পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরাতনী শ্ৰী হরিহর শেঠ ( > ) ভারতের কয়েকটি প্রাণান্তকর প্রথ৷ বহু প্রাচীনকাল হইতে এদেশে যে-সকল প্রাণান্তকর সংস্কার বা প্রথা প্রচলিত ছিল, তন্মধ্যে সতীদাহ সৰ্ব্বাপেক্ষ বহুজনবিদিত হইলেও, নবজাতকন্যাহতা, গঙ্গায় সস্তান বিসর্জন, সাগরে ও গঙ্গায়ু স্বেচ্ছায় দেহত্যাগ অথবা দেবসমীপে নরবলি দান প্রভৃতি যে-সকল ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তাহা ও নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতায় কম নহে। এইসকলের মধ্যে শিশুকন্যাবধ ভিন্ন অপর সবগুলিকেই প্রায় ধৰ্ম্মমূলক বলিয়া লোকের বিশ্বাস ছিল। যমুনায় শিশুকগু ভাসাইয় দিতেছে এইসকল নিষ্ঠুর প্রথা কবে এবং কিরূপে প্রথম প্রচলিত হয় তাহা অজ্ঞাত। ইহার সকলগুলিষ্ট বৃটিশশাসন প্রতিষ্ঠার সহিত ক্রমে ক্রমে তিরোহিত হইয়াছে। পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকগণ নারীদের সহমরণকে একট। নিষ্ঠুর ও বৰ্ব্বরোচিত প্রথা ভিন্ন আর কিছু বলিয়া বর্ণনা করেন নাই। কিন্তু এই প্রথা ভারতের বহু স্থানেই হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত ছিল । (১) হিন্দুদের রাজত্বকালে এই প্রথা রহিত করার উদ্দেশে কোন রাজা কোন চেষ্টা করিয়াছিলেন বলিয়া জানা যায় না বরং ইহা ধে গৌরবের ব্যাপার বলিয়া আদৃত ছিল, এইরূপই অবগত হওয়া যায়। কোন কোন স্থানে সতী রমণীর মৃতস্বামীর সহিত আত্মবিসর্জনের প বত্র স্মৃতি জাগরূক রাপার ংিহ অজিও দেখিতে পাওয়া যায়। মৃত স্বামীর সহিত সহমরণের জন্য সঙ্গী অগ্রসর হইতেছেন মুর্শিদাবাদে জগৎশেঠের বাটির কিছু উত্তরে যে-স্থানকে সতীচৌড় বলে, তখায় ১৭৪৩ খৃষ্টাব্দে একটি মহারাষ্ট্রীয় সতীর সহমরণ-স্মৃতি-রক্ষা-কল্পে একটি মন্দির নিৰ্ম্মিত (১) ১৭৯• খৃষ্টাব্দের ২৯শে জুলাইয়ের কলিকাতা গেজেটে মুরর্শিদাবাদে এক মুসলমান রমণীর মৃতস্বামীর সহিত কবরের মধ্যে নিজ দেহ-ত্যাগের _*sti sifat qig 1 The Musnad of Murshidabad