পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○○ ভালবাসিতেন । পচাশ বৎসর বয়সেও নুতন কবিত শুনিয়| তাঙ্গ ভালো লাগিলে সাগ্রহে মুখস্থ করিয়া লইতেন। ‘অশ-পাথার প্রণেত্রীর দুই পুত্ৰই সাহিত্যিক । পুরাতন সাময়িক পরের বিশেয করিয়া সাহিত্য-কল্পক্রমের পৃষ্ঠায় প্রসঙ্গ পূর্ণচন্দ্র ঘোষ ও শযুক্ত প্রকাশচন্দ্র বেগের স্বাক্ষরযুক্ত বিস্তর গদ্য-পদ্য রচন। ছড়াইয় আছে । প্রকাশচন্স এখন মধ্যপ্রদেশের অমরাবতী নগরে ঈজিয়ী করেন, সাহিত্যচর্চ একরূপ ছাড়িয়াই দিয়াছেন । গ্রন্থকত্ৰী নূ্যনাধিক এক বৎসরের মধ্যে উপধ্যপরি ছয়টি শোক পাইয়াছেন । জামাত ( ইনি নাগপুরের জজ স্বগীয় বীরেশ্বর দত্ত মহাশয়েব জ্যেষ্ঠ পুত্র, জব্বলপুরের গুবিখ্যাত উকীল হরিশ্চন্দ্র দত্ত ওরফে বাধ। সঙ্গেব , পৌ ঘ, দেখি দী ও সদ্যবিবাহিত দৌহিত্রকে হারাইয়ছেম, এক দেহি এার বৈধব্য দেখিয়াছেন । এরূপ দুর্ঘটনায় মামুষের মনের অবস্থ যে কি হইতে পারে তাই সহৃদয় ব্যক্তিমাথেষ্ট পঝিতে পরিবেন। কবিতাগুলি এই দুৰ্ঘটনার দুৰ্ব্বংসরে রচিত, দুর্নিয়তির ইতিহাস । সহজ সরল মৰ্ম্মস্পশী অশনিষিক্ত এই প্রচনা সমষ্টির সমালোচনা নিম্প্রয়োজন । যাহার। মরমী তাহারাই ইহার মধ্যাদা বুঝিবেন ।” ইহাই গেল ভূমিক। । সত্যেন্দ্রনাথ-লিপিত এই ভূমিকায় কয়েকটি বপ। দেথিবীর আছে— (ক) গ্রন্থকত্রী ও তাহার মাতার পরিচয় । (খ) রচয়িত্রীর দৃষ্ট পুত্ৰ শ্ৰীযুক্ত পূর্ণচন্দ্র ও প্রকাশচন্দ্রের পরিচয় । (গ) ‘অশ্ৰ-পাথার সম্বন্ধে সত্যেন্দ্রনাথের নিজের মত – “সহজ সরল মৰ্ম্মম্পর্শী অশ-নিষিক্ত এই রচন। সমষ্টির সমালোচন। নিম্প্রয়োজন । যাহার। মরমী তাহারাই ইহার মধ্যাদ বুঝিবেন ।” এই কবিতাগুলিতে অতি উচু কল্পনার জমির উপর ছন্দের মিহি কাজ নাই, শুধু নিৰ্ম্মল ঘরোয়াভাবে ব্যথার কথা আছে,—ধে-ভাবের কবিতার উচ্চতম বিকাশ দেখা গিয়াছে পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর কবিতায় । সত্যেন্দ্রনাথ শৈশব হইতেই এই ঘরোয়া লেখাপড় প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩ ৷ [ ২৬শ ভাগ ১ম খণ্ড জান' বুদ্ধিমতী অসীমধৈর্য্যশীল ও প্রিয়ভাষিণী পিসি. রস-পিপাসু কবি-হৃদয়ের সংস্পর্শে বাড়িয়া উঠিয়াছিলে. ইহা উত্তরকালে তাহার পক্ষে কম লাভের বিষয় হয় নাই ১৩১৮ সালে সত্যেন্দ্রনাথ তাহার পিসিমার আী: কতকগুলি কলিত ‘পুরাণে স্মৃতি’ নাম দিয়া নিজ বাধে কান্তিক প্রেস হইতে ছাপাইয় দেন । ইহাতে তেরটি কবিতা আছে। ‘অশ-পাথার’ ও ‘পুরাণে স্মৃতি এই দুষ্ট নাম সত্যেন্দ্রনাথেরই দেওয়া, ছাপাইবার বয় সত্যেন্দ্র নাথের—‘অশ পাথার’এর ভূমিকা ও সত্যেন্দ্রনাথের, স্বত্ব : উৎসাহ তে। সত্যেন্দ্রনাথের বটেই । পুরাণে। স্মৃতির দ্বিতীয় কবিতাটির নাম ‘ভ্ৰাতুদ্বিতীয়|” সক্রোন্দ্রনাথের পিত। ৬ রঞ্জনীনাথ বয়সে লেখিকার ছোট ছিলেন, ভাঙ্গ ফোটার দিন ছোট ভাই-এর অভাল তিনি মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে তামুভব করিতেছেন তা ঠাই কবিতাম্বু গাথ রহিয়াছে । ইহার সব-শেষের কয়টি ছত্ৰ— আর ত ছিল না ভাই, তুমি এক শত ভাই -- ৭াপের ভিটায় মোর প্রদীপ শে। হুম,— নিবে গেলে অন্ধ করে : ফেঁটা দিয়ে মন্ত্র পড়ে— হ’ল ন যমের দ্বারে কণ্টক-রোপণ । তৃতীয় কবিতাটি ‘শিবপূজা’—ইহাতে সত্যেন্দ্রনাথের ছেলেবেলার একটি ছবি পিসিমার তুলিতে ফুটিয়া উঠিয়াছে। কবিতাটির বিষয় এই— পিসিমা শিবপূজা করিবেন, শিশু সত্যেন্দ্র পূজার ফুল তুলিয়া আনিতেছেন, ফুলের কাটা লাগিয়া শিশু সত্যেঙ্গের দুই-একটি আঙ্গুল ছড়িয়া গিয়াছে এবং রক্ত বাহির হইয় পড়িয়াছে, তাঙ্গতেও বালকের দৃকপাত নাই । তাঙ্গর পর পিসিমা শিবপূজায় বসিলেন। বালক সত্যেন্দ্রনাথ ও অপর একটি আসনে পিসিমার অতুকরণে বসিলেম । এখানে রচয়িত্রীর কয়টি ছত্ৰ তুলিয়া দিলাম।-- বসিল দু’জনে পৃথক আসনে পুজিবারে আশুতোষে, শিশুর বসার ভঙ্গি দেখিয়৷ পিসি মনে মনে হাসে ।