পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

芯● → না ব্ৰত উপোষই করছি না। গয়ন কাপড়ই কি আমার বড় হ’ল, না ধৰ্ম্ম বড় হ’ল? বলুক দেখি কেউ কখনো হাতে সেই ইস্তক একগাছা চুড়ি দেখেছে। ছেলের অকল্যাণ হবে তাই নেহাৎ গলায় এই সোনাটুকু আছে। এককালে বাপ মা আমার ও ছিল । কিন্তু আমন কথা কখনও মুখে আনত না।” কীৰ্ত্তিধরের বিধবা আশ্রিত মোহিনী বলিল, আর মাসি তুমিও যেমন! ওরা আর আমরা এক হলাম নাকি ! তোমার বেয়াই মেয়েকে কলম পড়াবে, নিকে দেবে, তারি এত আয়োজন হচ্ছে তাও বোঝ না বুঝি ? এখুনি ত শুনলাম গাউন কিনে দিয়েছে। আর আমাদের ভূধর যে গিয়েছে সে কথা ও মেয়ে জানে না মনে করেছ ? জেঠিমারও যেমন কথা ! ও ডাইনী মেয়ে সব জানে, সব বোঝে। ছল ক'রে ন্যাক। সেজে থাকে, যাতে গায়ে একটু না আঁচ লাগে । আর দু বছর ধাকু না, দেখো এখন কি রঙ্গিণী মূৰ্ত্তি ধর্বে!” মাসী বললেন, "সেত হ’ল ! কিন্তু আমার ক্ষিতির বিয়েট এই অনাচারের মধ্যে হয় কি ক’রে শুনি ও মেয়েকে ধ’রে কেউ মাথা মুড়িয়ে দেয় ন! আব্দুরীপনা ক’রে ত সব ছোয়ান্যাপা ক’রে এক ক’রে রাখবে ।” মহীধরের বিবাহিত কণ্ঠ মালিনী বলিল, “শুধু তাই বা কেন,মাসি ? আমাদের বাড়ীর বেীত ও হাজার হ’লেও ! আমাদের কি একটা মান সম্ম নেই ! এ বাড়ীর বিধবা বেী হ’য়ে ভাবন ক’রে বেড়াবে আর লোকে যে আমাদের গায়ে থুথু দেবে । চিরকাল ত আর বাপ পুষ বে না ; এই ভিটেতেই ত থাকৃতে হবে । মুখুজ্যে বাড়ীর বেী কখনও কেউ ভিনগায়ে মরে নি । বুড়ে বয়সে ধেড়ে হ'য়ে এসে ওসব ঢং কি আর ছাড়তে পারবে ! তার চেয়ে মা’র উচিত এই বেলাই ওকে বাড়ী এনে টিট ক’রে রাখা ।” মা বলিলেন, “তুমি ত খুব ব’লে দিলে! আমার ছেলে গেল, সেই জালাতে বাচি না, ও আহলাদি দুধের খুকীকে এখন ঘাড়ে ক’রে বেড়াই । আমার অত সাধ দরকার নেই । তোমরা ওবাড়ীতে বিয়ে দিতে চাও দাও, ঘাড়ে ধ’রে আচার বিচার করিয়ে নেবে, তবে না বলি মুখুজ্যে গুষ্টি ! তার পর বেশী বাড় দেখায় ত নিজেরাই টের প্রবাসা—অষাঢ়, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড পাবে। আর একটা মেয়ে ত আমাদেরই হাতে আসছে, সে ভয় কি আর নেই ?” পাশের মহল হইতে ভূধরের দূর-সম্পৰ্কীয়া কাকীমা আসিয়াছিলেন ; তিনি হাত নাড়িয়া বলিলেন, “কি তোর বুদ্ধি বাছা মালিনী! দিদি বঁাচে না নিজের জালায়। এখন ওই চোখের কঁাটাকে সারাক্ষণ আগ লে বেড়াক্ আর কি ! ভাবুনী মেয়ে এসে এখানে একটা কীৰ্ত্তি করুন, তারপর সে দায় কে সাম্লাবে শুনি ও বাপু, যার ঘরের পাপ, সেই বুঝুক, সেই ভাল।” নূতন বর ক্ষিতিধরের মাসী বলিলেন, “তা সে বাড়ীতে যদি আবার বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বিয়ের সময় এক বার আসতে বলতে হবে ত ! পাঠাকু বা না পাঠাকু সে আলাদা কথা !” ঠোট উন্টাইয়া মালিনী বলিল, “আমরা বললে পাঠাবে না ! বড় আস্পর্দ। । আচ্ছা, ব’লেই দেখ না একবার ! ধ’দিনের জন্তেই আনাও না কেন, কার যে কেমন আচারব্যাভার করতে হয়, সেটা একবার বুঝিয়ে দেব।” মোহিনী বলিল, “সে ত ঠিক কথা । সম্পর্ক ত আর মেয়ে মামুষের চোকে না । যে ঘরে পড়েছ তার মান মর্য্যাদা রাখতে শিখতে হবে ত ! তারা যদি না শেখায় কি ঢং ক’রে মেয়েকে হাব। সাজিয়ে রাখে ত আমাদেরই শেখাতে হবে ।” 豪 豪 莱 囊 এদিকে এমনি জল্পনা কল্পনা তর্জন গর্জন চলিতে লাগিল, ওদিকে মেয়ে দেখার দিন ঘনাইয়া আসিতে লাগিল । স্থষ্টিধর যদি মেয়ে পছন্দ করেন ত আশীৰ্ব্বাদ ও বিবাহের দেরী হইবে না। কথাটা বাড়ীময় ছড়াইয়া পড়িল। ছেলে-বুড়ো, ঝিবউ, চাকর-বাকর সকলেরই মুখে এক কথা।—ময়নার বিয়ে, জমিদার বাড়ী থেকে ঘটা ক’রে মেয়ে দেখতে আসবে । নুতন একটা উত্তেজনা ও আনন্দের খোরাক পাইয়া সকলেই ফুৰ্ত্তিতে আকুল । গৌরীও তাহাদের সঙ্গেই ভিড়িয়াছে । কিন্তু গেীরীর এই উৎসাহ দেখিয়! গৌরীর মা ভয়ে কাটা হইয়া আছেন। না জানি কখন কি ঘটিয়া বসে । ময়নার মাও ষে গৌরীর এই মেলা-মেশাট