পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] পুজার অাদনে বসি’ যোগাসনে নয়ন মুদিয়) ধ্যানে— গহন কানলে যেন বসিয়াছে ধ্রুব হরি-আরাধনে । বর্তমান প্রবন্ধলেখককে সত্যেন্দ্রনাথের পিসিম পলিয়াছেন যে, ছেলেবেলায় দেবদেবীর পূজাই সত্যেন্দ্রনাথের প্রিয় খেলা ছিল। পরবর্তী জীবনে সত্যেন্দ্রনাথকে দেখা গয়াছে, তিনি স্বভাবত লাজুক ছিলেন, যদিও অস্থরনিহিত • জস্বিতার সহিত তাহার এই বিনয়নম ব্যবহার বেশ পাপ খাইত। প্রবাসী-সম্পাদকের ভাষায় “যশের জন্য ভীড় ঠেলিয়া সনভার সাম্নে দাড়াইবার প্রবৃত্তি র্তাহার ছিল না, আত্ম গোপন তাহার চরিত্রের সৌন্দয্য বৃদ্ধি করিয়াছিল, কিন্তু ৭ তাহাকে অনুসরণ করিয়াছিল"--ইহা সত্যই সত্যেন্দ্রনাথের চরিত্রের keynote. ছেলেবেলাতেও সত্যেন্দ্রনাথ সাধারণ ছেলেদের দলে মশিন পেলাধুলা করিতেন না। কতকটা কোণ-পে যা ছিলেন। সেই সময় নানা দেবীর পূজাই তাহার খেল ঠল—যিনি পরবত্তী জীবনে নিজকে নাস্তিক বা অজ্ঞেয়পাণ বলিয়। প্র tাশ করিতেন । সত্যেন্দ্র-পরিচয়— চারু

  • - - 3}{4ণ ১৩২৯ ن

বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবাসী, বালে সেই সত্যেন্দ্রনাথ পূজা উপলক্ষ্য করিয়ু নৈবেদ্য সাজাইতেন, চন্দন ঘযিতেন, পূজার অন্তসব উপকরণ ধ{গাড় করিতেন ; তারপর নিজেই পুরোহিত সাজিয়| পু পা করিতে বসিতেন । এবং মাঝে মাঝে পুরোহিতrিগের ন্যায় চেথ বুজিয়া ধ্যানস্থ হইতেন । সৌষ্ঠব :গ{য় রাপিবার জন্য বাড়ীর অভিভাবকদিগের নিকট গতে দক্ষিণাও আদায় করিতেন। তাহার এই নকল জায় আসল পূজার সমস্তই থাকিত—নৈবেদ্য, চন্দন, ফুল, পলপাত, ধূপ, ধূনা, পুরোহিত, এমনকি তাহার টিকিট ব্যস্ত-দড়ি কিংবা স্থত। বা ঐ প্রকারের কিছু মাপার ছনে চুলের সঙ্গে বাধিয়া টিকির কাজ চালাইতেন -মায় শেষ দক্ষিণ । এসবই পরিপটি করিয়া তিনি fরতেন। পরবর্তী জীবনে যে মার্জিত রুচি তাহার রিত্রের বিশেষত্ব হইয়াছিল অতি ছোট বেলাতেই এই সতে.অদ-প্রসঙ্গ ያ9ፃ সব ছোট ছোট টুকুর টুকুর কাজেই তাহ দেখ গিয়াছে। ছন্দ-শিল্পে সত্যন্দ্রনাথ অসাধারণ ছিলেন, তাঙ্গা অস্বীকার করিবার যে নাই। ভারতচন্দ্রের পর এক রবীন্দ্রনাথ ছাড় কেহ এবিষয়ে তাহার সমকক্ষ হইতে পারেন নাই । এক্ষেত্রে তাহার যথেষ্ট মৌলিকত্ব ছিল— তিনি নূতন পথের পথিক ছিলেন। তাই কবিতার চালে লাউ কুমড়া বা আগাছা না জন্মিয় তাহার ক্ষেতে ফুলের ফসল ফলিত । র্তাহার কবিতার সহিত র্যাহাদের সামান্য পরিচয় ও ঘটিয়াছে, তাহারা ও জানেন যে, পান্ধী বেহারার গান, পিয়ানোর গান, এমন-কি চবুকা-চালান দেপিয়া তাহার মৰ্ম্ম-নিহিত স্বরটি তিনি ছন্দে বাধিয়াছিলেন । অবশ্য আজকাল নানা ছন্দে নানা ধাচে কবিতা রচনার রেওয়াজ হইয়াছে, কিন্তু সত্যেন্দ্রনাথই এবিষয়ে সৰ্ব্বপ্রথম ও প্রধান । চোখের এই তীব্র দুষ্টি, শ্রবণশক্তির এই অতিমাত্র দক্ষত, ইহা শৈশবেও তাঙ্গর ভিতরে বিদ্যমান ছিল । উত্তর কালে তিনি যে-যে বিষয়ে ক্লতিত্ব দেপাইয়াছিলেন, শৈশবে সেগুলি তাহার মধ্যে থাকিতেই হইবে, সেকথা এপানে বলা উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু ঐসব তাঙ্গর ভিতরে এত বেশী পরিমাণে ছিল যে, অমনোযোগী দশকের চোথেও তা পড়িত । বাড়ীর অমুক ঝি কি-রকম করিয়। ধাম লইয়। ঠাটে, ত{হ। তিনি অনুকরণ করিয়৷ ষ্টটিয়া দেখাইতেন। চাকর কেমন করিয়| কথা কয় তাঙ্গ তিনি তাচুকরণ করিয়া কহিতেন । তখন তাহার বয়স ছয় সাত বছর মাত্র । ইহাতে বাড়ীময় কৌতুকের সৃষ্টি করিত। কোন বুড়ী কুঁজে হইয়৷ ঠাটিতেছে তাই ও দেপাইতে হইবে, ভিখারী কেমন করিয়া কি বলিয়। ভিক্ষ চায় ইহা ও দেপান চাই । শুধু তাই নয় সত্যেন্দ্রনাথের পিসিমার মাত ‘অশ্ৰ-পাপার’এর ভূমিকায় উল্লিপিত ৮ মেনকাম্বন্দরীর নিকট তিনি মেসব রূপকথা,ব্ৰতকথা, শ্লোক-স্তোত্ৰাদি একান্থ মনে শুনিতেন তাহা ঠাহীর শৈশব-চিত্তে গভীর রেখাপাত করিয়াছিল। এবিষয়ে তাহাকেই সত্যেন্দ্রনাথের সর্বপ্রথম সাহিত্যগুরু বল মায় । তাহীর নিকট হইতে , শ্রীকৃষ্ণের বাল্য লীলার গল্প শুনিয় তাহার শ্ৰীকৃষ্ণ সাজিতে ইচ্ছ। হইত