পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বিজ্ঞানের আহবান তাদের কাছে সত্য আহবান, তাই তাদের সাধনাও কঠিন সাধনা ৷ পরখের পর পরখ চলেছে, বারবার হাৰ্বতে হচ্চে—তবু হার মানুচে না। পরাস্ত হ’লেও সাধনা ছাড় চে না ; চেষ্টার পর চেষ্টার সাধনার বলে বজ্ঞানের রাজ্যে খাটি সত্যকে বাজিয়ে নিচ্চে । সত্যের সাক্ষাৎ লাভ ক’রে সাধনাকে ধন্য করবে। আর আমাদের ধৰ্ম্ম নাকি প্রাণ ! সেই ধৰ্ম্মের সাধনায় আমাদের কতটুকু নিষ্ঠ ! জড়তার আর অন্ত নেই। যত ধূলো, যত আবর্জনা, সবই আমরা মাথা পেতে নিয়ে পূজা করতে ব’সে গিয়েছি। এই কি বাচবার সাধনা ? এতে যদি কোনো জাতি বাচে, তবে জাতি মরে কিসে তাতে বলতে পারিনে । গটির সঙ্গে নকল যদি মেশে, তবে আগুনে পুড়িয়ে সব কলঙ্ক দূর করতে হয়। আজ তার এই মিছে ধৰ্ম্মকে পুড়িয়ে ফেলে ভারত যদি একবার সত্যিই নাস্তিক হয়, তার র সাধনা ক’রে যদি খাটি ধৰ্ম্ম,গাটি আস্তিকত পায় ; তবে ভারত সত্যিই নবজীবন লাভ করবে। নাস্তিকতার আগুনে তার সব ধৰ্ম্মবিকারকে দগ্ধ করা ছাড়া, একেবারে নূতন ক’রে আরম্ভ করা ছাড়া আর কি পথ আছে, বুঝতে তো পাচ্ছিনে। সব আবর্জনা, সব মিথ্যা, সব জঞ্জালকে পুড়িয়ে ভক্তি পরীক্ষা 8›ዓ ফেলে সত্য জীবন ভালে ক’রে পেলেই মঙ্গল । ভয় নেই, সত্য দগ্ধ হবে না, খাদই পুড়ে যাবে। সব মিথ্য আবর্জনার রাশি দগ্ধ হ’য়ে গেলে, প্রাণের বিকাশের পথ খুলে যাবে। আসলে, মোহই হচ্চে সকল রিপুর কেন্দ্রস্থল ও তা অজ্ঞানের আবেশ, তা জড়তা, তা আলস্ত, তা অবসাদ, তা কুংসিতকে অপসারিত করতে জানে না, তা মৃত্যুকে রশিীকৃত ক’রে তোলে, কলুষ-সঞ্চয়ের প্রতি তার অন্ধ আসক্তি । এই মোহের ভরে যতদিন মাথ। নত হ’য়ে থাকবে, ততদিন সত্যের সাক্ষণং মিলবে না—আর সত্যের অভাবে বীৰ্য্য হবে গোয়ার্তামি, ধৰ্ম্ম হবে সাম্প্রদায়িক দাম্ভিকত । রুদ্র এসে মোহের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দিন। কঠিন প্রায়শ্চিত্ত ও দুঃখের মধ্যে মোহের ক্ষয় হ’তে থাকুক। আজ দয়াময়কে নয়, আজ রুদ্রকে চাই—র্তার প্রলয় আগুনে সব দগ্ধ হ’য়ে বিশুদ্ধ হ’য়ে ধাকৃ। তার কাছেই প্রার্থনা আমাদের ‘আসতোমা সদগময় । ৮ই বৈশাখ, ১৩৩৩, শান্তিনিকেতন মন্দিরে ক্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যাখ্যান । ষ্ট্ৰীযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন কর্তৃক অমুলিপিত ও কবির দ্বার সংশোধিত । ভক্তি-পরীক্ষা অধ্যাপক শ্ৰী অমৃতলাল শীল ভক্তের সহিত ভগবান কথা বলেন একথা কেবল ভারতের ভক্তেরাই বলেন তাহা নহে। এককালে টহুদিদিগের মধ্যেও ভক্তের অভাব ছিল না । তবে হুদার ভক্তগুলি সকলে একবংশজাত । সেই একই বংশে দণ্ড ও মহম্মদ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এই ভক্ত-বংশে তপস্বী ইব্রাহিম প্রধান । র্তাহার সঃ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত সস্তান হয় নাই। তখন তিনি তাহার অপেক্ষ দশ বৎসর মাত্র কনিষ্ঠ অতএব আধুনিক মতে বৃদ্ধ স্ত্রীর অনুরোধে ঐ স্ত্রীর পরিচারিকার গর্ভে এক 后 পুত্র উৎপাদন করেন। ইঙ্গর বংশে ইসলাম ধৰ্ম্মপ্রতিষ্ঠাতা মহম্মদের জন্ম হয় । তের বৎসর পরে ঈশ্বরের দূত মহুৰ্য্যাকারে ইহার আতিথ্য স্বীকার করিয়া বরদান করেন যে র্তাহার স্ত্রী একটি পুত্র প্রসব করিবেন। তাহার স্ত্রী অতিথির জন্য আহারীয় প্রস্তুত করিতে করিতে এই কথা শুনিয়া অবিশ্বাস করিয়া মনে মনে হাসিয়াছিলেন বলিয়া তিরস্কৃত হন । তার পর বৎসর তাহার একটি পুত্র হইল। ঈশ্বরাদেশে তাহার নাম রাখা হইল ইসহাক । ই হার বংশে যিশুর জন্ম হয় । ইহার ২৩ বৎসর পরে