পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 8 জাতির মধ্যে অদৃপ্ত এবং কতক মধ্যভারতাদির নানা স্থানে বিক্ষিপ্ত হইয়া যায়। উত্তর ভারতে আর্য্যপ্রাধান্ত এবং দক্ষিণ ভারতে দ্রাবিড়প্রাধান্ত স্থাপিত হয়। কলিঙ্গের দক্ষিণ হইতে কস্তাকুমারিক পর্য্যন্ত ভূভাগ দ্রাবিড় দেশ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত দক্ষিণ ভারতে দাবিড় ও আর্য্য ভাষা প্রচলিত হয়। খৃষ্ট জন্মের সাত শত বৎসর পূৰ্ব্বে দক্ষিণাপথের অশ্বক ব্যতীত বৈয়াকরণ পাণিনি আর কোন স্থানের নাম সম্ভবতঃ শুনেন নাই ; কারণ, তিনি কচ্ছ, অবন্তী, কোশল, করুষ এবং কলিঙ্গকে ভারতের দক্ষিণতম দেশ বলিয়। উল্লেপ করিয়াছেন। পাণিনির সাৰ্দ্ধ তিন শতাব্দী পর্বত্তী কালের (৩৫০ খৃঃ পূঃ) কাত্যায়ন মুনি দক্ষিণাপথের নন স্থানেল সহিত পরিচিত ছিলেন । তিনি তাহার বাৰ্ত্তিকে পাণিনিকুত পাণ্ডাচোলাদির অমুল্লেখের ক্রটি প্রদর্শন করিয়াছেন । ইহার দুই শতাব্দী পরে মুনি পতঞ্জলি ( ১৫০ খৃঃ পূঃ) মাহিষ্মতী, বিদর্ভ প্রভৃতি বিস্কোর দক্ষিণস্থ প্রদেশের নাম করিয়াছেন, এমন কি তিনি দক্ষিণের প্রায় শেয সীমাস্তু কাঞ্চিপুরম ও কেরলের পর্য্যন্ত উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু বহু পুৰ্ব্ব হইতেই যে দক্ষিণে আযনিবাস স্থাপিত হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ ঋগ্বেদে পীওগ যায় । রামায়ণের যুগে দক্ষিণাপথের নান। স্থানে আর্য-নিবাসের ভূরি ভুরি নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড যাহার দক্ষিণ ভারতে আৰ্য্য-সভ্যতা প্রথম প্রচার করেন, સિ অগস্ত্য স্বত্তনিপাতের ব্রাহ্মণ গুরু বভরিণ, ঋক্-রচয়িত ঋষি-বিশ্বামিত্রেণ বংশধরগণ র্তাহাদের অন্ততম, কিন্তু অগস্ত্য ঋষিই সকলের অগ্রণী । স্বগ্রীব সীতাম্বেষণে যে সকল অনুচর প্রেরণ করিয়াছিলেন, তাহাদিগকে দক্ষিণের বিস্তুত বিবরণ দিয়া মধ্য-দেশস্থ সরারত: নদীর উপকূল হইতে আরম্ভ করিয়া দক্ষিণে যাইতে বলেন। তিনি এই অংশ তিন ভাগে বিভক্ত কবেন, যথা—( ১ ) দণ্ডকারণ্যের উত্তর এবং বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের সন্নিহিত দেশ, (২) সমুদ্রের পূর্ব উপকূল হইতে কৃষ্ণ নদী পর্য্যস্ত ভূভাগ এবং (৩) কৃঞ্চ নদীর দক্ষিণস্থ ভাগ । তিনি বিন্ধ্যের দক্ষিণে দ্বিতীয় ভূভাগের এক দিকে বলেন বিদৰ্ভ, ঋষিক, মহীযক এবং অন্যদিকে বলেন কৌশিক, কলিঙ্গ ও বঙ্গ । তৎপরে বর্ণন করেন দণ্ডকারণ। যাহীর মধ্য দিয়া নদ; গোদাবরী প্রবাহিত । এই দণ্ডকরণ্য বিন্ধ্য ও শৈবল পৰ্ব্বতের মধ্যে অবস্থিত বলিয়। কথিত হইয়ছে। শ্ৰী জ্ঞানেন্দ্র মোহন দাস । ( আরতি, পাবনা, শিশির-সংখ্যা, ১৩৩২ ) প্রবাল শ্রী সরসীবালা বসু সাত কেদার নতুন চাকুরী নিয়ে কলকাত চ'লে যেতেই মধুমতী প্রিয়ত্রতাকে মাস চার-পাচের জন্যে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিলেন । প্রিয়র মা সে-সময় দেশে আম খাবার জন্যে এসেছিলেন । প্রতি বৎসর জ্যষ্ঠি মাসে ছেলেদের স্কুলের ছুটিতে র্তারা দেশে আম-কঁঠাল খাবার জন্যে এসে থাকেন ; বৎসরের বাকী সময় কলকাতাতেই কাটে। প্রিয়কে তারা দেশের বাড়ীতেই আনিয়ে নিলেন । পাড়া প্রতিবাসিনীর ভিড় ক’রে বড় লোকের বউকে সব দেখতে আসতে লাগল ; বিয়ের জল পেয়ে প্রিয়র দেহ যে কেমন পরিপূর্ণ হ’য়ে উঠেছে, আর রঙের জেল্লা যে কেমন বেড়ে গেছে, সবাই তাই বলতে স্বরু করলে । প্রিয়র গা-ভরা গয়না আর জাম-কাপড়ের ঘটা দেখে মেয়ের ভাগ্যকে খুব প্রশংসাও কবুলে। মধুমতী বউএর সঙ্গে আধ মন সন্দেশ দিয়ে ছিলেন তার অংশ উপহার পেয়ে প্রিয়ুর মার কুটুম্ব-ভাগ্যকেও তার ধন্থাবাদ দিলে (যদি চ সেই ধন্যবাদের আড়ালে ঈর্ষার ছায় লুকিয়ে রইল ) । সেবা ছিল প্রিয়র ছোট বেলার সই, প্রিয় এত দিন পরে দেশে আসায় তার যেমন আনন্দ হ’ল তেমন অবশ্ব আর কারুর হয় নি, কেন না সইকে সে খুবই ভালবাস্ত ; তা ছাড়া আর এখন সেই বয়স-যে বয়সে ছেলে মেয়ের তাদের সঙ্গী-সাথীদের প্রাণ ঢেলেই ভালবাসে, সাংসারিক লাভ-লোকসান খতিয়ে নিজের স্বার্থের দিকটা বেশ ক’রে কসে ধ’রে ভালবাসা বা লোকলৌকিকতা স্বরু করে না । তার ওপর বেথfরীর সে-গ্রামে আর কেউ সঙ্গী ছিল না। ঘরে আর একটি ভাইবোনও ছিল না যে তার অবসর-যাপনের দোসর হয় ; তাতেই সে দুবেলা ঠাকুর প্রণাম করবার সময় ঠাকুরের কাছে মানৎ কবুত যেন শীগ গীর তার সই শ্বশুর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ীর দেশে