পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—ধৰ্ম্মসমাজের জনসংখ্যার অনুপাতে চাকুরী বিভাগ |9:SQ ফাক্টরীর কুলি মজুরের অবস্থা উন্নত করিবার চেষ্টা এবং উৎকৃষ্ট ফ্যাক্টরী ও ট্রেড ইউনিয়ন আইন উত্তমরূপে প্রবর্তিত করা ও অন্যাস্ত প্রয়োজনীর ব্যবস্থা করা ৷ মুসলমান পার্টির ইস্তাহারের কয়েকটি বর্জনীয় কথা আমরা চাই যে “শীঘ্ৰ যাহাতে ‘গভর্ণমেণ্ট অফ ইণ্ডিয়া এক্ট’ পরিশোধিত করিয়া ভারতের "কনষ্টিটিউশন? এমন ভাবে গঠিত হয় যে ভারত বৃটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে ‘ডেমিনিয়ন’ রূপে পরিগণিত হয়, তাহার ব্যবস্থা হয় ।” বুটিশ সাম্রাজ্যে থাকিব কি না থাকিব সে কথা পরে বিবেচ্য ; কিন্তু উপস্থিত অবস্থায় যে থাকিতে চাহি না, ইহা নিশ্চয় । কিন্তু আমরা ধৰ্ম্মগত পার্থক্যের দ্বারা ভোটের অধিকার প্রভৃতি নিৰ্দ্ধারিত হওয়ার সম্পূর্ণ বিপক্ষে । ইহাতে আমাদের জাতির মধ্যে ভেদ বাড়িবে বই কমিবে ন। যে কোন ধৰ্ম্মাবলম্বীই কেষ্ট হউন না, তাহার উচিত জাতির সকলের সচিত সমান অধিকারে মিলিত হইয়া, ধৰ্ম্মর পার্থক্য ভুলিয়া, জাতিগঠনকার্য্যে আত্ম-নিয়োগ কর । ভোটারের সংখ্যার অনুপাতে প্রতিনিধি নির্বাচন যদি ৪ বা প্রতি ধৰ্ম্মসমাজের জন্য বিশেষ করিয়া কাউন্সিলে প্রতিনিধি পাঠাইবার বন্দোবস্ত করাই স্থির হয়, তাহা হইলে ও এক একটি ধৰ্ম্মসমাজ কয়জন প্রতিনিধি করিতে পারিবেন তাহা নির্ণয় করিবার সময় দেখিতে হইবে কোন ধৰ্ম্মসমাজে যথার্থ ভোটের অধিকারী কয় জন আছে ; শুধু জনসংখ্যা দেখিয়া প্রতিনিধির সংখ্যা নিৰ্দ্ধারণ করা উচিত হইবে না। সুতরাং যে সকল মুসলমান নিজেদের সঙ্কীর্ণতার তাড়নায় ধৰ্ম্মসমাজ রূপে সমগ্র জাতির বিরুদ্ধে আত্ম-প্রতিষ্ঠা করিতে ব্যগ্র হইয়াছেন, তাহীদের কৰ্ত্তব্য প্রথমতঃ নিজেদের সমাজে কতজন ভোট দিবার অধিকারী লোক আছে তাহ স্থির করা ও তৎপরে নিজের কতজন প্রতিনিধি কাউন্সিলে পাঠাইবেন তাহা নির্ণয় করা। যদি তাহারা শুধু জনসংখ্যা দিয়া প্রতিনিধির সংখ্যা স্থির করিতে চান, তাহা হইলে তাহারা যেন সৰ্ব্বাগ্রে একদিবসের শিশু হইতে আরম্ভ. করিয়া মৃত্যুশয্যায় শায়িত বৃদ্ধ বৃদ্ধ অবধি নরনারী নিৰ্ব্বিশেষে সকলকে ভোটের অধিকারী করিবার জন্য একটি আইন “পাস