পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8s e বিষয়ে নানাবিধ চেষ্ট হইতে পারে। হিন্দু মহাসভা যদি কোন বিষয়ে কাউনসিল বা এ্যাসেম্রীর সাহায্য পাওয়া প্রয়োজন মনে করেন তাঙ্গ হইলে হিন্দু সভ্যদের নিকট সে সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করিতে পারেন। কিন্তু মহাসভা যদি হিন্দুত্বকে রাষ্ট্রীয় মার্ক করিয়৷ কাউন্‌সিলের বাজারে বাহির করেন তাঙ্গ হইলে উচিত করিবেন না, কেন না হিন্দুত্ব রাষ্ট্রীয় ব্যাপার লহে। ইহার ফল এই হইবে, যে, যথার্থ রাষ্ট্রীয় সমস্যার সময় তাহার ধাক্কায় হিন্দুতে হিন্দুতে মতভেদ হইয়া হিন্দুত্বই ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। দাঙ্গাহাঙ্গামা ও তাহীর দমন-ক্ষমতা বৃটিশ জাতির লোকেরা যে দাঙ্গ দমন করেন, তাহা র্তাহাদের রক্তের গুণে নহে—অস্ত্রের গুণে । কাজেই যখন ইংরেজী কাগজে বক্তৃতায় ভারতবাসীর স্বন্ধে দাঙ্গা করার অপবাদটুকু চাপাইয়া দাঙ্গ দমনের সকল যশটুকু ইংরেজগণ গ্রহণ করেন,তখন র্তাহার। অন্যায় করেন । কারণ, উপযুক্ত ক্ষমতাও অস্ত্ৰ পাইলে ভারতবাসীরাও দাঙ্গাহাঙ্গামার নিবৃত্তি ইংরেজ অপেক্ষ সহজেই করিতে পারে ; এবং ইংরেজ যে দাঙ্গ দমন করেন তাহাও অধিক ক্ষেত্রে এবং প্রধানত ভারতীয় পুলিশ ও সৈন্যের সাহায্যে । জাতিগত কোন শ্রেষ্ঠ ত্ব থাকিলে আজ ইংলণ্ডের সর্ববত্র দাঙ্গ হইত মা ; এবং তাহাও ধৰ্ম্মের জষ্ঠ নহে, অর্থের জন্য। ভারতীয়েরা কি অধিক মাত্রায় ধৰ্ম্মসংক্রান্ত लांश्नांद्र उद्ध ? বুটিশ ভারতে ৫০ ০০৪২টি সহর ও গ্রাম আছে। ইহার মধ্যে একশতটিতেও কোন বৎসর ধৰ্ম্মসক্রান্ত দাঙ্গ হয় না। অর্থাৎ জোর প্রতি পাচহাজার সহর ও গ্রামের একটিতে হয়ত দাঙ্গা হয়। তদ্ভিন্ন, দেশী রাজ্যসকলের মোট ১৮৭৮৯৩ গুলি গ্রামে ও নগরে “ধৰ্ম্ম’দাঙ্গ ত হয় না বলিলেই হয় । ইহা হইতে ভারতবাসীর ধৰ্ম্মসংক্রান্ত দাঙ্গাহাঙ্গামা প্রীতি খুব প্রবল বলিয়া বোধ হয় না। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড বৃটিশের মুসলমান-প্রীতি ভারতে বৃটিশগণের কেহ-কেহ হিন্দু অপেক্ষ মুসলমানেরই অধিক ভক্ত। ইহার কারণ, তাহাদের মুসলমান না হইলে থানা বন্ধ হইয়া যায়। কে একজন বলিয়াছেন, যে, সৈন্যগণ পায়ে হঁটিয়া অগ্রসর হয় না, হয় পেটে হাটিয়া । অর্থাৎ খানা না পাইলে সৈন্যদলের অবস্থা বিশেষ খারাপ হয়। ভারতে যে সকল বৃটিশজাতীয় লোকের। অর্থনৈতিক ও সামরিক সেন রূপে আস্তান গাড়িয়াছেন, র্তাহীদের খাদ্য সরবরাহ করে মুসলমানে। অতএব. | মসজিদের সামৃনে গীতবাদ্য ও গোলমাল কলিকাতায় শিখদিগের যে মিছিল হইয়া গেল, তাহার পথ ও কাৰ্য্যপ্রণালী আলোচনার জন্য লাট সাহেবের সহিত যে আলোচনা হয়, তাহাতে মুসলমান নেতার দাবী করেন, যে, তাহদের সমুদয় মসজিদে চব্বিশ ঘণ্টাই নামাজ হয়, সুতরাং দিনরাত কোন সময়েই তাহার সামনে গীতবাদ্য বা কোনরূপ উচ্চ শব্দ হওয়া নিষিদ্ধ। এমন কোন মসজিদ থাকিতে পারে যাহাতে সৰ্ব্বদাই নামাজ হয় ; কিন্তু সাধারণতঃ মসজিদগুলিতে চব্বিশ ঘণ্টা নামাজ হয় না । খলিফা হজরত ওমারের যে ফমান কিতাব-উল-খেরাজ গ্রন্থের ৮৬ পৃষ্ঠা হইতে মৌলবী ওয়াহেদ হোসেন আগামী জুনের মডার্ণরিভিউ কাগজে উদ্ধত করিয়াছেন, তাহাতে দৃষ্ট হয়, যে, উক্ত খলিফা অমুসলমানদিগকে নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময়ে শঙ্খ ও ঘণ্ট বাজাইবার অনুমতি দিয়াছিলেন। তাহা হইতে স্পষ্ট বুঝা যায়, মসজিদে সৰ্ব্বদা নামাজ হয় না ; হইলে উক্ত ফমানের কোন মানে থাকে না। যদি দিনরাত্রি কোন সময়েই মসজিদের নিকট কোন উচ্চ শব্দ নিষিদ্ধ, তাহা হইলে মুসলমানরা মহরমের সময় তথায় ঢাক বাজান কেন ? মুসলমান রাজত্বে খলিফা অমুসলমানদিগকে যে অধিকার দিয়াছিলেন, পরাধীন মুসলমানের সমপরাধীন অমুসলমানদিগকে তাহাও দিতে রাজী নন দেখিতেছি । অথচ প্রিভি কৌন্সিলে শিয়াস্থল্লির ঝগড়ায় চূড়ান্ত এই রায় হইয়া গিয়াছে, যে, এক সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের খাতিরে অন্ত কোন সম্প্রদায় তাহদের