পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮌb• দাস ও দাসীপুত্রকে বর্জন করিয়| একমাত্র পুত্র ইসহাককে লইয়৷ ই হারা সুখে কাল কাটাইতে লাগিলেন । একবার ঈশ্বর তাঙ্কার ভক্তি-পরীক্ষা করিবার উদ্দেশে আজ্ঞা করেন “কাল প্রাতে অমুক পৰ্ব্বতে ধাইয়া তোমার একমাত্র পুত্রকে—ধাঙ্গকে তুমি বড় ভালবাস–হোমবলি নিবে ” প্রথমে বলি দিয়া পরে মেদ মাংস ইত্যাদি অগ্নিতে আহুতি দেওয়াকে হোম-বলি বলিত। প্রাতে উঠিয় নিৰ্ব্বিকারচিত্তে বুদ্ধভ ? আপনার দুষ্টজন অশুচরকে ডাকিয়া একটি গর্দভে হোমের জন্য প্রয়োজনীয় কাষ্ঠভার চাপাইলেন । পুত্রকে কেবল এইমাত্র বলিলেন “আমার সহিত চল ।” দুইটি ভৃত্য, পুত্র, কাষ্ঠভারবাহী গর্দভ একখানি শাণিত ছুরি ও অগ্নি-আধার লয়। বৃদ্ধ পূৰ্ব্বতের দিকে চলিলেন । ভক্তপিতার বিশ্বাসীপুত্র একবার জিজ্ঞাসা করিল না, কোথায় ও কি কার্য্যে তাহাকে পিতা লইয়। যাইতেছেন । পৰ্ব্বতের নিম্নে উপস্থিত হইয়া তিনি ভৃত্যদের অপেক্ষা করিতে বলিলেন ও পুত্রকে কাষ্ঠভার দিয়া স্বয়ং ছুরি ও অগ্নি লইয়া পৰ্ব্বতারোহণ করিতে লাগিলেন। কতক দূর যাইবার পর পুত্র জিজ্ঞাসা করিল “পিতা ! হোম-বলির উদ্যোগ দেখিতেছি কিন্তু মেষ ত দেখিতেছি না, আপনি ভুল করেন নাই ত?” বুদ্ধ হাসিয়া উত্তর করিলেন “না বংস, ভুলি নাই, ঈশ্বর বলির মেষ যোগাইবেন।” যথাস্থানে উপস্থিত হইয়। অগ্নিকুণ্ড সাজাইলেন, পরে পুত্রকে বলিলেন “ধংস এইবার প্রস্তুত হও । ঈশ্বরাদেশে এ পূজায় তুমিই বলি, তোমাকে বলি প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খ ক রয়া যখন বলি দিতে যান তখন শুনিলেন, কে তাহাকে ডাকিতেছে । তিনি ঈশ্বরের বাক্য শুনিতে পাইলেন “হে ভক্ত আমি কেবল তোমার ভক্তি-পরীক্ষা করিতেছিলাম। দেখিতেছিলাম যে তুমি আমার কাছে তোমার প্রিয়তম একমাত্র পুত্রকে বলি দিতে কষ্ট পাও কি না। এখন বুঝিমৃছি আমার প্রতি তোমার একান্ত বিশ্বাস ও প্রগাঢ় ভক্ত আছে। বালককে ছাড়িয়া দাও।” বুদ্ধ ভক্তের দেহে আনন্দে পুলক দেখা দিল তিনি চক্ষু ফিরাইতেই দেখিলেন যেখানে পূৰ্ব্বে প্রাণিমাত্র ছিল না সেখানে একটি ঝোপ, ও ঝোপের মধ্যে একটি মেষ রহিয়াছে। ঈশ্বরের আদেশ ইঙ্গিতে বুঝিয় তিনি বালকের পরিবর্তে ঐ মেষ ব’ল দিলেন । মুসলমানেৰ ভঞ্চ তপস্বী ইব্রাহিমকে থলীল-অল্লা কিম্বা কেবল খলীল ( বন্ধু) নামে স্মরণ করিয়া থাকেন। তাহার অদ্যবিধি থলীলের বলি স্মরণ করিয়া বৎসরের শেষ মাস জিহিজ্জের দশ তারিখে ঈশ্বরের কাছে বলি দিয়া থাকেন। সাধারণে ঐ দিনকে ইদ-উল-জুহা বা বলির উৎসব অথবা বকর ইদ বা বকরীদ বলে । যুক্ত প্রদেশ ও পঞ্চাবে বকরা ছাগলের প্রতিশব্দ । দক্ষিণে ( হায়দ্রাবাদে ) মেযের প্রতি-ব । কোষ-মতে বকর অর্থে যে কোন ছোট চতুষ্পদ যাহার মাংস “ইলাল” ব: ধৰ্ম্মতঃ শুদ্ধ । ১৩ শ্লোক ] ইব্রাহিম মেষ দেখিতে পাইয়াছিলেন অতএব দিয়া হোম করিতে হইবে।” ভক্তপিতার উপযুক্ত পুত্র বকরীদে মেষ কোরবানিই প্রশস্ত । যে কোন উৎসবকে হাসিমুখে প্রস্তুত হইল। পিতা তাহাকে নিয়ম মত বন্ধন ইদ বলে। ভক্ত-হৃদয় ( রুমী ) নিখিল অখিল বিরাটবিশ্বে— না কুলায় যার স্থান, .ভক্তহিয়ার রক্ত সরোজে, বিরাজে সে ভগবান । ‘সবুজ” বাইবেল মতে [ জেনেসিস ২২ অধ্যায়।