পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয় সংখ্যা ] এই দিক হইতে সত্যেন্দ্রনাথের জীবনী এখানে কিছু আলোচনা করিব।” অনেকেই জানেন যে, সত্যেন্দ্রনাথ বৰ্ত্তমান বাংলা গদ্যসাহিত্যের অন্যতম জন্মদাতা অক্ষয়কুমার দত্তের পেী স্ত্ৰ । রক্সের ভিতর দিয়া উত্তরাধিকারসূত্রে পিতামহের সাহিত্যপুস্থ হয়ত পৌন্ত্রের মধ্যে বৰ্ত্তাইয়াছিল, কিন্তু সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সত্যেন্দ্রনাথ পিতামহ অক্ষয়কুমার দত্তের দ্বারা অল্প প্রাণিত হইবার সুযোগ পান নাই, যদি ও বুদ্ধ পিতামহ শিশু পৌত্রকে দেখিয়া গিয়াছিলেন । সত্যেন্দ্রনাথ শৈশব হইতেই গুহে পিতামহের বড় লাইব্রেরী দেপিয়াছেন এবং পরে তাহা হইতে জ্ঞান-সঞ্চয়ের সুবিধা পাইয়াছেন ধটে, কিন্তু গৃহে বড় লাইব্রেরী থাক। এব’ বিখ্যাত লেপক er পিতামহের কথা শোনা কবি সু বিকাশের ঠিক সহায়ক <{{ 5ool c{1 ] পিত। রজনীনাথ পিতামহের “প্রাচীন হিন্দুদিগের স, দদা দ্র।” পরিবর্ণিত আকারে লিপিলেও তিনি সাহিত্যচ9; বিশেষ করিয়াছেন বলিয়| শোনা যায় নাই। সুতরাং দেখ। যাইতেছে, পিতা কিংব। পিতামহ হইতে সত্যেন্দ্রনাথ প্রত্যক্ষ প্রেরণা তেমন কিছু পান নাই । কিন্তু গুহেই অপর দুইএকজন ছিলেন র্যাহীদের নিকট হঠতে তিনি প্রত্যক্ষভাবে এমন কিছু পাইয়াছিলেন সাই বল্যে র্তাহার চিত্তবৃত্তির উদ্বোধক ও সহজাত পবিত্বশক্তির উদ্দীপক হুইয়াছিল। ঈহাদের মধ্যে একজন সত্যেন্দ্রনাথের পিসিমা । ইনি জীবিত আছেন, এখন অত্যস্ত বয়ঃবৃদ্ধ । ইনি .সকালের লোক বটে, কিন্তু সেকেলে লোক নন । সাধুনিক কালের সহিত তাহার পরিচয় আছে যদিও সেকালের ভাষায় । তাহার সময়ে মেয়েদের মধ্যে *ালে-ভদ্রে এক-আধজনের অক্ষর-পরিচয় ছিল । কিন্তু হিনি সেকালে জন্মিয়া ও বাংলা ঘরোয় লেখাপড় ভালো :কম শিখিয়াছিলেন । কবিতা রচনা তাহার অল্প বয়স ইতেই অভ্যাস ছিল । নানা সময়ে মনের নানা টপ-দুঃখ বিয়োগ-ব্ল্যথা তিনি ছন্দে রূপ দিতেন । সেগুলি ‘পন রক্ষিত নাই। ইদানীং যে সকল কবিতা লিখিয়াছেন হারই কতকগুলি আছে ।

সত্যেন্দ্র-প্রসঙ্গ ভাব • 8లి(t সেগুলির কোনোটি তাহার জন্মভূমি দত্তদিগের বাস ভূমি নদীয়ার চুপীগ্রাম লক্ষ্য করিয়া—কোনোটি ‘ভাই ফোটা” উপলক্ষ্য করিয়া সত্যেন্দ্রনাথের পিত। রজনীনাথের প্রসঙ্গ । কোনটি একমাত্র কর্তী ও ধনবান জামাতার অকালমৃত্যুতে, কোনোটি প্রিয় দৌহিত্রের বিয়োগে, কখনও বা তরুণী দৌহিত্রীর সদ্য বৈধৱ্য উপলক্ষ্য করিয়৷ রচিত । গত ১৩২৭ সালে সত্যেন্দ্রনাপ নিজে উদ্যোগী হইয়। ইহার কতকগুলি কবিত। লইয়া যান। এবং নিজ ব্যয়ে কাস্তিক প্রেস হইতে ‘অশ্ৰু-পাথার’ নাম দিয়৷ একখানি বই ছাপান । উপযু্যপরি লেপিক। যে শোকগুলি পাইয়াছিলেন তাহাই কবিতার বিষয়। সেইজন্যই বোধ হয় সত্যেন্দ্রনাথ ‘অশ পাগার’ নাম দিয়া থাকিবেন। গ্রন্থকত্রীর নাম ন দিয়৷ ‘শোকসম্বপ। বিরচিত? ইহাঙ্গ সত্যেন্দ্রনাথ লিগিয়া দিয়াছিলেন । কবিতা গুলি বই আকারে ছাপাইতে রচয়িত্রীর আপত্তি ছিল—যাহা গুহ কোণে বসিয়া মুখ-দুঃপে গাথিয়াছেন তাহা লেক-চক্ষুর আড়ালেই—থাকুক, ইহাই তাহার ইচ্ছ। ছিল, কিন্তু সত্যেন্দ্রনাথের নিকটে এ-আপত্তি টেকে নাই । সত্যেন্দ্র বলিয়াছিলেন,‘‘পিসিম, যা চোখের জলে ভিজে লিখেছ ত৷ অপরে পড়লেও চোখের জল ফেলবে এতে তোমার লঙ্গ। কি বল তো ?” গঙ্গা-পাথার’-এর ভূমিকায় প্রকাশকের নাম দিয়! সত্যেন্দ্রনাথ নিজে “অশ্র পাথর’-রচয়িত্রীর শে-পরিচয় লিথিয়া দিয়াছেন তাহা এখানে তুলিয়। দিলাম — “এই কবিতা গুলির রচয়িত্রা বঙ্গীয় গদ্য-সাহিত্যের গৌরবস্থল স্বৰ্গীয় অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয়ের ভ্রাতুপুত্র, স্বগীয় আনন্দচন্দ্র দত্ত মহাশয়ের কন্যা। ইহার জননী স্বগীয়া মেনকামুন্দরা নিজে কপন ও কিছু রচন। না করিলেও তাহার সাহিত্য-পিপাসা ও স্মৃতিশক্তি অসাধারণ ছিল। কাশীদাস, কুণ্ডিবাস ও ভারতচন্দ্রের অধিকাংশ রচনা তাহার কণ্ঠস্থ ছিল, তদ্ভিন্ন আরব্য ও পারস্য উপন্যাসের গল্প, প্রচুর স্তোত্র, কবিত। এবং অসংখ্য রূপকথ। ও ব্ৰতকথা তিনি জানিতেন । নব্বই বৎসর বয়স পর্য্যন্ত তিনি এইসমস্ত উৎসাহের সহিত আবৃত্তি করিতে