করান। নতুবা তাহাদের প্রতিনিধিব সংখ্যা কমিয়া যাইবে। শিশুদিগকে বাদ দিয়া শুধু পূর্ণ বয়স্কদিগকে শিক্ষিত অশিক্ষিত এবং রোজগারী ভিখারীনিৰ্ব্বিশেষে ভোট দিবার ক্ষমতা দিলেও কতকটা কাৰ্য্য হইতে পারে । তাহারও চেষ্টা দেখ। তাহাদের কৰ্ত্তব্য ! ধৰ্ম্মসমাজের জনসংখ্যার অনুপাতে চাকুরী বিভাগ বঙ্গীয় মুসলমান পার্টির মতে মুসলমান সমাজের সমগ্র সংখ্যার অনুপাতে তাহদের মধ্যে সরকারী চাকুরী বণ্টন করিয়া দেওয়া উচিত । - যদি গভর্ণমেণ্টের সকল দেশবাসীকে ( শিশু, বালক বালিক, পূৰ্ণবয়স্ক নরনারী, বুদ্ধ বুদ্ধ ইত্যাদিকে ) চাকুরী দিবার ক্ষমতা ও ইচ্ছা থাকিত, তাত হুইলে অবশ্য মুসলমানগণ ২,৫৪,৮৬,১২৪টি এবং হিন্দুগণ ২,০৮,০৯,১৪৮টি চাকুরী পাইতেন । ইহাতে মুসলমানগণ খুশী হইতেন। কিন্তু সরকার বাহাদুরের এতগুলি চাকুরী দিবার ক্ষমতাও নাই এবং শুধু কবি-প্রেরণার সাহায্যেই লোকে শিশুদিগকে তকমা পরাইয়া আদালতের কার্য্যে নামাইবার কথ। কল্পনা করিতে পারে । শুধু সকল সাবালক লোককে চাকুরী দিবার পক্ষেও যথেষ্ট চাকুরী গভর্ণমেণ্টের হস্তে নাই। যদি শুধু সকল বয়সের সমুদয় লিখনপঠনক্ষম নরনারীর জন্তই চাকুরীর বন্দোবস্ত করা যায় ( আজকাল মুসলমানদিগের দুর্ভাগ্যবশতঃ কনেষ্টবলের কাজের জন্যও অক্ষরপরিচয় থাকা প্রয়োজনীয় বলিয়া ধার্য্য হইতেছে ), তাহা হইলে বাংলার মুসলমানগণ মাত্র ১২,৯৯,৫৪৮টি চাকুরী পাইবেন । হিন্দুগণ পাইবেন ২৯.১৬,১৯৬টা অর্থাৎ মুসলমানের দ্বিগুণেরও অধিক। সচরাচর নাবালকদিগকে চাকুরী দেওয়া হয় না এবং নারীদিগের জন্যও অল্পই চাকুরী আছে । চাকুরী ২০ ও তদৃদ্ধ বয়স্ক পুরুষগণষ্ট পাইয়া থাকেন। নীচের তালিকাতে ২০ ও তদূৰ্দ্ধবয়স্ক লিখনপঠনক্ষম হিন্দু ও মুসলমানের সংখ্যা দেওয়া হইল । লিখনপঠনক্ষম ইংরেজী লিখনপঠনক্ষম . श्मृि-st>,¢¢,¢ १७ و همواو۹۹ونی মুসলমান—৯,১৭,৬৩০ ع ه براولا سرا - স্বতরাং যে সকল চাকুরীর জন্য অন্ততঃ অক্ষরপরিচয় প্রয়োজন, তাহার মধ্যে শতকরা ৬৬টি হিন্দুগণ ও ৩৩টি মুসলমানগণ পাইবেন । যে চাকুরীতে সামান্য ইংরেজী জানাও দরকার, তাহাতে মুসলমানের সংখ্যা হিন্দুর প্রায় এক পঞ্চমাংশ মাত্র হইবে । কিন্তু সকলেই জানেন, যে, অধিকাংশ গভর্ণমেণ্টের চাকুরীর জন্য শুধু ইংরেজী অক্ষরপরিচয় থাকিলেই চলে