পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sয় সংখ্যা ] করা হইত। পরে আস্তে আস্তে উঠিয়া অঙ্গুষ্ঠ কিঞ্চিৎ কুঞ্চিত করিয়৷ এবং অন্ত অঙ্গুলি বিচার করিয়া হস্তদ্বারা আঘাত করিয়া হস্তপৃষ্ঠে উন্নীত করিয়া গ্রহণ করা হইত। পরে ভিন্ন ভিন্ন বেগে অগ্রপশ্চাৎ ধাবন করিয়া উদ্ধে উৎক্ষিপ্ত করিয়া বামদক্ষিণ তুণ্ডে পৰ্য্যায়ক্রমে গ্রহণ করা হইত। এইরূপে নানামগুলে ভ্রমণ করিয়া ক্রীড় করা হইত । ১৮। অক্ষত্ৰীড়া—দশকুমারচরিতে কথিত আছে বে, দ্যুতাশ্রয় কল পঞ্চবিংশক্তি প্রকার । এই খেলাতে অক্ষভূমি ও হাতের কারদাঞ্জিতে অনেক চতুৰ্য্যও করা হইত ; তাহ সহজে ধরার উপায় ছিল না । অর্থ বা পণ অঙ্গীকার করিয়৷ খেলা হইত। লোক-ব্যবহার যুক্তি ও প্রগল ভতা অবলম্বন করিয়া অনেকে কাৰ্য্য উদ্ধার করিত । দুর্বল দেখিলে তাহকে ভৎসন করা হইত ; অনেকপ্রকার প্রলোভন দেখাইয়াও কথ্য সাধন হইত এবং সৰ্ব্বলোককে নিজপক্ষে আtণয়ন করা হইত। সে-সময়ে অনেক অশ্লীল বাক্যও প্রযুক্ত হইত। যে-স্থানে অক্ষত্ৰীড়া হইবে তাহ নিদিষ্ট ছিল এবং রাজ একজন দূতাধ্যক্ষ নিযুক্ত করিতেন; সেই দূতাব্যক্ষ অক্ষশালার পর্য্যবেক্ষণ করিতেন। কেহ লুকাচয় খেলিলে দণ্ডিত হইত। পণের উপর শতকর। ৫২ ঢাকা রাজা পাইতেন । আবার খেলায় জুয়াচুরি ধরা পড়িলে দণ্ডও গুইত । ১৯ । এীড়োপন্ধর -পূৰ্ব্বে কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত মেঘ, ঘোটকাদির ক্রীড় কর &ইত । জলকুঁড়ি—মহাভারত আদি পর্বের্ণ ১২৮ অধীয়ে ইহার 44•। আছে । ২১ } ঘোড়দোড়-ইহা অতি প্রাচীন। বৈদিক সাহিত্যে ইহার C府1 || ২২ ৷ ইন্দ্ৰজাল --ভোজবিদ্য । প্রবাদ–বিদ্যামুরাগী ভোজরাজ এই অপূৰ্ব্ব বিদ্যার প্রকৃষ্টতাসাধন জন্ত বিশেষ যত্নবান ছিলেন । উlহারই আশ্রয়ে পণ্ডিতমণ্ডলী-কর্তৃক অথৰ্ব্বাদি বেদ, পুরাণ, তন্ত্রাদি *া হইতে সংগৃহীত হইয়। ইহা পৃথক্ বিদ্যায় পর্যবসিত হয়। প্রবাদ– রাজা ভোজ-প্রবর্হিত এই অদ্ভুত কলাবিদ্যায় তাহার কস্ত। ভানুমতীই বিশেষ পারদশিনী ছিলেন । বত্রিশ সিংহাসন' নামক পুস্তকে এই ভোজবিদ্যার নিদর্শন আছে। ২৩। তাসখেল—আবুল ফজল বলেন, প্রাচীন ঋষিদের আমলেও তাস থেল প্রচলিত ছিল । প্রাচীন ঋষিগণ স্থির করিয়াছিলেন যে, প্রতি প্রস্থ ভাসে ১২থনি করিয়! তাস থাকিবে, কিন্তু তাহর বারে। রঙের ভিন্ন প্রকারের বারে জন রাজা করিতেন না । এইসকল খেলার মধ্যে পাশাখেল সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীন । ঋগ্বেদে দশম মণ্ডলের ৩৪ কুক্তে ঋষি বলিয়াছেন—“ বড় বড় পাশাগুলি যখন ছকের উপর ইতস্তত: সঞ্চালিত হয়, দেখিয় আমার বড় আনন্দ হয় । মুজবনি নামক পৰ্ব্বতে যে চমৎকার সোমলতা জন্মে তাহার রসপান করিয়া যেমন প্রীতি জন্মে, বিভিত্রককণ্ঠনিৰ্ম্মিত অক্ষ আমার পক্ষে তেমনি প্রীতিকর ও তদ্রুপ আমাকে উৎসাহিত করে ।” ঋষি এই কথা বলিয়। কিন্তু পাশার অনেক দোষ কীৰ্ত্তন করিয়াছেন—অক্ষত্ৰীড়ক তাহার রূপবতী পত্নী পরিত্যাগ করে । যে-ব্যক্তি পাশ-ক্রীড়া করে তাহার স্বশ্ৰ তাহার উপর বিরক্ত, স্ত্রী তাহাকে ব্যঙ্গ করে, যদি কাহারও কাছে সে কিছু যাচঞ করে দিবার লোক কেহ নাই। পাশার 2brー"。 