার অস্তগত জামজুড়ী গ্রামের কোন বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ-মহিলা ( তিনি এখন পরলোকগতা) জালানী চেলাকাঠের সাহায্যে বাঘ