কষ্টিপাথর—প্লেগের ইতিবৃত্ত 86 X আকর্ষণ বড়ই কঠিন, বদি কাহারও ধনের প্রতি পাশার লোভ-দৃষ্ট পতিত হয়, তাহ হইলে অস্তে উহার পত্নীকে স্পর্শ করে । তাহার পিতামাতা, ভ্রাতাগণ তাহাকে চিনিতে পারে না । পাশাগুলি অঙ্কুশমুক্ত বাণের স্থায় বিদ্ধ করিতে থাকে, ছুরিকার স্বায় কৰ্ত্তন করিতেও তপ্ত প্রব্যের স্যায় সস্তাপ দিতে থাকে । যে জয়ী হয় তাহীর পক্ষে পাশাগুলি যেন পুত্রজন্মের তুল্য মধুময় মিষ্টবাক্যে সম্ভাষণ করে। তাহার স্ত্রী দীনহীন, পুত্র নিরদিষ্ট । বৈদিকযুগে তিল্পান্নটি পাশার দল ছিল বলিয়া উল্লিখিত আছে । পাশাগুলি স্পর্শ করিতে শীতল,কিন্তু হৃদয়কে দগ্ধ করে। অন্সরীগণ দূতের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা। অথৰ্ব্ববেদে অন্সরাগণ দূতকুশল বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। বৈদিকযুগে নৃত্যগীতাদিরও প্রচলন ছিল । শৈলুষ শব্দের উল্লেখ শুক্ল যজুর্পেদে আছে। নট শব্দ পাণিনিতে আছে । প্রাচীন সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিত্যে প্রেক্ষা শব্দের কথা বিশদভাবেই আছে । সকলেই তtহাতে যোগদান করিত এবং সকলেই তাঙ্গাতে চাদা দিত । পূৰ্ব্বে দণ্ডি-প্রণত দশকুমারচরিতের উল্লেখ করিয়াছি। অধ্যাপক পিটাসর্ণ বলেন, তিনি খৃষ্টীয় অষ্টম শতকে বিদ্যমান ছিলেন । কিন্তু আমার বোধ হয় তৎপূৰ্ব্বেই খৃষ্টীয় যষ্ঠ শতকে তিনি প্রাদুহুৰ্ত হুইয়াছিলেন । অন্যান্য ক্রীড়ার বিবরণ বাৎস্তায়ণের কামত্রে এবং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রাদিতে উল্লিথিত আছে । বাৎস্তায়ণ ও চাণক্য অভিন্ন বলিয়। কেহ কেই বলেন ; কিন্তু তাহার এপ্রবাদের কি মুল তাহা বর্ণনা করেন নাই । কিন্তু ডাক্তার জুলিয়। জলি বলেন, কৌটিল্যের অর্থশাস্ব খৃষ্টীয় তৃতীয় শতকে এবং কামসূত্র চতুর্থ শতকে বিরচিত হইয়াছিল। ফলতঃ তাহার যে পৃষ্ট জন্মের বহু পরে বিরচিত, তদ্বিষয়ে অন্যমীয় সন্দেহ নাই । সুতরাং আমি যে-সকল ক্রীড়ার কথা বলিয়ছি তাহ৷ খৃষ্ট জন্মের পরবত্তী অষ্টম শতকের মধ্যে প্রচলিত ছিল এবং কতকগুলি তৎপূৰ্ব্ব হইতে প্রচলিত ছিল ইহা নিঃসঙ্কোচে বল যাইতে পারে । ( ভারতী, চৈত্র ১৩৩২ ) শ মনীযিনাথ বস্ত্র প্লেগের ইতিবৃত্ত খৃষ্টের জন্মের তিন শতাব্দী পূৰ্ব্বে গ্রীস, লিবিয়া, মিশর ও সিরিয়ায় । ইহার প্রথম আবির্ভাব হয় । বাইবেলেiস্ত্র রাজা সলোমনের সময়েও একবার প্লেগ হইয়াছিল। ইহা ইয়োরোপে অনেক বীর দেখা দিয়াছে । ষষ্ঠ শতাব্দীতে মিশর দেশ হইতে তুরস্কের কনষ্টান্টিনোপল হইয়৷ ইয়োরোপে গিয়া তুরস্ক, ফ্রান্স ও ইটালী জনশূন্ত করিয়াছিল। ৫৪৬ খৃঃ ফ্রান্সে ইহার প্রথম আবির্ভাব হয় । তৎপরে ৬৫১ খৃঃ ইটালীতে লোকক্ষয় করে । ৫৯০ খৃঃ ইহা রোগরাজ্যের চতুর্দিকে বিস্তৃত হইয়াছিল । নবম শতাব্দীতে ইয়োরোপে ইহার ভয়ঙ্কর উপদ্রব হয় । ১৩৪৫ পুঃ ইহ সিসিলিতে আরম্ভ হইয়াছিল । ১৪৪৬ খৃঃ কনষ্টাণ্টিনোপল, গ্রীস, ইটালী, ফ্রান্স, স্পেন, জাৰ্মাণী, সুইডেন ও নরওয়েতে ইহা ভয়ঙ্কর মুক্তি ধারণ করিয়াছিল। ১৩৪৮ খৃঃ লণ্ডন সহরে ইহার প্রথম আবির্ভাব হয়, ১৩৬৮ খৃঃ স্কটল্যাণ্ড ও আয়ল্যাণ্ডে ইহার আবির্ভাব হইয়াছিল। ১৫৪২